ভবেশ রায় ইস্যুতে ভারতের দাবি অসত্য ও ভিত্তিহীন: প্রেসসচিব

- আপডেট সময় ১১:১৯:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
- / 18
দিনাজপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভারত সরকারের দেওয়া মন্তব্যকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘উসকানিমূলক’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।
পোস্টে শফিকুল আলম লিখেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুকে ‘হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতা’ বলে তুলে ধরা হয়েছে। এই ধরনের অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং সত্যের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, যেখানে সকল নাগরিক ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমান অধিকার ভোগ করেন। সরকার কখনোই কোনো ধর্মীয় সংখ্যালঘুর প্রতি বৈষম্যকে সমর্থন করে না। ভবেশ রায়ের ঘটনাটি একটি ব্যক্তি পর্যায়ের বিষয় এবং এতে কোনো সাম্প্রদায়িক প্রেক্ষাপট খুঁজে পাওয়া যায়নি।”
প্রেস সচিব জানান, নিহত ভবেশ চন্দ্র রায় পূর্বপরিচিত কিছু ব্যক্তির সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন, যা তাঁর পরিবারও নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনার সঙ্গে সংখ্যালঘু নিপীড়নের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, “ময়নাতদন্তে শরীরে কোনো দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে ভিসেরা রিপোর্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” একইসঙ্গে শফিকুল আলম সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে এই বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে ভবেশ রায়ের মৃত্যুকে বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর ‘সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতা’ বলে উল্লেখ করেন এবং ঘটনাটির নিন্দা জানান।
তিনি দাবি করেন, “হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা অপহরণ ও নির্মম হত্যার শিকার হয়েছেন, এবং আগের এমন অনেক ঘটনার অপরাধীরা এখনও শাস্তির মুখ দেখেননি।”
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান স্পষ্ট ঘটনাটির প্রকৃত তথ্য উদঘাটন না হওয়া পর্যন্ত কোনো গুজব বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।