ঢাকা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উচ্চ সতর্কতায় ইরান, প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 36

ছবি সংগৃহীত

 

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার বাতাস বইছে। ইরান তার সামরিক প্রস্তুতি সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করেছে এবং সরাসরি হুমকি ছুড়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের প্রতি। ইসরাইলের প্রভাবশালী সংবাদপত্র ‘ইয়েদিওথ আহরোনোথ’-এর বরাতে জানা গেছে, ইরান তার প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থানে রেখেছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এ পদক্ষেপের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপস হবে না। তিনি এক বিবৃতিতে জানান, “বহিরাগত হুমকি এখন আর শুধু সম্ভাবনা নয় এটি বাস্তব রূপ নিচ্ছে। তাই সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।”

তবে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল নয়, ইরান প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিও সতর্কবার্তা দিয়েছে। বিশেষ করে ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক ও বাহরাইন এই দেশগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তেহরান জানিয়েছে, “ইরানের আকাশসীমা বা মাটি ব্যবহার করে কেউ যদি তেহরানবিরোধী অভিযানে সহায়তা করে, তবে সেটিকে সরাসরি শত্রুতার কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।”

তেহরান স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, “যে কোনো ধরনের সহায়তা চাই তা আকাশসীমা ব্যবহার হোক বা সামরিক ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রকে যদি আক্রমণ পরিচালনায় সুযোগ করে দেয়, তবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকেও প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের এমন কড়া বার্তা শুধু রাজনৈতিক চাপ নয়, এটি একটি কৌশলগত অবস্থান। মার্কিন-ইরান উত্তেজনার এই ঢেউ এখন ছড়িয়ে পড়ছে সমগ্র অঞ্চলে। বিশেষ করে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো এখন একধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এই ধরনের ঘোষণা স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করছে। যুদ্ধ নয়, শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য এখনই কূটনৈতিক চ্যানেলগুলো সক্রিয় করা জরুরি এমনটাই মত বিশ্লেষকদের। কারণ, একমাত্র সংলাপই পারে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে শান্ত করতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

উচ্চ সতর্কতায় ইরান, প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় ০৭:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

 

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার বাতাস বইছে। ইরান তার সামরিক প্রস্তুতি সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করেছে এবং সরাসরি হুমকি ছুড়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের প্রতি। ইসরাইলের প্রভাবশালী সংবাদপত্র ‘ইয়েদিওথ আহরোনোথ’-এর বরাতে জানা গেছে, ইরান তার প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থানে রেখেছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এ পদক্ষেপের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপস হবে না। তিনি এক বিবৃতিতে জানান, “বহিরাগত হুমকি এখন আর শুধু সম্ভাবনা নয় এটি বাস্তব রূপ নিচ্ছে। তাই সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।”

তবে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল নয়, ইরান প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিও সতর্কবার্তা দিয়েছে। বিশেষ করে ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক ও বাহরাইন এই দেশগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তেহরান জানিয়েছে, “ইরানের আকাশসীমা বা মাটি ব্যবহার করে কেউ যদি তেহরানবিরোধী অভিযানে সহায়তা করে, তবে সেটিকে সরাসরি শত্রুতার কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।”

তেহরান স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, “যে কোনো ধরনের সহায়তা চাই তা আকাশসীমা ব্যবহার হোক বা সামরিক ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রকে যদি আক্রমণ পরিচালনায় সুযোগ করে দেয়, তবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকেও প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের এমন কড়া বার্তা শুধু রাজনৈতিক চাপ নয়, এটি একটি কৌশলগত অবস্থান। মার্কিন-ইরান উত্তেজনার এই ঢেউ এখন ছড়িয়ে পড়ছে সমগ্র অঞ্চলে। বিশেষ করে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো এখন একধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এই ধরনের ঘোষণা স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করছে। যুদ্ধ নয়, শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য এখনই কূটনৈতিক চ্যানেলগুলো সক্রিয় করা জরুরি এমনটাই মত বিশ্লেষকদের। কারণ, একমাত্র সংলাপই পারে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে শান্ত করতে।