একমাস পার হলেও ত্রান পাইনি গাজাবাসী

- আপডেট সময় ০৯:৫১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
- / 12
গাজা এখন এক রক্তাক্ত ধ্বংসস্তূপ। এক মাস পেরিয়ে গেলেও একফোঁটা ত্রাণ ঢোকেনি সেখানে। ভয়াবহ মানবিক সংকটে নিপতিত এই উপত্যকার অবস্থা দেখে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গাজা এখন এক হত্যাকাণ্ডের মাঠে পরিণত হয়েছে বেসামরিক মানুষজন এক অন্তহীন মৃত্যুর চক্রে বন্দি হয়ে পড়েছে।’
গুতেরেস জানান, গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় কোনো ধরনের খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ বা বাণিজ্যিক সরবরাহ পৌঁছায়নি। তিনি বলেন, ‘ত্রাণ বন্ধের সঙ্গে সঙ্গেই মানবিক বিপর্যয় আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।’
এই পরিস্থিতির মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনী ও পুলিশ জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ছয়টি স্কুল দখল করে সেগুলো বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বোমার লক্ষ্যে পরিণত হওয়ায় শিশুদের নিরাপত্তা আরও হুমকির মুখে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৮ জন নিহত ও ২১৩ জন আহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনুসে সাংবাদিকদের ক্যাম্পে হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক আহমেদ মানসুর মারা গেছেন। এ হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে।
সবশেষ হিসাবে, গাজায় নিহতের সংখ্যা পেরিয়েছে ৬১ হাজার ৭০০। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে আরও হাজার হাজার মানুষ যাদের অধিকাংশের বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ।
এদিকে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বৈঠকে গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কোন কোন দেশ তাদের গ্রহণ করতে পারে, তা নিয়েই ছিল আলোচনার মূল বিষয়।
অন্যদিকে, হামাসের নেতৃত্বে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলায় নিহত হয় ১ হাজার ১৩৯ জন এবং বন্দি হয় আরও ২০০ জনের বেশি।
মানবিক এই বিপর্যয়ে আন্তর্জাতিক মহলের কার্যকর পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি। গাজার মাটি আর যেন মৃত্যুর সমার্থক না হয় এটাই আজ বিশ্ব বিবেকের সামনে বড় প্রশ্ন।