ঢাকা ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নতুন নির্দেশনা প্রকাশ গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের নেমপ্লেট ও আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক আন্দোলন করলেই অবসরে যাবেন সরকারী চাকুরীজীবীরা ডিএনএ টেস্টে সনাক্ত হলো ৫ জনের পরিচয় সাজেক থেকে ফিরছেন পর্যটকরা, যান চলাচল স্বাভাবিক সেনবাগে খালের উপর জবরদখল করে ব্রীজ ও  নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পুশইন না পুশব্যাক ? বিব্রত বাংলা ভাষাভাষী মানুষেরা রাশিয়ায় নিখোঁজ উড়োজাহাজ ৪৯ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত মিডিয়াতে প্রকাশের পর পোষাক নির্দেশনা প্রত্যাহার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান তার স্ত্রী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রক্রিয়া চূড়ান্তের পথে: সিইসি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 37

ছবি সংগৃহীত

 

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে শিগগিরই উপযুক্ত ভোটিং পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটদান পদ্ধতি নির্ধারণ’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় অংশ নেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, কর্মকর্তা ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞসহ প্রায় ৮০ জন।

সিইসি বলেন, “প্রবাসীদের ভোটাধিকার এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যু। আমরা বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। কর্মশালায় প্রাপ্ত পরামর্শ ও সুপারিশের ভিত্তিতে একটি বাস্তবভিত্তিক এবং গ্রহণযোগ্য ভোটিং পদ্ধতির কাঠামো তৈরি করব।”

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে সীমিত আকারে এক বা একাধিক দেশে পাইলট প্রকল্প চালুর চিন্তাভাবনা রয়েছে। প্রবাসীদের সামাজিক অবস্থান, রাজনৈতিক পরিবেশ এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।

বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি চালু রয়েছে, যেখানে নির্ধারিত কিছু ক্যাটাগরির ভোটাররা এই পদ্ধতির আওতায় ভোট প্রদান করতে পারেন। তবে প্রবাসীদের জন্য আরও কার্যকর ও নিরাপদ পদ্ধতি নির্ধারণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সিইসি বলেন, “আমাদের কাছে পোস্টাল ও অনলাইন ভোটিংয়ের চেয়ে ‘প্রক্সি ভোটিং’ পদ্ধতিই তুলনামূলকভাবে বেশি উপযোগী বলে মনে হচ্ছে। এ পদ্ধতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, এমআইএসটি ও অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়ন অংশীদারদের মতামত নিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “যে পদ্ধতিটি আমরা বেছে নেব, সেটি অবশ্যই পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে প্রথমে পাইলটিং, এরপর সীমিত পরিসরে এবং সফল হলে বড় আকারে।”

নির্বাচন কমিশন আশাবাদী, এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও শিগগিরই দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রক্রিয়া চূড়ান্তের পথে: সিইসি

আপডেট সময় ১০:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

 

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে শিগগিরই উপযুক্ত ভোটিং পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটদান পদ্ধতি নির্ধারণ’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় অংশ নেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, কর্মকর্তা ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞসহ প্রায় ৮০ জন।

সিইসি বলেন, “প্রবাসীদের ভোটাধিকার এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যু। আমরা বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। কর্মশালায় প্রাপ্ত পরামর্শ ও সুপারিশের ভিত্তিতে একটি বাস্তবভিত্তিক এবং গ্রহণযোগ্য ভোটিং পদ্ধতির কাঠামো তৈরি করব।”

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে সীমিত আকারে এক বা একাধিক দেশে পাইলট প্রকল্প চালুর চিন্তাভাবনা রয়েছে। প্রবাসীদের সামাজিক অবস্থান, রাজনৈতিক পরিবেশ এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।

বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি চালু রয়েছে, যেখানে নির্ধারিত কিছু ক্যাটাগরির ভোটাররা এই পদ্ধতির আওতায় ভোট প্রদান করতে পারেন। তবে প্রবাসীদের জন্য আরও কার্যকর ও নিরাপদ পদ্ধতি নির্ধারণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সিইসি বলেন, “আমাদের কাছে পোস্টাল ও অনলাইন ভোটিংয়ের চেয়ে ‘প্রক্সি ভোটিং’ পদ্ধতিই তুলনামূলকভাবে বেশি উপযোগী বলে মনে হচ্ছে। এ পদ্ধতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, এমআইএসটি ও অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়ন অংশীদারদের মতামত নিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “যে পদ্ধতিটি আমরা বেছে নেব, সেটি অবশ্যই পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে প্রথমে পাইলটিং, এরপর সীমিত পরিসরে এবং সফল হলে বড় আকারে।”

নির্বাচন কমিশন আশাবাদী, এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও শিগগিরই দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।