ঢাকা ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার

মালয়েশিয়ায় ১০৭ বাংলাদেশিসহ ১৬২ অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / 19

ছবি: সংগৃহীত

 

মালয়েশিয়ায় ‘টার্গেটেড স্ট্রাইক অপারেশন’ চালিয়ে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ ১০৭ জন বাংলাদেশিসহ মোট ১৬২ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার (৭ মে) কুয়ালালামপুর ও পেরাক রাজ্যের দুটি আলাদা এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশনের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, শহরের জালান কুচিং এলাকায় একটি কনডোমিনিয়ামের নির্মাণ প্রকল্পে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। সেখানে প্রায় ২০০ বিদেশি কর্মীর কাগজপত্র যাচাই করা হলে ৬০ জনের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের আটক করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৪১ জন বাংলাদেশি, বাকিরা ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার ও ভারতের নাগরিক। অভিযানের আগে এক সপ্তাহ ধরে গোয়েন্দা তদন্ত চালানো হয় বলে জানান ইমিগ্রেশন পরিচালক। তদন্তে উঠে আসে, প্রকল্পটির মালিকপক্ষ অবৈধ শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের বয়স ২৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং তাদের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

একই দিনে, পেরাক রাজ্যের ইপোহ এলাকার বার্চাম অঞ্চলে আরেকটি নির্মাণস্থলে অভিযান চালিয়ে আরও ৯২ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৬৬ জন বাংলাদেশি, ১২ জন ইন্দোনেশিয়ান, ৯ জন নেপালি, ৪ জন মিয়ানমার ও ১ জন পাকিস্তানি নাগরিক। তাদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। এই অভিবাসীদের ইপোহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ জানায়, বৈধ কাগজপত্র ও কর্মসংস্থানের অনুমতি ছাড়া অবস্থানকারী বিদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে। নির্মাণ খাতে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যবহার বাড়তে থাকায় সরকার এই খাতে নজরদারি বাড়িয়েছে।

দেশটির অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবস্থান, অবৈধভাবে কাজ করা বা অবৈধ নিয়োগদাতার অধীনে কর্মরত থাকলে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। বর্তমানে আটক অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মালয়েশিয়ায় ১০৭ বাংলাদেশিসহ ১৬২ অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০১:১০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

মালয়েশিয়ায় ‘টার্গেটেড স্ট্রাইক অপারেশন’ চালিয়ে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ ১০৭ জন বাংলাদেশিসহ মোট ১৬২ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার (৭ মে) কুয়ালালামপুর ও পেরাক রাজ্যের দুটি আলাদা এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশনের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, শহরের জালান কুচিং এলাকায় একটি কনডোমিনিয়ামের নির্মাণ প্রকল্পে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। সেখানে প্রায় ২০০ বিদেশি কর্মীর কাগজপত্র যাচাই করা হলে ৬০ জনের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের আটক করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৪১ জন বাংলাদেশি, বাকিরা ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার ও ভারতের নাগরিক। অভিযানের আগে এক সপ্তাহ ধরে গোয়েন্দা তদন্ত চালানো হয় বলে জানান ইমিগ্রেশন পরিচালক। তদন্তে উঠে আসে, প্রকল্পটির মালিকপক্ষ অবৈধ শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের বয়স ২৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং তাদের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

একই দিনে, পেরাক রাজ্যের ইপোহ এলাকার বার্চাম অঞ্চলে আরেকটি নির্মাণস্থলে অভিযান চালিয়ে আরও ৯২ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৬৬ জন বাংলাদেশি, ১২ জন ইন্দোনেশিয়ান, ৯ জন নেপালি, ৪ জন মিয়ানমার ও ১ জন পাকিস্তানি নাগরিক। তাদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। এই অভিবাসীদের ইপোহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ জানায়, বৈধ কাগজপত্র ও কর্মসংস্থানের অনুমতি ছাড়া অবস্থানকারী বিদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে। নির্মাণ খাতে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যবহার বাড়তে থাকায় সরকার এই খাতে নজরদারি বাড়িয়েছে।

দেশটির অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবস্থান, অবৈধভাবে কাজ করা বা অবৈধ নিয়োগদাতার অধীনে কর্মরত থাকলে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। বর্তমানে আটক অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।