গাজার জন্য হরতাল কর্মসূচিতে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণের আহ্বান সারজিস আলমের
গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ৭ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী ঘোষিত হরতালে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর উত্তরাঞ্চল মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
রোববার (৬ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গাজাবাসী আজ রক্তাক্ত। গণহত্যার বিরুদ্ধে তারা সারা বিশ্বের বিবেকবান মানুষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ৭ এপ্রিল স্কুল, কলেজ, অফিস-আদালত বন্ধ রেখে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য। আমাদেরও এই ন্যায়ের লড়াইয়ে কণ্ঠ মিলানো উচিত।”
তিনি জানান, “এই কর্মসূচি কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানারে নয়, বরং ‘বাংলাদেশ’-এর নামেই আমরা রাজপথে দাঁড়াব। আমাদের প্রতিবাদ হোক মানবতার পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। ইসরায়েলের খুনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে স্লোগানে মুখরিত হোক বাংলার রাজপথ।”
সারজিস আলম বলেন, “গাজায় গিয়ে আমরা হয়তো লড়তে পারবো না, কিন্তু এখানে দাঁড়িয়ে তাদের জন্য সংগ্রামের অংশ হতে পারি। সবার আগে আমরা মানুষ, তারপর কোনো দলের অনুসারী। তাই দল-মত ভুলে দেশের প্রতিটি জেলা, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই হরতালে অংশ নিতে হবে।”
তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, “এই হরতাল হোক একাত্মতার প্রতীক। বাংলাদেশের মানুষ দেখাক, আমরা নিপীড়িতদের পাশে আছি। এই দিনে আমরা গাজার শিশুদের কান্না, নারীদের আহাজারি, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া স্বপ্নগুলোকে স্মরণ করি। আমাদের প্রতিবাদ হোক গর্জে ওঠা এক মানবিক চেতনাই, যা বিশ্ববাসীকে নাড়িয়ে দেবে।”
সারজিস আলম তাঁর বার্তার শেষে লেখেন, “মার্চ ফর গাজা। বাংলাদেশ ফর গাজা। এই একদিনের প্রতিরোধই হতে পারে অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।”
বিশ্বের নানা প্রান্তে যখন গাজার পক্ষে মানুষ একত্রিত হচ্ছে, তখন বাংলাদেশও পিছিয়ে থাকবে না এমনটাই প্রত্যাশা ছাত্র-জনতা এবং বিবেকবান নাগরিকদের।