০৯:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

মালয়েশিয়ায় ১০৭ বাংলাদেশিসহ ১৬২ অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / 42

ছবি: সংগৃহীত

 

মালয়েশিয়ায় ‘টার্গেটেড স্ট্রাইক অপারেশন’ চালিয়ে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ ১০৭ জন বাংলাদেশিসহ মোট ১৬২ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার (৭ মে) কুয়ালালামপুর ও পেরাক রাজ্যের দুটি আলাদা এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশনের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, শহরের জালান কুচিং এলাকায় একটি কনডোমিনিয়ামের নির্মাণ প্রকল্পে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। সেখানে প্রায় ২০০ বিদেশি কর্মীর কাগজপত্র যাচাই করা হলে ৬০ জনের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের আটক করা হয়।

বিজ্ঞাপন

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৪১ জন বাংলাদেশি, বাকিরা ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার ও ভারতের নাগরিক। অভিযানের আগে এক সপ্তাহ ধরে গোয়েন্দা তদন্ত চালানো হয় বলে জানান ইমিগ্রেশন পরিচালক। তদন্তে উঠে আসে, প্রকল্পটির মালিকপক্ষ অবৈধ শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের বয়স ২৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং তাদের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

একই দিনে, পেরাক রাজ্যের ইপোহ এলাকার বার্চাম অঞ্চলে আরেকটি নির্মাণস্থলে অভিযান চালিয়ে আরও ৯২ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৬৬ জন বাংলাদেশি, ১২ জন ইন্দোনেশিয়ান, ৯ জন নেপালি, ৪ জন মিয়ানমার ও ১ জন পাকিস্তানি নাগরিক। তাদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। এই অভিবাসীদের ইপোহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ জানায়, বৈধ কাগজপত্র ও কর্মসংস্থানের অনুমতি ছাড়া অবস্থানকারী বিদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে। নির্মাণ খাতে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যবহার বাড়তে থাকায় সরকার এই খাতে নজরদারি বাড়িয়েছে।

দেশটির অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবস্থান, অবৈধভাবে কাজ করা বা অবৈধ নিয়োগদাতার অধীনে কর্মরত থাকলে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। বর্তমানে আটক অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মালয়েশিয়ায় ১০৭ বাংলাদেশিসহ ১৬২ অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০১:১০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

মালয়েশিয়ায় ‘টার্গেটেড স্ট্রাইক অপারেশন’ চালিয়ে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ ১০৭ জন বাংলাদেশিসহ মোট ১৬২ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার (৭ মে) কুয়ালালামপুর ও পেরাক রাজ্যের দুটি আলাদা এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশনের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, শহরের জালান কুচিং এলাকায় একটি কনডোমিনিয়ামের নির্মাণ প্রকল্পে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। সেখানে প্রায় ২০০ বিদেশি কর্মীর কাগজপত্র যাচাই করা হলে ৬০ জনের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের আটক করা হয়।

বিজ্ঞাপন

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৪১ জন বাংলাদেশি, বাকিরা ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার ও ভারতের নাগরিক। অভিযানের আগে এক সপ্তাহ ধরে গোয়েন্দা তদন্ত চালানো হয় বলে জানান ইমিগ্রেশন পরিচালক। তদন্তে উঠে আসে, প্রকল্পটির মালিকপক্ষ অবৈধ শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের বয়স ২৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং তাদের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

একই দিনে, পেরাক রাজ্যের ইপোহ এলাকার বার্চাম অঞ্চলে আরেকটি নির্মাণস্থলে অভিযান চালিয়ে আরও ৯২ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৬৬ জন বাংলাদেশি, ১২ জন ইন্দোনেশিয়ান, ৯ জন নেপালি, ৪ জন মিয়ানমার ও ১ জন পাকিস্তানি নাগরিক। তাদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। এই অভিবাসীদের ইপোহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ জানায়, বৈধ কাগজপত্র ও কর্মসংস্থানের অনুমতি ছাড়া অবস্থানকারী বিদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে। নির্মাণ খাতে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যবহার বাড়তে থাকায় সরকার এই খাতে নজরদারি বাড়িয়েছে।

দেশটির অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবস্থান, অবৈধভাবে কাজ করা বা অবৈধ নিয়োগদাতার অধীনে কর্মরত থাকলে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। বর্তমানে আটক অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।