মানবিক সহায়তার দাবিতে নেতানিয়াহুর প্রতি ম্যাখোঁর কড়া হুঁশিয়ারি

- আপডেট সময় ১১:২৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫০৬ বার পড়া হয়েছে
গাজা হাসপাতালের উপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি সরাসরি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে গাজার বেসামরিক মানুষের দুর্ভোগ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবারের ওই ফোনালাপে ম্যাখোঁ স্পষ্ট করে বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বাকি পণবন্দিদের মুক্তি সম্ভব নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া বার্তায় তিনি লেখেন, “মানবিক সহায়তা যেন কোনো বাধা ছাড়াই গাজায় পৌঁছাতে পারে, তা নিশ্চিত করা জরুরি।” জাতিসংঘও জানায়, বিগত কয়েক সপ্তাহে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ রয়েছে, যার ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “আমরা হামাসকে নিরস্ত্র করার পাশাপাশি সব পণবন্দির মুক্তি চাই। সেই সঙ্গে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষেই ফ্রান্স রয়েছে।” তিনি উল্লেখ করেন, যুদ্ধবিরতি হলেই সম্ভব হবে পণবন্দিদের মুক্তি।
এদিকে হামাস জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েল ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়। এর বিপরীতে সব বন্দিমুক্তির শর্ত দেয় তারা। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে যা হামাস মানতে রাজি নয়।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ সম্প্রতি বলেছিলেন, আগামী জুনে জাতিসংঘের সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার মতে, ফ্রান্স যদি এই স্বীকৃতি দেয়, তাহলে অন্য রাষ্ট্রগুলোও অনুপ্রাণিত হবে। কিন্তু ইসরায়েল তা মানতে রাজি নয়। নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, ফ্রান্স যদি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়, তবে তা হবে সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করার শামিল।
এদিকে লেবাননেও সংঘাত অব্যাহত। জাতিসংঘের মানবাধিকার শাখা জানায়, গত নভেম্বরের যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত লেবাননে ৭১ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৪ জন নারী ও ৯ জন শিশু। ধ্বংস হয়েছে বাড়িঘর, ক্লিনিক, রাস্তাঘাট ও অন্তত একটি ক্যাফে। এই সহিংসতায় ৯২ হাজার মানুষ এখনো বাস্তুচ্যুত অবস্থায় রয়েছে।
জাতিসংঘের মতে, যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও লেবাননে জনগণের মধ্যে গভীর আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া জরুরি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।