ই/স/রা/য়ে/লের হামলায় নিহত আরেক ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী

- আপডেট সময় ০৬:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
- / 8
ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলায় দেশটির আরেক শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহাম্মদ রেজা সেদিঘি সাবের নিহত হয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকা সেদিঘিকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে, যা ইসরায়েলের লক্ষ্যভিত্তিক সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে চালানো হয়েছে। গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। এই অভিযানে পারমাণবিক স্থাপনা, শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার বাসভবন, ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি এবং সামরিক গবেষণা কেন্দ্র লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
ইসরায়েল দাবি করছে, এসব হামলায় একাধিক উচ্চপদস্থ ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। কাউন্সিল অন ফরেইন রিলেশনস (সিএফআর)-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ জন ইরানি বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ফারেইদুন আব্বাসি এবং সংস্থাটির সাবেক উপপ্রধান আমির হোসেইন ফেকহি।
মোহাম্মদ রেজা সেদিঘি ছিলেন প্রতিরক্ষা বিষয়ক উদ্ভাবন ও গবেষণা সংস্থা এসপিএনডি’র অধীনে বিস্ফোরক সংক্রান্ত এক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের প্রধান। চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র তার এবং তার দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতে, সেদিঘি একটি পারমাণবিক বিস্ফোরক ডিভাইস নির্মাণে প্রয়োজনীয় গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, “গত ২৪ ঘণ্টায় আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) তেহরানের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে শাসকগোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, শত শত বাসিজ সদস্যকে হত্যা করেছে এবং এক শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যায় সফল হয়েছে।” তবে বিবৃতিতে মোহাম্মদ রেজা সেদিঘির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এই হত্যাকাণ্ড ইসরায়েল-ইরান চলমান উত্তেজনার সর্বশেষ সংযোজন। যদিও সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে পাল্টা হামলা ও টার্গেটেড হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দুই দেশের সংঘাত আরও বিস্তৃত আকার ধারণ করছে। ইরান এই ঘটনাকে সরাসরি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ আখ্যা দিয়ে এর উপযুক্ত জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার যেকোনো উদ্যোগের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।