ইসরায়েলি হামলায় অস্থির সিরিয়া, সংঘাতে জড়াতে চায় না তুরস্ক

- আপডেট সময় ০১:১২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫১৪ বার পড়া হয়েছে
সিরিয়ায় শাসন বদলের পর থেকে দেশটির সামরিক স্থাপনাগুলোতে নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরই মাঝে প্রতিবেশী ও ন্যাটো সদস্য তুরস্ক জানিয়ে দিয়েছে, নতুন সিরীয় সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়েও তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়াতে চায় না।
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এই অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি রয়টার্সকে বলেন, “সিরিয়া সিরিয়ানদের। আমরা সেখানে সংঘর্ষ চাই না। তবে ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলায় নতুন সরকারের ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ছে, যা ইসলামিক স্টেটসহ নানা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর জন্য সুযোগ তৈরি করছে।”
হাকান ফিদান আরও জানান, ইসরায়েলি হামলা কেবল সিরিয়ার ভেতরে নয়, বরং পুরো অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। তার মতে, এসব আক্রমণ সিরিয়ার মাটিতে গঠিত শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সরকারকে ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তুরস্ক ও সিরিয়া এখন একসঙ্গে কাজ করছে ইসলামিক স্টেটের পুনরুত্থান ঠেকাতে এবং পিকেকে’র মতো নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে।
তবে ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্ক নাকি সিরিয়াকে তুর্কি প্রভাবাধীন অঞ্চলে পরিণত করতে চায়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ইসরায়েলের হামলা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তুরস্ক এমন প্রেক্ষাপটে সিরিয়ার সঙ্গে একটি যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তির পরিকল্পনা করছে, যার মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার এবং সন্ত্রাসী তৎপরতা ঠেকানো যাবে। হাকান ফিদান মনে করেন, এই উদ্যোগকে ব্যাহত করার চেষ্টা চলছে এবং তাতে পুরো অঞ্চল আবার বিশৃঙ্খলার দিকে ধাবিত হতে পারে।
উল্লেখ্য, তুরস্ক ২০২৩ সাল থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে সরব ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার অভিযোগও দায়ের করেছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করেছে।