ঢাকা ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আইপিএলের ফাইনালে মুখোমুখি বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব, জয়ের খোঁজে দুই দলই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে স্টপেজ থেকেই যাত্রীদের ছবি তুলতে হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সচিবালয়ের সংকট সমাধানে উপদেষ্টা পর্যায়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা পুশ-ইন ইস্যুতে ভারতকে আবারও চিঠি দেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ১২০০ বস্তা চাল “গুজব”: প্রতিক্রিয়া জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামবে: গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং ভেসেল থেকে পড়ে ২ নাবিকের মর্মান্তিক মৃত্যু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ২০০ একর জমি হস্তান্তর সম্পন্ন হত্যাসহ ৫ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর
হেলথ টিপস

বিষধর সাপে কামড়ানো রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:০৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 50

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে সাপের কামড় একটি সাধারণ সমস্যা। বিশেষ করে গ্রীষ্মমন্ডলীয় আবহাওয়ার কারণে সাপের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সাপে কামড়ানোর উপদ্রবটি সম্প্রতি বেশ বেড়েছে। গ্রামীণ জীবনে সাপে কাটার বিষয়টি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হলেও মে থেকে অক্টোবর মাসে তা বেড়ে যায়। তবে সাপে কাটলেই যে বিষক্রিয়া হবে, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। সাপে কামড়ালে করণীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ বিষধর সাপের কামড়ের শিকার হন, তবে কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত:

শান্ত থাকুন: প্রথমে আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়। ধীরে ধীরে ও শান্তভাবে কাজ করুন। রোগীকে বিশ্রাম করতে বলুন। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বারবার আশ্বস্ত করতে হবে এবং সাহস দিতে হবে, আতঙ্কগ্রস্ত হতে দেওয়া যাবে না। নির্বিষ সাপের কামড়েও আতঙ্কিত হয়ে মানসিক আঘাতে মারা যেতে পারে মানুষ।

ক্ষত স্থান ভালভাবে পরিষ্কার করুন: দংশিত স্থানে বিষ দাঁতের ক্ষত চিহ্ন আছে কিনা দেখতে হবে। কামড়ানো স্থানটি সাবান এবং পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন, কিন্তু এটি খুব বেশি ঘর্ষণ করবেন না। মূলত জীবাণু দূর করার জন্য এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। ঘড়ি বা অলঙ্কার বা তাবিজ, তাগা ইত্যাদি পড়ে থাকলে খুলে ফেলুন। কারণ এগুলো রক্তপ্রবাহে বাধা তৈরি করে ও অনেক সময় চিকিৎসা প্রক্রিয়ার জন্য সমস্যা হয়ে যায়।

কামড়ের স্থানে চাপ দিন: আক্রান্ত স্থানে একটি পরিষ্কার কাপড় বা ব্যান্ডেজ দিয়ে চাপ দিন। এটি রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। এমনভাবে, যেন বাঁধন অনেক বেশি শক্ত অথবা ঢিলা না হয়। বাঁধনের নিচ দিয়ে যাতে দুটি আঙুল ঢোকানো যায়, তা যেমন বিষের প্রবাহের বাধা দিতে যথেষ্ট কার্যকর, তেমনি রক্ত চলাচলেরও উপযোগী থাকবে বলা যায়।

রোগীর তথ্য সংগ্রহ করুন: সাপে কামড়ানোর পরে কামড়ানো সাপটির প্রকার নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি চিকিৎসায় সহায়তা করবে। যদি সাপটিকে ইতোমধ্যে মেরেই ফেলেন, তাহলে সেটি হাসপাতালে নিয়ে আসুন। তবে এ ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

সাপের বিষের প্রতিষেধক: চিকিৎসকরা রোগীকে বিষের প্রতিষেধক দিতে পারেন। এটি সাপের বিষের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সাহায্য করবে। সাপের বিষের প্রতিষেধক হিসেবে অ্যান্টিভেনম ব্যবহৃত হয়। এর পাশাপাশি রোগীর অবস্থার ওপর নজর রাখা জরুরি।

হাসপাতালে যাওয়া: যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা সঠিক চিকিৎসা প্রদান করবেন। বিষ প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম কাছাকাছি সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে পাওয়া যায়।

