ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২০ ফিলিস্তিনি নিহত, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫২ হাজার ভারতের অহংকার চূর্ণ করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী: শেহবাজ শরিফের দাবি কাকরাইলে রাতভর অবস্থান, তিন দফা দাবিতে অনড় জবি শিক্ষার্থীরা রাজধানীর কোথায় কোথায় বসছে কোরবানির বিশাল পশুর হাট? শিক্ষার্থীদের পানির বোতল ছোঁড়া ঘটনায় হতাশা প্রকাশ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চাই দৃশ্যমান দৃষ্টান্ত: প্রধান বিচারপতি ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় পুতিন থাকছেন না, ক্ষোভে জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত রামনের নাটকীয় গোলে মায়োর্কার বিপক্ষে রিয়ালের জয়, টিকে রাইল শিরোপার আশা কাতার-যুক্তরাষ্ট্রে ১.২ ট্রিলিয়ন ডলারের ঐতিহাসিক চুক্তি, বোয়িংয়ের রেকর্ড অর্ডার

ইসরাইলের উসকানিতে পা দেবে না তুরস্ক, সিরিয়াকে দেবে না নতুন যুদ্ধে জড়াতে: এরদোয়ান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩০:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / 16

ছবি সংগৃহীত

 

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তাঁর দেশ ইসরাইলের কোনো উসকানিতেই সাড়া দেবে না এবং সিরিয়াকে নতুন কোনো যুদ্ধে জড়াতে দেবে না। তিনি বলেন, ইসরাইল আজ আন্তর্জাতিক আইনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিতে পরিণত হয়েছে এবং তারা নিয়মিতভাবে এই আইন লঙ্ঘন করে যাচ্ছে।

এক বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, “ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা তৈরি করতে চায়। কারণ তারা তুরস্কের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও কূটনৈতিক অর্জন অস্বস্তি অনুভব করছে।” তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “তেলআবিব যদি তুরস্ককে ঘিরে কোনো পরিকল্পনা বা পদক্ষেপ গ্রহণ করে, আমরা তা খুব সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি।”

এরদোয়ান আরও বলেন, তুরস্ক চায় একটি ঐক্যবদ্ধ, স্বাধীন এবং ভূখণ্ডগতভাবে অখণ্ড সিরিয়া গড়ে উঠুক। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও সেই লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তাঁর মতে, সিরিয়াকে নতুন করে সংঘাতে জড়ানো মানে আরও রক্ত, অশ্রু ও মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া।

তিনি বলেন, “ইসরাইলের উসকানির পথ শুধু ধ্বংস আর মানবিক বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যায়। আমরা তুরস্ক হিসেবে এমন কোনো আগুনে ঘি ঢালব না যা আমাদের প্রতিবেশী অঞ্চলগুলোকে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দেয়।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে এরদোয়ান শুধু ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার প্রশ্নে তুরস্কের কৌশলগত গুরুত্বও তুলে ধরেছেন।

তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই সিরিয়া সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সীমান্তবর্তী এই দেশটি মানবিক সহায়তা, রাজনৈতিক উদ্যোগ ও শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় সক্রিয় ছিল। এই প্রেক্ষাপটে, এরদোয়ানের বক্তব্য ইসরাইলের আঞ্চলিক ভূমিকার বিরুদ্ধে এক কৌশলগত বার্তা বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

তুরস্কের এই অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর দৃষ্টিভঙ্গিকেও প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। তবে, পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা নির্ভর করবে আগামীর কূটনৈতিক হিসাব-নিকাশের উপর।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরাইলের উসকানিতে পা দেবে না তুরস্ক, সিরিয়াকে দেবে না নতুন যুদ্ধে জড়াতে: এরদোয়ান

আপডেট সময় ১১:৩০:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

 

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তাঁর দেশ ইসরাইলের কোনো উসকানিতেই সাড়া দেবে না এবং সিরিয়াকে নতুন কোনো যুদ্ধে জড়াতে দেবে না। তিনি বলেন, ইসরাইল আজ আন্তর্জাতিক আইনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিতে পরিণত হয়েছে এবং তারা নিয়মিতভাবে এই আইন লঙ্ঘন করে যাচ্ছে।

এক বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, “ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা তৈরি করতে চায়। কারণ তারা তুরস্কের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও কূটনৈতিক অর্জন অস্বস্তি অনুভব করছে।” তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “তেলআবিব যদি তুরস্ককে ঘিরে কোনো পরিকল্পনা বা পদক্ষেপ গ্রহণ করে, আমরা তা খুব সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি।”

এরদোয়ান আরও বলেন, তুরস্ক চায় একটি ঐক্যবদ্ধ, স্বাধীন এবং ভূখণ্ডগতভাবে অখণ্ড সিরিয়া গড়ে উঠুক। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও সেই লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তাঁর মতে, সিরিয়াকে নতুন করে সংঘাতে জড়ানো মানে আরও রক্ত, অশ্রু ও মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া।

তিনি বলেন, “ইসরাইলের উসকানির পথ শুধু ধ্বংস আর মানবিক বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যায়। আমরা তুরস্ক হিসেবে এমন কোনো আগুনে ঘি ঢালব না যা আমাদের প্রতিবেশী অঞ্চলগুলোকে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দেয়।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে এরদোয়ান শুধু ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার প্রশ্নে তুরস্কের কৌশলগত গুরুত্বও তুলে ধরেছেন।

তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই সিরিয়া সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সীমান্তবর্তী এই দেশটি মানবিক সহায়তা, রাজনৈতিক উদ্যোগ ও শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় সক্রিয় ছিল। এই প্রেক্ষাপটে, এরদোয়ানের বক্তব্য ইসরাইলের আঞ্চলিক ভূমিকার বিরুদ্ধে এক কৌশলগত বার্তা বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

তুরস্কের এই অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর দৃষ্টিভঙ্গিকেও প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। তবে, পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা নির্ভর করবে আগামীর কূটনৈতিক হিসাব-নিকাশের উপর।