গা/জা/য় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব: নতুন আলোচনায় কাতার ও মিসর

- আপডেট সময় ০৪:০৮:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
- / 11
গাজা উপত্যকায় দীর্ঘমেয়াদি শান্তির লক্ষ্যে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় একটি নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চলমান সংঘর্ষ অবসানের উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আলোচনার সঙ্গে যুক্ত এক ফিলিস্তিনি শীর্ষ কর্মকর্তা।
তিনি জানান, প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির মেয়াদ হতে পারে পাঁচ থেকে সাত বছর। এই প্রস্তাবে রয়েছে সব ইসরায়েলি জিম্মি বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি।
এই বিষয়ে আলোচনার জন্য শিগগিরই হামাসের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল কায়রো সফর করবে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান মোহাম্মদ দারবিশ এবং আলোচক খলিল আল হায়া।
উল্লেখ্য, গত মাসে ইসরায়েলের বোমা হামলার মধ্য দিয়ে আগের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যায়। হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে এর জন্য দায়ী করে আসছে। তবে নতুন প্রস্তাব নিয়ে ইসরায়েল এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগে, ইসরায়েল একটি ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল, যেখানে হামাসের নিরস্ত্রীকরণের শর্ত ছিল। হামাস সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এর প্রেক্ষিতেই নতুন এই প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এবং জিম্মিদের ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। অপরদিকে, হামাসের দাবি ইসরায়েলকে আগে যুদ্ধ সমাপ্তির অঙ্গীকার করতে হবে, তবেই জিম্মি মুক্তি সম্ভব।
২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করছে হামাস। এবার তারা ইঙ্গিত দিয়েছে, ‘জাতীয় ও আঞ্চলিক স্বীকৃতি পাওয়া’ কোনো ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে গাজার শাসনভার হস্তান্তরের বিষয়ে তারা প্রস্তুত। এ ক্ষেত্রে পশ্চিম তীরভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) বা নতুন কোনো প্রশাসনিক সংস্থা দায়িত্ব নিতে পারে। তবে নেতানিয়াহু গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থায় পিএ’র অংশগ্রহণকে নাকচ করেছেন।
আলোচনার ফলাফল এখনও অনিশ্চিত হলেও সূত্রটি জানিয়েছে, হামাস এবার ‘অভূতপূর্ব নমনীয়তা’ দেখাচ্ছে এবং মধ্যস্থতাকারীরা এই প্রচেষ্টাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়, যাতে ১২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে গাজায় জিম্মি করা হয়। এর পর থেকেই গাজায় চলছে ইসরায়েলি সামরিক অভিযান। এখন পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, যাদের অধিকাংশই সাধারণ নাগরিক।