বিষধর সাপে কামড়ালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। বিষধর সাপের কামড়ের লক্ষণ চিহ্নিত করা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা জীবন রক্ষাকারী হতে পারে। সাপের কামড় হলে অতি দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, সচেতন থাকুন এবং সাপের কামড় হলে কী করা উচিত সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানুন। 

নিউজটি শেয়ার করুন

হেলথ টিপস

বিষধর সাপে কামড়ানো রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা

আপডেট সময় ০৮:০৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

 

বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে সাপের কামড় একটি সাধারণ সমস্যা। বিশেষ করে গ্রীষ্মমন্ডলীয় আবহাওয়ার কারণে সাপের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সাপে কামড়ানোর উপদ্রবটি সম্প্রতি বেশ বেড়েছে। গ্রামীণ জীবনে সাপে কাটার বিষয়টি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হলেও মে থেকে অক্টোবর মাসে তা বেড়ে যায়। তবে সাপে কাটলেই যে বিষক্রিয়া হবে, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। সাপে কামড়ালে করণীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ বিষধর সাপের কামড়ের শিকার হন, তবে কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত:

শান্ত থাকুন: প্রথমে আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়। ধীরে ধীরে ও শান্তভাবে কাজ করুন। রোগীকে বিশ্রাম করতে বলুন। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বারবার আশ্বস্ত করতে হবে এবং সাহস দিতে হবে, আতঙ্কগ্রস্ত হতে দেওয়া যাবে না। নির্বিষ সাপের কামড়েও আতঙ্কিত হয়ে মানসিক আঘাতে মারা যেতে পারে মানুষ।

ক্ষত স্থান ভালভাবে পরিষ্কার করুন: দংশিত স্থানে বিষ দাঁতের ক্ষত চিহ্ন আছে কিনা দেখতে হবে। কামড়ানো স্থানটি সাবান এবং পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন, কিন্তু এটি খুব বেশি ঘর্ষণ করবেন না। মূলত জীবাণু দূর করার জন্য এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। ঘড়ি বা অলঙ্কার বা তাবিজ, তাগা ইত্যাদি পড়ে থাকলে খুলে ফেলুন। কারণ এগুলো রক্তপ্রবাহে বাধা তৈরি করে ও অনেক সময় চিকিৎসা প্রক্রিয়ার জন্য সমস্যা হয়ে যায়।

কামড়ের স্থানে চাপ দিন: আক্রান্ত স্থানে একটি পরিষ্কার কাপড় বা ব্যান্ডেজ দিয়ে চাপ দিন। এটি রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। এমনভাবে, যেন বাঁধন অনেক বেশি শক্ত অথবা ঢিলা না হয়। বাঁধনের নিচ দিয়ে যাতে দুটি আঙুল ঢোকানো যায়, তা যেমন বিষের প্রবাহের বাধা দিতে যথেষ্ট কার্যকর, তেমনি রক্ত চলাচলেরও উপযোগী থাকবে বলা যায়।

রোগীর তথ্য সংগ্রহ করুন: সাপে কামড়ানোর পরে কামড়ানো সাপটির প্রকার নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি চিকিৎসায় সহায়তা করবে। যদি সাপটিকে ইতোমধ্যে মেরেই ফেলেন, তাহলে সেটি হাসপাতালে নিয়ে আসুন। তবে এ ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

সাপের বিষের প্রতিষেধক: চিকিৎসকরা রোগীকে বিষের প্রতিষেধক দিতে পারেন। এটি সাপের বিষের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সাহায্য করবে। সাপের বিষের প্রতিষেধক হিসেবে অ্যান্টিভেনম ব্যবহৃত হয়। এর পাশাপাশি রোগীর অবস্থার ওপর নজর রাখা জরুরি।

হাসপাতালে যাওয়া: যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা সঠিক চিকিৎসা প্রদান করবেন। বিষ প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম কাছাকাছি সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে পাওয়া যায়।

বিষধর সাপে কামড়ালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। বিষধর সাপের কামড়ের লক্ষণ চিহ্নিত করা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা জীবন রক্ষাকারী হতে পারে। সাপের কামড় হলে অতি দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, সচেতন থাকুন এবং সাপের কামড় হলে কী করা উচিত সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানুন।