ঢাকা ০৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অবসরপ্রাপ্ত বিমানসেনাদের জন্য ‘পেনশনার সল্যুশন’ ওয়েব পোর্টালের উদ্বোধন টেকনাফে কোস্টগার্ড-পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার এনবিআরের কলমবিরতিতে বাড়ছে রাজস্ব ঘাটতি, অর্থনীতিতে শঙ্কার ছায়া শাহরিয়ার সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের শাহবাগ অবরোধ মহাকাশে চীনের এআই কম্পিউটার: ১২টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, মোট পাঠানো হবে এরকম ২৮০০ টি স্যাটেলাইট সারা দেশে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১,৬০৫ আসামি এবার চীনে আম রপ্তানির লক্ষ্য ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন দারিদ্র্যের মূল কারণ ভূমি দখল ও আইনি ত্রুটি: পরিকল্পনা উপদেষ্টা সরকারি চাকরিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের শাস্তিতে নতুন বিধান, ২৫ দিন বরখাস্তের নির্দেশনা ইশরাক ইস্যু বিচারাধীন, এই বিষয় নিয়ে আমাকে দোষারোপ করা সমীচীন নয়: সজীব ভূইয়া

যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা মানতে নারাজ ভারত, বিপরীতে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ পাকিস্তানের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / 2

ছবি সংগৃহীত

 

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের পর ১০ মে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না এমন দাবি জানিয়েছে নয়াদিল্লি। তবে ইসলামাবাদ জানায়, পারস্পরিক শত্রুতা বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহায়তা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

মঙ্গলবার (২০ মে) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর এবং ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) টানা কয়েক ঘণ্টার গুলিবিনিময়ের পর দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায়।

এর আগে গত মাসে ভারতের পহেলগামে এক প্রাণঘাতী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তানে ভারতীয় বাহিনীর হামলা চালানো হয়। এরপরই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।

সোমবার করাচিতে এক সফরের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেন, “ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান ছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসন আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছেন এবং সফলভাবে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “ট্রাম্প একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমি বিশ্বাস করি, তার নেতৃত্বাধীন দল সংঘাত নিরসনে আন্তরিকভাবে জড়িত ছিল।”

ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমরা একটি ভয়াবহ পারমাণবিক যুদ্ধ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছি। লক্ষ লক্ষ প্রাণহানি হতে পারত। তাই আমি গর্বিত যে আমরা যুদ্ধ থামাতে পেরেছি।”

তবে ভারত এসব দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। নয়াদিল্লিতে এক সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, “এই যুদ্ধবিরতি ছিল সম্পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সিদ্ধান্ত। কোনো তৃতীয় পক্ষ এতে জড়িত ছিল না।”

তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনো পারমাণবিক হুমকির সংকেত মেলেনি, এবং ভারত তার স্বার্থ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়েছে।

কমিটির একাধিক সদস্য প্রশ্ন তোলেন, কেন ভারত যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবির জবাবে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি, বিশেষ করে যখন ট্রাম্প বারবার কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করে এসেছেন।

এদিকে সংঘর্ষের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর কতটি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব মন্তব্য করতে রাজি হননি, জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে যান।

৬ ও ৭ মে রাতের মধ্যে ভারত পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। দিল্লির দাবি, এটি ছিল পহেলগামের হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়া। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও হামলা চালায়, যার ফলে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র সামরিক সংঘাত দেখা দেয়।

অবশেষে, ১০ মে ট্রাম্প নিজেই ঘোষণা দেন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির, এবং জানান, উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার ফলেই এই সমঝোতা সম্ভব হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা মানতে নারাজ ভারত, বিপরীতে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ পাকিস্তানের

আপডেট সময় ০১:২৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

 

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের পর ১০ মে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না এমন দাবি জানিয়েছে নয়াদিল্লি। তবে ইসলামাবাদ জানায়, পারস্পরিক শত্রুতা বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহায়তা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

মঙ্গলবার (২০ মে) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর এবং ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) টানা কয়েক ঘণ্টার গুলিবিনিময়ের পর দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায়।

এর আগে গত মাসে ভারতের পহেলগামে এক প্রাণঘাতী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তানে ভারতীয় বাহিনীর হামলা চালানো হয়। এরপরই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।

সোমবার করাচিতে এক সফরের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেন, “ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান ছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসন আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছেন এবং সফলভাবে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “ট্রাম্প একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমি বিশ্বাস করি, তার নেতৃত্বাধীন দল সংঘাত নিরসনে আন্তরিকভাবে জড়িত ছিল।”

ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমরা একটি ভয়াবহ পারমাণবিক যুদ্ধ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছি। লক্ষ লক্ষ প্রাণহানি হতে পারত। তাই আমি গর্বিত যে আমরা যুদ্ধ থামাতে পেরেছি।”

তবে ভারত এসব দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। নয়াদিল্লিতে এক সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, “এই যুদ্ধবিরতি ছিল সম্পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সিদ্ধান্ত। কোনো তৃতীয় পক্ষ এতে জড়িত ছিল না।”

তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনো পারমাণবিক হুমকির সংকেত মেলেনি, এবং ভারত তার স্বার্থ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়েছে।

কমিটির একাধিক সদস্য প্রশ্ন তোলেন, কেন ভারত যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবির জবাবে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি, বিশেষ করে যখন ট্রাম্প বারবার কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করে এসেছেন।

এদিকে সংঘর্ষের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর কতটি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব মন্তব্য করতে রাজি হননি, জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে যান।

৬ ও ৭ মে রাতের মধ্যে ভারত পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। দিল্লির দাবি, এটি ছিল পহেলগামের হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়া। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও হামলা চালায়, যার ফলে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র সামরিক সংঘাত দেখা দেয়।

অবশেষে, ১০ মে ট্রাম্প নিজেই ঘোষণা দেন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির, এবং জানান, উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার ফলেই এই সমঝোতা সম্ভব হয়েছে।