১১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

তুরস্কে বিরোধী দল লক্ষ্য করে পঞ্চম দফা ধরপাকড়, গ্রেপ্তার ৩০

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / 35

ছবি সংগৃহীত

 

তুরস্কের ইস্তাম্বুল ও আদানা শহরে দুর্নীতির অভিযোগে বিরোধী দলের নেতাসহ বহু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ইস্তাম্বুলের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটরের দপ্তর জানিয়েছে, মোট ৪৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩০ জনকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় পৌর মেয়র, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি’র (রিপাবলিকান পিপলস পার্টি) সদস্যরা।

সরকার এই অভিযানকে দুর্নীতিবিরোধী আইনি পদক্ষেপ বলে দাবি করলেও সমালোচকরা এটিকে রাজনৈতিক প্রতিশোধমূলক বলে অভিহিত করছেন। এটি চলমান ধরপাকড়ের পঞ্চম দফা অভিযান, যা শুরু হয়েছিল চলতি বছরের মার্চ মাসে, যখন ইস্তাম্বুলের জনপ্রিয় মেয়র একরেম ইমামোগলুকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত। ইমামোগলুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসে সহায়তার অভিযোগ আনা হলেও তিনি তা অস্বীকার করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সরকার বলছে, বিচারব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং এসব গ্রেপ্তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এই গ্রেপ্তার অভিযান কঠোর ও দমনমূলক। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একে “দমনমূলক ধারা” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, আর জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর মার্চেই গণগ্রেপ্তারের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।

গত শনিবার (৩১ মে) ইস্তাম্বুল ও আদানায় চালানো অভিযানে চারটি স্থানে তল্লাশি চালিয়ে আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে একজন পৌর মেয়র ও বেশ কয়েকজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা রয়েছেন।

কারাগার থেকে পাঠানো এক চিঠিতে ইমামোগলু বলেন, “এই অন্যায় ও বেআইনি আদেশের বিরুদ্ধে কথা বলার সময় এসেছে। আমাদের মেয়রদের কাল্পনিক অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কোথায় থামবেন? পুরো ইস্তাম্বুলকেই জেলে পাঠাবেন?”

সিএইচপি পার্টি অ্যাসেম্বলি সদস্য বাকি আইডোনার জানান, তিনি আঙ্কারায় একটি দলীয় বৈঠকে ছিলেন, যখন তার স্ত্রী ফোন করে জানান, পুলিশ তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে এবং তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি ইস্তাম্বুল ফিরে যাচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

তুরস্কে বিরোধী দল লক্ষ্য করে পঞ্চম দফা ধরপাকড়, গ্রেপ্তার ৩০

আপডেট সময় ০১:১০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

 

তুরস্কের ইস্তাম্বুল ও আদানা শহরে দুর্নীতির অভিযোগে বিরোধী দলের নেতাসহ বহু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ইস্তাম্বুলের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটরের দপ্তর জানিয়েছে, মোট ৪৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩০ জনকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় পৌর মেয়র, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি’র (রিপাবলিকান পিপলস পার্টি) সদস্যরা।

সরকার এই অভিযানকে দুর্নীতিবিরোধী আইনি পদক্ষেপ বলে দাবি করলেও সমালোচকরা এটিকে রাজনৈতিক প্রতিশোধমূলক বলে অভিহিত করছেন। এটি চলমান ধরপাকড়ের পঞ্চম দফা অভিযান, যা শুরু হয়েছিল চলতি বছরের মার্চ মাসে, যখন ইস্তাম্বুলের জনপ্রিয় মেয়র একরেম ইমামোগলুকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত। ইমামোগলুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসে সহায়তার অভিযোগ আনা হলেও তিনি তা অস্বীকার করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সরকার বলছে, বিচারব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং এসব গ্রেপ্তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এই গ্রেপ্তার অভিযান কঠোর ও দমনমূলক। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একে “দমনমূলক ধারা” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, আর জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর মার্চেই গণগ্রেপ্তারের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।

গত শনিবার (৩১ মে) ইস্তাম্বুল ও আদানায় চালানো অভিযানে চারটি স্থানে তল্লাশি চালিয়ে আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে একজন পৌর মেয়র ও বেশ কয়েকজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা রয়েছেন।

কারাগার থেকে পাঠানো এক চিঠিতে ইমামোগলু বলেন, “এই অন্যায় ও বেআইনি আদেশের বিরুদ্ধে কথা বলার সময় এসেছে। আমাদের মেয়রদের কাল্পনিক অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কোথায় থামবেন? পুরো ইস্তাম্বুলকেই জেলে পাঠাবেন?”

সিএইচপি পার্টি অ্যাসেম্বলি সদস্য বাকি আইডোনার জানান, তিনি আঙ্কারায় একটি দলীয় বৈঠকে ছিলেন, যখন তার স্ত্রী ফোন করে জানান, পুলিশ তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে এবং তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি ইস্তাম্বুল ফিরে যাচ্ছেন।