কাশ্মীর হামলা নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের সাথে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বৈঠকে বসছে যুক্তরাষ্ট্র

- আপডেট সময় ০৫:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
- / ৪ বার পড়া হয়েছে
কাশ্মীরের পাহালগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দুই পারমাণবিক প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাসে কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “ওয়াশিংটন দুই দেশকেই উত্তেজনা না বাড়িয়ে সংযত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।”
ব্রুস জানান, “আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছি এবং তাদের বলছি যেন এমন কিছু না করে যাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও মনে করেন, এমন সংকটময় সময়ে কূটনীতিক প্রচেষ্টাই অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।” তিনি আরও জানান, এই সংকট মোকাবেলায় রুবিও অন্যান্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন, যাতে তারা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
২২ এপ্রিলের পাহালগাম হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। ২০০০ সালের পর এটি অঞ্চলটিতে অন্যতম ভয়াবহ হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। হামলার পরদিন ২৩ এপ্রিল ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দেয়, যা বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় গঠিত একটি দীর্ঘস্থায়ী জলবন্টন চুক্তি ছিল।
জবাবে পাকিস্তানও কঠোর অবস্থান নেয়। তারা ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি স্থগিতের হুমকি দেয় এবং ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়। ভারত হামলার জন্য সীমান্ত পেরিয়ে সংশ্লিষ্টতা থাকার দাবি তুললেও, এ বিষয়ে এখনো কোনো সরাসরি প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। অন্যদিকে পাকিস্তান জোরালোভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ হামলার একটি স্বাধীন তদন্তের দাবি জানান। তিনি বলেন, প্রকৃত সত্য উদঘাটনেই শান্তির পথ সুগম হবে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আত্তা তারার মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে জানান, ইসলামাবাদে থাকা গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাহালগাম হামলার অজুহাতে সীমান্তে সামরিক অভিযানে নামতে পারে।
তিনি ভারতের এই আচরণকে ‘এককভাবে বিচারক, জুরি ও কার্যকরকারী’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এটি একটি ‘বেপরোয়া ও অস্থিতিশীল পদক্ষেপ’। পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারাও সন্ত্রাসবাদের শিকার এবং এই ধরণের হিংসাত্মক ঘটনার কষ্ট ভালোভাবেই বোঝে। একইসঙ্গে তারা আঞ্চলিক শান্তির জন্য সংযম বজায় রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে।
সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন