ঢাকা ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রক্রিয়া চূড়ান্তের পথে: সিইসি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 30

ছবি সংগৃহীত

 

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে শিগগিরই উপযুক্ত ভোটিং পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটদান পদ্ধতি নির্ধারণ’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় অংশ নেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, কর্মকর্তা ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞসহ প্রায় ৮০ জন।

সিইসি বলেন, “প্রবাসীদের ভোটাধিকার এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যু। আমরা বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। কর্মশালায় প্রাপ্ত পরামর্শ ও সুপারিশের ভিত্তিতে একটি বাস্তবভিত্তিক এবং গ্রহণযোগ্য ভোটিং পদ্ধতির কাঠামো তৈরি করব।”

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে সীমিত আকারে এক বা একাধিক দেশে পাইলট প্রকল্প চালুর চিন্তাভাবনা রয়েছে। প্রবাসীদের সামাজিক অবস্থান, রাজনৈতিক পরিবেশ এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।

বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি চালু রয়েছে, যেখানে নির্ধারিত কিছু ক্যাটাগরির ভোটাররা এই পদ্ধতির আওতায় ভোট প্রদান করতে পারেন। তবে প্রবাসীদের জন্য আরও কার্যকর ও নিরাপদ পদ্ধতি নির্ধারণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সিইসি বলেন, “আমাদের কাছে পোস্টাল ও অনলাইন ভোটিংয়ের চেয়ে ‘প্রক্সি ভোটিং’ পদ্ধতিই তুলনামূলকভাবে বেশি উপযোগী বলে মনে হচ্ছে। এ পদ্ধতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, এমআইএসটি ও অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়ন অংশীদারদের মতামত নিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “যে পদ্ধতিটি আমরা বেছে নেব, সেটি অবশ্যই পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে প্রথমে পাইলটিং, এরপর সীমিত পরিসরে এবং সফল হলে বড় আকারে।”

নির্বাচন কমিশন আশাবাদী, এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও শিগগিরই দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রক্রিয়া চূড়ান্তের পথে: সিইসি

আপডেট সময় ১০:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

 

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে শিগগিরই উপযুক্ত ভোটিং পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটদান পদ্ধতি নির্ধারণ’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় অংশ নেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, কর্মকর্তা ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞসহ প্রায় ৮০ জন।

সিইসি বলেন, “প্রবাসীদের ভোটাধিকার এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যু। আমরা বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। কর্মশালায় প্রাপ্ত পরামর্শ ও সুপারিশের ভিত্তিতে একটি বাস্তবভিত্তিক এবং গ্রহণযোগ্য ভোটিং পদ্ধতির কাঠামো তৈরি করব।”

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে সীমিত আকারে এক বা একাধিক দেশে পাইলট প্রকল্প চালুর চিন্তাভাবনা রয়েছে। প্রবাসীদের সামাজিক অবস্থান, রাজনৈতিক পরিবেশ এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।

বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি চালু রয়েছে, যেখানে নির্ধারিত কিছু ক্যাটাগরির ভোটাররা এই পদ্ধতির আওতায় ভোট প্রদান করতে পারেন। তবে প্রবাসীদের জন্য আরও কার্যকর ও নিরাপদ পদ্ধতি নির্ধারণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সিইসি বলেন, “আমাদের কাছে পোস্টাল ও অনলাইন ভোটিংয়ের চেয়ে ‘প্রক্সি ভোটিং’ পদ্ধতিই তুলনামূলকভাবে বেশি উপযোগী বলে মনে হচ্ছে। এ পদ্ধতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, এমআইএসটি ও অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়ন অংশীদারদের মতামত নিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “যে পদ্ধতিটি আমরা বেছে নেব, সেটি অবশ্যই পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে প্রথমে পাইলটিং, এরপর সীমিত পরিসরে এবং সফল হলে বড় আকারে।”

নির্বাচন কমিশন আশাবাদী, এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও শিগগিরই দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।