যুক্তরাষ্ট্রে নজরদারির শঙ্কায় ‘বাটন ফোন’ ও সাদামাটা ল্যাপটপ নিয়ে যাচ্ছেন ইইউ কর্মকর্তারা

- আপডেট সময় ০৮:৪১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫০২ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইউরোপীয় কমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এবার বহন করছেন সাধারণ বাটন ফোন ও প্রথাগত ল্যাপটপ। কারণ, ওয়াশিংটন সফরে গোপন নজরদারি ও প্রযুক্তি সুরক্ষা নিয়ে ইইউ’র উদ্বেগ এবার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন সম্মেলনে যোগ দিতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা। তবে আগেভাগেই তারা জানেন, আমেরিকায় প্রবেশের সময় ‘কোথায় কাজ করেন’, ‘কতটা গুরুত্বপূর্ণ’ এসব পদ-পদবীর তেমন কোনো মূল্য নেই। মার্কিন নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ সন্দেহ হলেই মোবাইল ও ল্যাপটপে তল্লাশি চালায়, এমনকি কাউকে কাউকে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানোর নজির রয়েছে।
তাই এবার সফরটিকে নিরাপদ রাখতেই নতুন কৌশল নিয়েছে ইইউ। প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে শুধুমাত্র বাটন ফোন এবং সীমিত কার্যক্ষমতাসম্পন্ন ‘ক্লিন’ ল্যাপটপ। এসব ডিভাইসে কোনো স্পর্শকাতর তথ্য থাকবে না, ফলে নজরদারি করলেও বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
ইউরোপীয় কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা এখনো শতভাগ নিশ্চিত নই, আমেরিকার উদ্দেশ্য কী। তবে নিরাপত্তার দিক থেকে ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। আমরা চাই না, আমাদের সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে কোনোভাবে অনুপ্রবেশ ঘটুক।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, আগে এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতো চীন ও রাশিয়া সফরের সময়। কিন্তু এবার যুক্তরাষ্ট্রের দিকেও একইভাবে সতর্ক হচ্ছে ইউরোপ। প্রযুক্তিগত গোয়েন্দাগিরির আশঙ্কা এতটাই বাস্তব হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশেও আর আগের মতো নির্ভর করা যাচ্ছে না।
সূত্র জানায়, ওয়াশিংটনে অবস্থানকালীন সময়ে ইইউ প্রতিনিধিরা আলাদা একটি সুরক্ষিত চ্যানেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করবেন, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত নেটওয়ার্কের বাইরে থাকবে।
এই পদক্ষেপ থেকে স্পষ্ট, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক যতই কৌশলগত হোক না কেন, প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। আর সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই আধুনিক স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপের বদলে বেছে নেওয়া হয়েছে সেই পুরনো ‘বাটন ফোন’।