ঢাকা ১০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার

গাজায় বিস্ফোরণে ইসরাইলের ৭ সেনা নিহত, আহত আরও ৮

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • / 17

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘর্ষে ইসরাইলের সাত সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

নিহত সাত সেনার মধ্যে ছয়জনের নাম প্রকাশ করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তারা হলেন— লেফটেন্যান্ট মাতান শাই ইয়াশিনোভস্কি, স্টাফ সার্জেন্ট রনেল বেন-মোশে, স্টাফ সার্জেন্ট নিভ রাদিয়া, সার্জেন্ট রনেন শাপিরো, সার্জেন্ট শাহার মানোয়াভ এবং সার্জেন্ট মায়ান বারুচ পার্লস্টেইন। তবে সপ্তম সেনার পরিবারের অনুমতি না মেলায় তার পরিচয় আপাতত প্রকাশ করা হয়নি।

ইসরাইলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরাইল জানায়, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় লড়াই চলাকালে তাদের বহনকারী একটি সাঁজোয়া যান বিস্ফোরণের শিকার হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাত সেনা নিহত হন।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিহত সেনারা সবাই ৬০৫তম কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন। তারা ‘পুমা’ নামক একটি সাঁজোয়া যুদ্ধ প্রকৌশল যান চালাচ্ছিলেন। সে সময় যানটিতে আগে থেকেই পুঁতে রাখা একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরিত হয়। আইডিএফ-এর (ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স) প্রাথমিক তদন্তেও এ তথ্য উঠে এসেছে।

সেনাবাহিনী আরও জানায়, নিহতদের বয়স ১৯ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। এদের সবাই তরুণ সেনা সদস্য। একই সঙ্গে ওই হামলায় আরও আটজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছেন, যাদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত ইসরাইলের একটি সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এই হামলা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে চলমান গাজা অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে। গাজায় হামাসবিরোধী অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে ইসরাইলি বাহিনী নিয়মিত বিস্ফোরক ও গেরিলা হামলার মুখোমুখি হচ্ছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।

বর্তমানে গাজায় ইসরাইলের অভিযানের গতি বাড়ানো হয়েছে। তবে প্রতি মুহূর্তে বেড়ে চলেছে সহিংসতার মাত্রা ও প্রাণহানির সংখ্যা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় বিস্ফোরণে ইসরাইলের ৭ সেনা নিহত, আহত আরও ৮

আপডেট সময় ১১:১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘর্ষে ইসরাইলের সাত সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

নিহত সাত সেনার মধ্যে ছয়জনের নাম প্রকাশ করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তারা হলেন— লেফটেন্যান্ট মাতান শাই ইয়াশিনোভস্কি, স্টাফ সার্জেন্ট রনেল বেন-মোশে, স্টাফ সার্জেন্ট নিভ রাদিয়া, সার্জেন্ট রনেন শাপিরো, সার্জেন্ট শাহার মানোয়াভ এবং সার্জেন্ট মায়ান বারুচ পার্লস্টেইন। তবে সপ্তম সেনার পরিবারের অনুমতি না মেলায় তার পরিচয় আপাতত প্রকাশ করা হয়নি।

ইসরাইলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরাইল জানায়, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় লড়াই চলাকালে তাদের বহনকারী একটি সাঁজোয়া যান বিস্ফোরণের শিকার হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাত সেনা নিহত হন।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিহত সেনারা সবাই ৬০৫তম কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন। তারা ‘পুমা’ নামক একটি সাঁজোয়া যুদ্ধ প্রকৌশল যান চালাচ্ছিলেন। সে সময় যানটিতে আগে থেকেই পুঁতে রাখা একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরিত হয়। আইডিএফ-এর (ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স) প্রাথমিক তদন্তেও এ তথ্য উঠে এসেছে।

সেনাবাহিনী আরও জানায়, নিহতদের বয়স ১৯ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। এদের সবাই তরুণ সেনা সদস্য। একই সঙ্গে ওই হামলায় আরও আটজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছেন, যাদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত ইসরাইলের একটি সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এই হামলা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে চলমান গাজা অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে। গাজায় হামাসবিরোধী অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে ইসরাইলি বাহিনী নিয়মিত বিস্ফোরক ও গেরিলা হামলার মুখোমুখি হচ্ছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।

বর্তমানে গাজায় ইসরাইলের অভিযানের গতি বাড়ানো হয়েছে। তবে প্রতি মুহূর্তে বেড়ে চলেছে সহিংসতার মাত্রা ও প্রাণহানির সংখ্যা।