০৪:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

চোখের পানি কেন শুকিয়ে যায় এবং এর করণীয় কি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:১৭:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 264

ছবি সংগৃহীত

 

চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়ার কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে, এবং এর সাথে সম্পর্কিত করণীয় কিছু পদক্ষেপও রয়েছে।

চোখের পানি শুকানোর কারণ:

বিজ্ঞাপন

অপর্যাপ্ত অশ্রু উৎপাদন: বয়সের সাথে সাথে অশ্রু উৎপাদন কমে যেতে পারে, বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে, বিশেষ করে মেনোপজ পরবর্তী সময়ে।

শুকনো পরিবেশ: বেশি , হিটিং সিস্টেম বা দূষিত বাতাসের মধ্যে থাকলে চোখের পানি দ্রুত শুকিয়ে যেতে পারে।

কম্পিউটার বা ফোন ব্যবহারে দীর্ঘ সময়: এটি চোখের পলক ফেলানোর হার কমিয়ে দেয়, ফলে চোখ শুকিয়ে যায়।

চোখের প্রদাহ বা ইনফেকশন: কনজাঙ্কটিভাইটিস বা চোখের অন্য কোনো সংক্রমণ থেকেও চোখে শুকনোভাব হতে পারে।

ড্রাই আই সিনড্রোম: এটি একটি সাধারণ অবস্থার নাম, যেখানে চোখের অশ্রু গ্রন্থি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, ফলে চোখে অস্বস্তি ও শুষ্কতা দেখা দেয়।

ডায়াবেটিস বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা: শরীরের জলশূন্যতা বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা চোখের শুষ্কতা বাড়াতে পারে।

করণীয়:

অশ্রু বা আই ড্রপ ব্যবহার: চোখের শুষ্কতা কমানোর জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী অশ্রু বা আই ড্রপ ব্যবহার করুন।

তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: শুষ্ক পরিবেশে দীর্ঘ সময় না থাকার চেষ্টা করুন, এবং যদি প্রয়োজন হয়, গৃহের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণের জন্য হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।

অফিস বা কম্পিউটার ব্যবহারে নিয়মিত বিরতি নিন: ২০-২০-২০ নিয়ম অনুসরণ করুন, অর্থাৎ প্রতি ২০ মিনিটে ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরে কোনো কিছু দেখুন।

পর্যাপ্ত পানি পান: শরীরের অভ্যন্তরীণ জলশূন্যতা দূর করতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

চোখের চিকিৎসকের পরামর্শ: যদি শুষ্কতা গুরুতর হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

এই সব পদক্ষেপ চোখের পানি শুকানোর সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে, তবে গুরুতর সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

চোখের পানি কেন শুকিয়ে যায় এবং এর করণীয় কি

আপডেট সময় ০৬:১৭:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

 

চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়ার কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে, এবং এর সাথে সম্পর্কিত করণীয় কিছু পদক্ষেপও রয়েছে।

চোখের পানি শুকানোর কারণ:

বিজ্ঞাপন

অপর্যাপ্ত অশ্রু উৎপাদন: বয়সের সাথে সাথে অশ্রু উৎপাদন কমে যেতে পারে, বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে, বিশেষ করে মেনোপজ পরবর্তী সময়ে।

শুকনো পরিবেশ: বেশি , হিটিং সিস্টেম বা দূষিত বাতাসের মধ্যে থাকলে চোখের পানি দ্রুত শুকিয়ে যেতে পারে।

কম্পিউটার বা ফোন ব্যবহারে দীর্ঘ সময়: এটি চোখের পলক ফেলানোর হার কমিয়ে দেয়, ফলে চোখ শুকিয়ে যায়।

চোখের প্রদাহ বা ইনফেকশন: কনজাঙ্কটিভাইটিস বা চোখের অন্য কোনো সংক্রমণ থেকেও চোখে শুকনোভাব হতে পারে।

ড্রাই আই সিনড্রোম: এটি একটি সাধারণ অবস্থার নাম, যেখানে চোখের অশ্রু গ্রন্থি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, ফলে চোখে অস্বস্তি ও শুষ্কতা দেখা দেয়।

ডায়াবেটিস বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা: শরীরের জলশূন্যতা বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা চোখের শুষ্কতা বাড়াতে পারে।

করণীয়:

অশ্রু বা আই ড্রপ ব্যবহার: চোখের শুষ্কতা কমানোর জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী অশ্রু বা আই ড্রপ ব্যবহার করুন।

তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: শুষ্ক পরিবেশে দীর্ঘ সময় না থাকার চেষ্টা করুন, এবং যদি প্রয়োজন হয়, গৃহের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণের জন্য হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।

অফিস বা কম্পিউটার ব্যবহারে নিয়মিত বিরতি নিন: ২০-২০-২০ নিয়ম অনুসরণ করুন, অর্থাৎ প্রতি ২০ মিনিটে ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরে কোনো কিছু দেখুন।

পর্যাপ্ত পানি পান: শরীরের অভ্যন্তরীণ জলশূন্যতা দূর করতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

চোখের চিকিৎসকের পরামর্শ: যদি শুষ্কতা গুরুতর হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

এই সব পদক্ষেপ চোখের পানি শুকানোর সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে, তবে গুরুতর সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।