ঢাকা ১২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সুদানের স্বর্ণখনি ধসে ১১ শ্রমিক নিহত, আহত ৭ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে এখনো পুরোপুরি আশ্বস্ত নয় বিএনপি: মোশাররফ হোসেন ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ আজ বিকেলে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার টিকটক বিক্রির জন্য একটি প্রভাবশালী ও অর্থবিত্তশালী ক্রেতা গোষ্ঠী খুঁজে পেয়েছি: ট্রাম্প কূটনৈতিক আলোচনায় ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রকে হামলার হুমকি প্রত্যাহারের আহ্বান ইরানের নওগাঁয় ভরা মৌসুমেও চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী, বস্তাপ্রতি বেড়েছে ৪০০ টাকা ইরানের কারাগারে ইসরায়েলি হামলায় ৭১ জন নিহত, নিখোঁজ বহু বন্দি গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৭২, ত্রাণ কেন্দ্রেও হামলা যুক্তরাষ্ট্রের পাহাড়ি অঞ্চলে স্নাইপার হামলা, নিহত ২ ফায়ার সার্ভিস কর্মী

চুয়াডাঙ্গায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ফার্নিচার কারখানাসহ বহু দোকান পুড়ে ছাই, কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / 48

ছবি সংগৃহীত

 

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বদরগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি ফার্নিচার কারখানা ও দোকান পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা দ্রুতই আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় রাত দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে এরই মধ্যে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাজারের একটি ফার্নিচার কারখানায় প্রথম আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে এবং পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে কাঠের তৈরি ফার্নিচারের কারখানাগুলোয় থাকা দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকল বাহিনীকে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডে বাজারের চারটি ফার্নিচারের কারখানা, একটি চায়ের দোকান ও একটি সেলুন সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। এতে কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। রাতারাতি ব্যবসার এভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অনেক ব্যবসায়ীকে হতাশায় ফেলেছে।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ চলছে।

এ অগ্নিকাণ্ডে বদরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই দাবি করছেন, বাজারে অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল ছিল, যা এত বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন এবং বাজারে পর্যাপ্ত অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

চুয়াডাঙ্গায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ফার্নিচার কারখানাসহ বহু দোকান পুড়ে ছাই, কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি

আপডেট সময় ১২:২৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

 

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বদরগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি ফার্নিচার কারখানা ও দোকান পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা দ্রুতই আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় রাত দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে এরই মধ্যে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাজারের একটি ফার্নিচার কারখানায় প্রথম আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে এবং পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে কাঠের তৈরি ফার্নিচারের কারখানাগুলোয় থাকা দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকল বাহিনীকে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডে বাজারের চারটি ফার্নিচারের কারখানা, একটি চায়ের দোকান ও একটি সেলুন সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। এতে কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। রাতারাতি ব্যবসার এভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অনেক ব্যবসায়ীকে হতাশায় ফেলেছে।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ চলছে।

এ অগ্নিকাণ্ডে বদরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই দাবি করছেন, বাজারে অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল ছিল, যা এত বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন এবং বাজারে পর্যাপ্ত অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।