ঢাকা ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নতুন নির্দেশনা প্রকাশ গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের নেমপ্লেট ও আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক আন্দোলন করলেই অবসরে যাবেন সরকারী চাকুরীজীবীরা ডিএনএ টেস্টে সনাক্ত হলো ৫ জনের পরিচয় সাজেক থেকে ফিরছেন পর্যটকরা, যান চলাচল স্বাভাবিক সেনবাগে খালের উপর জবরদখল করে ব্রীজ ও  নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পুশইন না পুশব্যাক ? বিব্রত বাংলা ভাষাভাষী মানুষেরা রাশিয়ায় নিখোঁজ উড়োজাহাজ ৪৯ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত মিডিয়াতে প্রকাশের পর পোষাক নির্দেশনা প্রত্যাহার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান তার স্ত্রী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে ফ্রান্স, জুনে বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত ম্যাখোঁর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪৫:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 24

ছবি সংগৃহীত

 

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে ফ্রান্স। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই তার দেশ এই স্বীকৃতি প্রদান করতে পারে। এমনকি এই পদক্ষেপটি চলতি বছরের জুন মাসেই বাস্তবায়িত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

ম্যাখোঁ বলেন, “আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দিকে এগিয়ে যাব এবং তা অদূর ভবিষ্যতেই বাস্তবায়ন করব।” তিনি আরও জানান, জুন মাসে সৌদি আরবের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করার পরিকল্পনা রয়েছে ফ্রান্সের। সেখানে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে নানা পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে।

এই ঘোষণায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, ফ্রান্স মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগের চেয়েও বেশি সক্রিয় হতে চলেছে। ম্যাখোঁর মতে, “এটা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত হবে, যা ফিলিস্তিনপন্থী সকল পক্ষকে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথ তৈরি করে দেবে। এখনও অনেক ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না।”

দীর্ঘদিন ধরেই ফ্রান্স দুই-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের পক্ষে অবস্থান করে আসছে। তবে, এবার সরাসরি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেশটির কূটনৈতিক অবস্থানে বড় এক পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ফ্রান্সের এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

অন্যদিকে, ইসরায়েল এ ধরনের সিদ্ধান্তের কড়া বিরোধিতা করতে পারে বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, এমন স্বীকৃতি ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে কিছুটা চাপে ফেলতে পারে।

বিশ্বরাজনীতিতে ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে। একদিকে যেমন এটি ফিলিস্তিনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আন্দোলনকে শক্তিশালী করবে, অন্যদিকে শান্তি আলোচনার টেবিলে দুই পক্ষের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে ফ্রান্স, জুনে বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত ম্যাখোঁর

আপডেট সময় ১২:৪৫:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

 

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে ফ্রান্স। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই তার দেশ এই স্বীকৃতি প্রদান করতে পারে। এমনকি এই পদক্ষেপটি চলতি বছরের জুন মাসেই বাস্তবায়িত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

ম্যাখোঁ বলেন, “আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দিকে এগিয়ে যাব এবং তা অদূর ভবিষ্যতেই বাস্তবায়ন করব।” তিনি আরও জানান, জুন মাসে সৌদি আরবের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করার পরিকল্পনা রয়েছে ফ্রান্সের। সেখানে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে নানা পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে।

এই ঘোষণায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, ফ্রান্স মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগের চেয়েও বেশি সক্রিয় হতে চলেছে। ম্যাখোঁর মতে, “এটা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত হবে, যা ফিলিস্তিনপন্থী সকল পক্ষকে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথ তৈরি করে দেবে। এখনও অনেক ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না।”

দীর্ঘদিন ধরেই ফ্রান্স দুই-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের পক্ষে অবস্থান করে আসছে। তবে, এবার সরাসরি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেশটির কূটনৈতিক অবস্থানে বড় এক পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ফ্রান্সের এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

অন্যদিকে, ইসরায়েল এ ধরনের সিদ্ধান্তের কড়া বিরোধিতা করতে পারে বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, এমন স্বীকৃতি ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে কিছুটা চাপে ফেলতে পারে।

বিশ্বরাজনীতিতে ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে। একদিকে যেমন এটি ফিলিস্তিনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আন্দোলনকে শক্তিশালী করবে, অন্যদিকে শান্তি আলোচনার টেবিলে দুই পক্ষের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।