ঢাকা ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নতুন নির্দেশনা প্রকাশ গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের নেমপ্লেট ও আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক আন্দোলন করলেই অবসরে যাবেন সরকারী চাকুরীজীবীরা ডিএনএ টেস্টে সনাক্ত হলো ৫ জনের পরিচয় সাজেক থেকে ফিরছেন পর্যটকরা, যান চলাচল স্বাভাবিক সেনবাগে খালের উপর জবরদখল করে ব্রীজ ও  নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পুশইন না পুশব্যাক ? বিব্রত বাংলা ভাষাভাষী মানুষেরা রাশিয়ায় নিখোঁজ উড়োজাহাজ ৪৯ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত মিডিয়াতে প্রকাশের পর পোষাক নির্দেশনা প্রত্যাহার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান তার স্ত্রী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা

পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৭০ সন্ত্রাসীর নিহতের দাবি ভারতের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৫০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / 18

ছবি সংগৃহীত

 

ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মিরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৭০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। বুধবার (৭ মে) ভোরে চালানো এই হামলায় আরও ৬০ জনের বেশি আহত হয়। ভারতীয় সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৪টি সুনির্দিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাকিস্তানশাসিত কাশ্মিরে ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে টার্গেট করা হয়। টার্গেট করা স্থানগুলো লস্কর-ই-তৈয়বা এবং জইশ-ই-মোহাম্মদের সক্রিয় ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত ছিল। হামলার মাধ্যমে এই গোষ্ঠীগুলোর অপারেশনাল সক্ষমতা বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

ভারতীয় পক্ষ জানিয়েছে, এসব ঘাঁটি থেকে নিয়মিত সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত হতো এবং এসব সুনির্দিষ্ট স্থানকে লক্ষ্য করেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। “নিরপেক্ষ লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে” বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে পাকিস্তান এই দাবি নাকচ করেছে। পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরীর মতে, হামলায় ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে মোট ২৬ জন নিহত হয়েছেন এবং ৪৬ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৯ জন বেসামরিক নাগরিক এবং আহতদের মধ্যে ৩৮ জনই সাধারণ মানুষ। এছাড়া হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।

পাকিস্তান দাবি করছে, ভারতের হামলা বেসামরিক এলাকায় হয়েছে এবং কোনো সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানেনি। এ ঘটনায় তারা আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মিরে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ ভারতীয় নিহত হয়। ভারত এ ঘটনার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং তারই প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে পাকিস্তান শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

দুই দেশের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৭০ সন্ত্রাসীর নিহতের দাবি ভারতের

আপডেট সময় ০৫:৫০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

 

ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মিরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৭০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। বুধবার (৭ মে) ভোরে চালানো এই হামলায় আরও ৬০ জনের বেশি আহত হয়। ভারতীয় সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৪টি সুনির্দিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাকিস্তানশাসিত কাশ্মিরে ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে টার্গেট করা হয়। টার্গেট করা স্থানগুলো লস্কর-ই-তৈয়বা এবং জইশ-ই-মোহাম্মদের সক্রিয় ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত ছিল। হামলার মাধ্যমে এই গোষ্ঠীগুলোর অপারেশনাল সক্ষমতা বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

ভারতীয় পক্ষ জানিয়েছে, এসব ঘাঁটি থেকে নিয়মিত সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত হতো এবং এসব সুনির্দিষ্ট স্থানকে লক্ষ্য করেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। “নিরপেক্ষ লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে” বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে পাকিস্তান এই দাবি নাকচ করেছে। পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরীর মতে, হামলায় ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে মোট ২৬ জন নিহত হয়েছেন এবং ৪৬ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৯ জন বেসামরিক নাগরিক এবং আহতদের মধ্যে ৩৮ জনই সাধারণ মানুষ। এছাড়া হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।

পাকিস্তান দাবি করছে, ভারতের হামলা বেসামরিক এলাকায় হয়েছে এবং কোনো সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানেনি। এ ঘটনায় তারা আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মিরে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ ভারতীয় নিহত হয়। ভারত এ ঘটনার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং তারই প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে পাকিস্তান শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

দুই দেশের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে।