০৫:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৮ সন্ত্রাসী নিহত, প্রাণ গেল এক সৈনিকের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৯:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • / 47

ছবি সংগৃহীত

 

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের তিনটি জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে অন্তত আটজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। এসময় গুলিবিনিময়ে এক সেনাসদস্যও শহীদ হন। সোমবার (৬ মে) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ও রবিবার উত্তর ওয়াজিরিস্তান, খাইবার এবং বান্নু জেলায় পৃথক অভিযানে অংশ নেয় সেনাবাহিনী। অভিযানের সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তীব্র গুলিবিনিময় হয়। এতে আট সন্ত্রাসী নিহত হয় এবং তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মির আলী এলাকার সাধারণ স্থানে চালানো অভিযানে সেনাসদস্যরা সন্ত্রাসীদের অবস্থানে সুনির্দিষ্ট হামলা চালায়। এতে তিনজন সন্ত্রাসী নিহত হয়।

এছাড়া, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে চালানো আরেক অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আরও দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়। এই অভিযানের সময় বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হন সেনাবাহিনীর সদস্য নায়েক মুজাহিদ খান। তার বয়স ছিল ৪০ বছর এবং তিনি কোহাট জেলার বাসিন্দা।

খাইবার ও বান্নু জেলায় আরও দুটি পৃথক সংঘর্ষে তিনজন সন্ত্রাসী নিহত হয়। সেনাবাহিনীর দাবি, নিহতরা ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপরও হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল।

আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, সন্ত্রাসীদের দমন এবং এলাকায় শান্তি-নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বরে নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শেষ করার পর থেকে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে এই অঞ্চলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়মিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৮ সন্ত্রাসী নিহত, প্রাণ গেল এক সৈনিকের

আপডেট সময় ১১:৫৯:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

 

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের তিনটি জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে অন্তত আটজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। এসময় গুলিবিনিময়ে এক সেনাসদস্যও শহীদ হন। সোমবার (৬ মে) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ও রবিবার উত্তর ওয়াজিরিস্তান, খাইবার এবং বান্নু জেলায় পৃথক অভিযানে অংশ নেয় সেনাবাহিনী। অভিযানের সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তীব্র গুলিবিনিময় হয়। এতে আট সন্ত্রাসী নিহত হয় এবং তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মির আলী এলাকার সাধারণ স্থানে চালানো অভিযানে সেনাসদস্যরা সন্ত্রাসীদের অবস্থানে সুনির্দিষ্ট হামলা চালায়। এতে তিনজন সন্ত্রাসী নিহত হয়।

এছাড়া, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে চালানো আরেক অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আরও দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়। এই অভিযানের সময় বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হন সেনাবাহিনীর সদস্য নায়েক মুজাহিদ খান। তার বয়স ছিল ৪০ বছর এবং তিনি কোহাট জেলার বাসিন্দা।

খাইবার ও বান্নু জেলায় আরও দুটি পৃথক সংঘর্ষে তিনজন সন্ত্রাসী নিহত হয়। সেনাবাহিনীর দাবি, নিহতরা ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপরও হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল।

আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, সন্ত্রাসীদের দমন এবং এলাকায় শান্তি-নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বরে নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শেষ করার পর থেকে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে এই অঞ্চলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়মিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।