ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দিনাজপুরে লিচুর ফুলে মধু উৎপাদনে বিপ্লব, আয় ১২০ কোটি টাকার বেশি শেখ হাসিনার ফেরার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বৈশাখে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই, কঠোর নজরদারিতে থাকবে উৎসব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রক্রিয়া চূড়ান্তের পথে: সিইসি হজযাত্রী নিয়ে অনিশ্চয়তা: ধর্ম উপদেষ্টার হুঁশিয়ারি এজেন্সিগুলোর প্রতি বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বসানো উচিত হয়নি – মন্তব্য নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদের ব্যাংকিং খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বাংলাদেশ ও দ. কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের যুগান্তকারী চুক্তি টেকনাফ উপকূলে আরাকান আর্মির দাপট: ট্রলারসহ ১১ জেলে অপহৃত মহাকাশ অভিযানে নতুন অধ্যায়: নাসার আর্টেমিস অ্যাকর্ডে বাংলাদেশের চুক্তি সই কিছু মহল অধ্যাপক ইউনূসকে জোরপূর্বক আরও ৫ বছর ক্ষমতায় রাখতে চায়: মাহমুদুর রহমান মান্না

মারাত্মক ঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণহানি ১৬, ব্যাপক ধ্বংস ও বন্যার আশঙ্কা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পূর্বাঞ্চলজুড়ে ভয়াবহ ঝড় ও টর্নেডোর তাণ্ডবে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক বসতবাড়ি, রাস্তা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা জানিয়েছে, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। আগামী দিনগুলোতে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কায় বেশ কিছু এলাকায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

বৈরী আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে টেনেসি অঙ্গরাজ্য। পশ্চিম টেনেসিতে একদিনেই প্রাণ গেছে ১০ জনের। কেনটাকিতে এক শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার জানান, একটি শিশু বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়া মিসৌরি ও ইন্ডিয়ানাতেও প্রাণহানির খবর মিলেছে।

ঝড়ের প্রভাবে আরকানসাস থেকে ওহাইও পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লিটল রকে একটি ধসে পড়া ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোতে দেখা যায়, উল্টে যাওয়া গাড়ি, উপড়ে যাওয়া গাছপালা, ছিন্ন বিদ্যুৎ লাইন আর ধ্বংসস্তূপে পরিণত ঘরবাড়ি।

শনিবার রাতে পাওয়ারআউটেজ নামের একটি ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট জানায়, আরকানসাস ও টেনেসি মিলিয়ে লাখাধিক মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, রোববার টেনেসি উপত্যকা ও লোয়ার মিসিসিপি অঞ্চলে আরও কয়েকটি তীব্র ঝড় ও টর্নেডো আঘাত হানতে পারে। এই ঝড়গুলোতে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি থাকায় বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এমন চরম আবহাওয়া আরও ঘন ঘন ও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড পরিমাণ উচ্চ তাপমাত্রা ও ঝড়-হারিকেনের কারণে চরম দুর্যোগ দেখা দেয়।

কর্তৃপক্ষ জনগণকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। একইসাথে পানির মধ্য দিয়ে গাড়ি না চালাতে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
৫০২ বার পড়া হয়েছে

মারাত্মক ঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণহানি ১৬, ব্যাপক ধ্বংস ও বন্যার আশঙ্কা

আপডেট সময় ০৮:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পূর্বাঞ্চলজুড়ে ভয়াবহ ঝড় ও টর্নেডোর তাণ্ডবে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক বসতবাড়ি, রাস্তা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা জানিয়েছে, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। আগামী দিনগুলোতে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কায় বেশ কিছু এলাকায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

বৈরী আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে টেনেসি অঙ্গরাজ্য। পশ্চিম টেনেসিতে একদিনেই প্রাণ গেছে ১০ জনের। কেনটাকিতে এক শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার জানান, একটি শিশু বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়া মিসৌরি ও ইন্ডিয়ানাতেও প্রাণহানির খবর মিলেছে।

ঝড়ের প্রভাবে আরকানসাস থেকে ওহাইও পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লিটল রকে একটি ধসে পড়া ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোতে দেখা যায়, উল্টে যাওয়া গাড়ি, উপড়ে যাওয়া গাছপালা, ছিন্ন বিদ্যুৎ লাইন আর ধ্বংসস্তূপে পরিণত ঘরবাড়ি।

শনিবার রাতে পাওয়ারআউটেজ নামের একটি ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট জানায়, আরকানসাস ও টেনেসি মিলিয়ে লাখাধিক মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, রোববার টেনেসি উপত্যকা ও লোয়ার মিসিসিপি অঞ্চলে আরও কয়েকটি তীব্র ঝড় ও টর্নেডো আঘাত হানতে পারে। এই ঝড়গুলোতে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি থাকায় বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এমন চরম আবহাওয়া আরও ঘন ঘন ও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড পরিমাণ উচ্চ তাপমাত্রা ও ঝড়-হারিকেনের কারণে চরম দুর্যোগ দেখা দেয়।

কর্তৃপক্ষ জনগণকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। একইসাথে পানির মধ্য দিয়ে গাড়ি না চালাতে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।