কারফিউর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ, চলছে গণগ্রেপ্তার

- আপডেট সময় ০২:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
- / 9
লস অ্যাঞ্জেলেসসহ ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন শহরে অভিবাসনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভ দমন করতে শুরু করেছে পুলিশ। ডাউনটাউনে কারফিউ কার্যকর হওয়ার পর থেকেই লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এলএপিডি) ব্যাপকভাবে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারফিউ ঘোষিত এলাকায় একসঙ্গে ১০ থেকে ২০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করতে দেখা গেছে। এক বিক্ষোভকারীকে জোরপূর্বক মাটিতে ফেলে তার হাত পেছন দিকে বেঁধে ফেলা হয় প্লাস্টিকের জিপ-টাই দিয়ে। যদিও বেশিরভাগ বিক্ষোভকারী এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন, তবুও পুলিশ ধীরে ধীরে পুরো এলাকা খালি করে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিএনএনের ফিল্ড রিপোর্টার নিক ওয়াট।
এছাড়া, ক্যালিফোর্নিয়া হাইওয়ে পেট্রোলের একটি হেলিকপ্টার লস অ্যাঞ্জেলেসের লিটল টোকিও এলাকায় প্রায় এক হাজার ফুট ওপর দিয়ে চক্কর দিয়ে কারফিউ বাস্তবায়নের তদারকি করছে। এই পুলিশি তৎপরতার কারণে শহরজুড়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, অভিবাসনবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আইস (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) বিভাগের কঠোর অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য দেওয়ার পর বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সান্তা আনা শহর থেকেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
সান ফ্রান্সিসকোতেও ব্যাপক প্রতিবাদ হয়েছে। সেখানে প্রায় ১৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ক্যালিফোর্নিয়ার বাইরেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। নিউইয়র্ক সিটিতে ফেডারেল ভবনের সামনে গাড়ি আটকে দিয়ে বিক্ষোভ চলাকালে বহু মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আটলান্টায় আইস অফিসের সামনে আটকদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ। লুইসভিল (কেনটাকি), ডালাস (টেক্সাস), শার্লট, সিয়াটল, বস্টন, পিটসবার্গ ও ওয়াশিংটন ডিসিতেও প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজপথ।
লস অ্যাঞ্জেলেসের আন্দোলনে প্রভাবশালী শ্রমিক নেতা ডেভিড হুয়েরতা গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে মুক্তি পান। তার এই গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে আরও কয়েকটি শহরে প্রতিবাদ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে চলমান এই বিক্ষোভ পরিস্থিতিকে ক্রমেই জটিল করে তুলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর, অন্যদিকে জনগণের ক্ষোভ ও অসন্তোষ আরও তীব্র হয়ে উঠছে।