ঢাকা ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার

তুরস্কে বিরোধী দল লক্ষ্য করে পঞ্চম দফা ধরপাকড়, গ্রেপ্তার ৩০

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / 13

ছবি সংগৃহীত

 

তুরস্কের ইস্তাম্বুল ও আদানা শহরে দুর্নীতির অভিযোগে বিরোধী দলের নেতাসহ বহু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ইস্তাম্বুলের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটরের দপ্তর জানিয়েছে, মোট ৪৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩০ জনকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় পৌর মেয়র, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি’র (রিপাবলিকান পিপলস পার্টি) সদস্যরা।

সরকার এই অভিযানকে দুর্নীতিবিরোধী আইনি পদক্ষেপ বলে দাবি করলেও সমালোচকরা এটিকে রাজনৈতিক প্রতিশোধমূলক বলে অভিহিত করছেন। এটি চলমান ধরপাকড়ের পঞ্চম দফা অভিযান, যা শুরু হয়েছিল চলতি বছরের মার্চ মাসে, যখন ইস্তাম্বুলের জনপ্রিয় মেয়র একরেম ইমামোগলুকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত। ইমামোগলুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসে সহায়তার অভিযোগ আনা হলেও তিনি তা অস্বীকার করেছেন।

সরকার বলছে, বিচারব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং এসব গ্রেপ্তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এই গ্রেপ্তার অভিযান কঠোর ও দমনমূলক। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একে “দমনমূলক ধারা” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, আর জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর মার্চেই গণগ্রেপ্তারের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।

গত শনিবার (৩১ মে) ইস্তাম্বুল ও আদানায় চালানো অভিযানে চারটি স্থানে তল্লাশি চালিয়ে আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে একজন পৌর মেয়র ও বেশ কয়েকজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা রয়েছেন।

কারাগার থেকে পাঠানো এক চিঠিতে ইমামোগলু বলেন, “এই অন্যায় ও বেআইনি আদেশের বিরুদ্ধে কথা বলার সময় এসেছে। আমাদের মেয়রদের কাল্পনিক অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কোথায় থামবেন? পুরো ইস্তাম্বুলকেই জেলে পাঠাবেন?”

সিএইচপি পার্টি অ্যাসেম্বলি সদস্য বাকি আইডোনার জানান, তিনি আঙ্কারায় একটি দলীয় বৈঠকে ছিলেন, যখন তার স্ত্রী ফোন করে জানান, পুলিশ তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে এবং তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি ইস্তাম্বুল ফিরে যাচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

তুরস্কে বিরোধী দল লক্ষ্য করে পঞ্চম দফা ধরপাকড়, গ্রেপ্তার ৩০

আপডেট সময় ০১:১০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

 

তুরস্কের ইস্তাম্বুল ও আদানা শহরে দুর্নীতির অভিযোগে বিরোধী দলের নেতাসহ বহু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ইস্তাম্বুলের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটরের দপ্তর জানিয়েছে, মোট ৪৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩০ জনকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় পৌর মেয়র, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি’র (রিপাবলিকান পিপলস পার্টি) সদস্যরা।

সরকার এই অভিযানকে দুর্নীতিবিরোধী আইনি পদক্ষেপ বলে দাবি করলেও সমালোচকরা এটিকে রাজনৈতিক প্রতিশোধমূলক বলে অভিহিত করছেন। এটি চলমান ধরপাকড়ের পঞ্চম দফা অভিযান, যা শুরু হয়েছিল চলতি বছরের মার্চ মাসে, যখন ইস্তাম্বুলের জনপ্রিয় মেয়র একরেম ইমামোগলুকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত। ইমামোগলুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসে সহায়তার অভিযোগ আনা হলেও তিনি তা অস্বীকার করেছেন।

সরকার বলছে, বিচারব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং এসব গ্রেপ্তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এই গ্রেপ্তার অভিযান কঠোর ও দমনমূলক। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একে “দমনমূলক ধারা” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, আর জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর মার্চেই গণগ্রেপ্তারের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।

গত শনিবার (৩১ মে) ইস্তাম্বুল ও আদানায় চালানো অভিযানে চারটি স্থানে তল্লাশি চালিয়ে আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে একজন পৌর মেয়র ও বেশ কয়েকজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা রয়েছেন।

কারাগার থেকে পাঠানো এক চিঠিতে ইমামোগলু বলেন, “এই অন্যায় ও বেআইনি আদেশের বিরুদ্ধে কথা বলার সময় এসেছে। আমাদের মেয়রদের কাল্পনিক অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কোথায় থামবেন? পুরো ইস্তাম্বুলকেই জেলে পাঠাবেন?”

সিএইচপি পার্টি অ্যাসেম্বলি সদস্য বাকি আইডোনার জানান, তিনি আঙ্কারায় একটি দলীয় বৈঠকে ছিলেন, যখন তার স্ত্রী ফোন করে জানান, পুলিশ তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে এবং তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি ইস্তাম্বুল ফিরে যাচ্ছেন।