ঢাকা ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

চুয়াডাঙ্গায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ফার্নিচার কারখানাসহ বহু দোকান পুড়ে ছাই, কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / 24

ছবি সংগৃহীত

 

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বদরগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি ফার্নিচার কারখানা ও দোকান পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা দ্রুতই আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় রাত দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে এরই মধ্যে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাজারের একটি ফার্নিচার কারখানায় প্রথম আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে এবং পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে কাঠের তৈরি ফার্নিচারের কারখানাগুলোয় থাকা দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকল বাহিনীকে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডে বাজারের চারটি ফার্নিচারের কারখানা, একটি চায়ের দোকান ও একটি সেলুন সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। এতে কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। রাতারাতি ব্যবসার এভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অনেক ব্যবসায়ীকে হতাশায় ফেলেছে।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ চলছে।

এ অগ্নিকাণ্ডে বদরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই দাবি করছেন, বাজারে অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল ছিল, যা এত বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন এবং বাজারে পর্যাপ্ত অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

চুয়াডাঙ্গায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ফার্নিচার কারখানাসহ বহু দোকান পুড়ে ছাই, কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি

আপডেট সময় ১২:২৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

 

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বদরগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি ফার্নিচার কারখানা ও দোকান পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা দ্রুতই আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় রাত দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে এরই মধ্যে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাজারের একটি ফার্নিচার কারখানায় প্রথম আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে এবং পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে কাঠের তৈরি ফার্নিচারের কারখানাগুলোয় থাকা দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকল বাহিনীকে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডে বাজারের চারটি ফার্নিচারের কারখানা, একটি চায়ের দোকান ও একটি সেলুন সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। এতে কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। রাতারাতি ব্যবসার এভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অনেক ব্যবসায়ীকে হতাশায় ফেলেছে।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ চলছে।

এ অগ্নিকাণ্ডে বদরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই দাবি করছেন, বাজারে অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল ছিল, যা এত বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন এবং বাজারে পর্যাপ্ত অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।