ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

দুই হাজারেরও বেশি বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে রুশ বাহিনী: জেলেনস্কি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • / 12

ছবি সংগৃহীত

 

ইস্টার সানডে উপলক্ষে ঘোষিত যুদ্ধবিরতি বাস্তবে কার্যকর হয়নি এমন অভিযোগ তুলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফের হামলার অভিযোগ এনেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন যে একদিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা রুশ বাহিনী প্রায় দুই হাজারবার লঙ্ঘন করেছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে সোমবার জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, “রবিবার সকাল থেকে রাশিয়া একের পর এক হামলা চালিয়েছে। যুদ্ধবিরতির নামে এটি ছিল সম্পূর্ণ ভণ্ডামি।” যদিও সোমবার কোনো ধরনের বিমান হামলার সতর্কতা জারি হয়নি বলেও তিনি জানান।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে গোলাবারুদ ও ড্রোন হামলার মাধ্যমে একাধিকবার আঘাত হানে রুশ বাহিনী। পাল্টা অভিযোগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ইউক্রেনই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলার সূচনা করেছে এবং তাদের ডজনের বেশি ড্রোন প্রতিহত করা হয়েছে।

তবে কোন পক্ষ সত্য বলছে তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হয়নি। কারণ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পক্ষগুলোর দাবির নিরপেক্ষ যাচাই দুরূহ হয়ে ওঠে।

জেলেনস্কির মতে, “ইস্টারের মতো পবিত্র দিনে যুদ্ধ থামানোর প্রতিশ্রুতিও রাশিয়া মানেনি। এতে তাদের মানবিকতা ও আন্তরিকতার অভাব স্পষ্ট হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এই যুদ্ধবিরতি ছিল বিশ্ববাসীর জন্য একটি বার্তা দেওয়ার সুযোগ, কিন্তু রাশিয়া তা নষ্ট করেছে।”

অন্যদিকে, ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীই প্রথম আক্রমণ শুরু করে এবং রাশিয়া কেবল আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেয়। তাদের বক্তব্য, কিয়েভ থেকে শত শত ড্রোন ও কামান হামলা চালানো হয়েছে, যার বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইতোমধ্যে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলমান। মাঝেমধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলেও বাস্তব ময়দানে তা কার্যকর হয় না এই প্রবণতা এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, প্রতীকী যুদ্ধবিরতির ঘোষণাগুলো শুধুই কূটনৈতিক ছলচাতুরি, যার ফলে প্রকৃত শান্তির কোনো আশ্বাস তৈরি হচ্ছে না।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

দুই হাজারেরও বেশি বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে রুশ বাহিনী: জেলেনস্কি

আপডেট সময় ০৩:১২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

 

ইস্টার সানডে উপলক্ষে ঘোষিত যুদ্ধবিরতি বাস্তবে কার্যকর হয়নি এমন অভিযোগ তুলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফের হামলার অভিযোগ এনেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন যে একদিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা রুশ বাহিনী প্রায় দুই হাজারবার লঙ্ঘন করেছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে সোমবার জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, “রবিবার সকাল থেকে রাশিয়া একের পর এক হামলা চালিয়েছে। যুদ্ধবিরতির নামে এটি ছিল সম্পূর্ণ ভণ্ডামি।” যদিও সোমবার কোনো ধরনের বিমান হামলার সতর্কতা জারি হয়নি বলেও তিনি জানান।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে গোলাবারুদ ও ড্রোন হামলার মাধ্যমে একাধিকবার আঘাত হানে রুশ বাহিনী। পাল্টা অভিযোগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ইউক্রেনই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলার সূচনা করেছে এবং তাদের ডজনের বেশি ড্রোন প্রতিহত করা হয়েছে।

তবে কোন পক্ষ সত্য বলছে তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হয়নি। কারণ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পক্ষগুলোর দাবির নিরপেক্ষ যাচাই দুরূহ হয়ে ওঠে।

জেলেনস্কির মতে, “ইস্টারের মতো পবিত্র দিনে যুদ্ধ থামানোর প্রতিশ্রুতিও রাশিয়া মানেনি। এতে তাদের মানবিকতা ও আন্তরিকতার অভাব স্পষ্ট হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এই যুদ্ধবিরতি ছিল বিশ্ববাসীর জন্য একটি বার্তা দেওয়ার সুযোগ, কিন্তু রাশিয়া তা নষ্ট করেছে।”

অন্যদিকে, ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীই প্রথম আক্রমণ শুরু করে এবং রাশিয়া কেবল আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেয়। তাদের বক্তব্য, কিয়েভ থেকে শত শত ড্রোন ও কামান হামলা চালানো হয়েছে, যার বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইতোমধ্যে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলমান। মাঝেমধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলেও বাস্তব ময়দানে তা কার্যকর হয় না এই প্রবণতা এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, প্রতীকী যুদ্ধবিরতির ঘোষণাগুলো শুধুই কূটনৈতিক ছলচাতুরি, যার ফলে প্রকৃত শান্তির কোনো আশ্বাস তৈরি হচ্ছে না।