ঢাকা ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আরব সাগরে মার্কিন রণতরীতে হুতিদের ড্রোন হামলার দাবি কাশ্মীর সংকটে ট্রাম্পের কাছে হস্তক্ষেপ চাইলেন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত চলন্ত গাড়িতে গুলি করে এমপিকে হত্যা কুয়েটে অন্তবর্তী উপাচার্যের দায়িত্বে অধ্যাপক ড. হযরত আলী খুনির সমর্থকরা ‘সাংবাদিক’ পরিচয় ব্যবহার বাদ দিন : মুশফিক সবচেয়ে সফল প্রথম ১০০ দিন শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব না: প্রধান উপদেষ্টা শ্রম আদালতে ঝুলছে ২২ হাজার মামলা ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় সংঘর্ষ এড়াতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানের দরপতনে বিপাকে আশুগঞ্জ মোকাম, অস্তিত্ব সংকটে মিল মালিকরা

সেমিফাইনালে মেসিদের উড়িয়ে কনকাকাফের ফাইনালে ভ্যানকুভার এফসি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

 

কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে কানাডার ক্লাব ভ্যানকুভার এফসি। লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামিকে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে তারা।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১ মে) ভোর ৬টায় চেইস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ২-০ গোলের জয় নিয়ে দ্বিতীয় লেগে স্বস্তিতে মাঠে নামে ভ্যানকুভার। তবে ইন্টার মায়ামির সামনে ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ ফাইনালে যেতে হলে অন্তত ৩-০ গোলে জিততে হতো তাদের।

ম্যাচের শুরুটা ছিল মেসিদের জন্য স্বপ্নময়। ৯ মিনিটেই মেসি ও সুয়ারেজের পাসে দুর্দান্ত গোল করেন জর্দি আলবা। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে স্বাগতিক ইন্টার মায়ামি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দৃশ্যপট পাল্টে দেয় ভ্যানকুভার এফসি। ৫১ মিনিটে ব্রেইন হোয়াইট গোল করে সমতায় ফেরান দলকে। এর দুই মিনিট পরই মায়ামির ডিফেন্সিভ ভুলের সুযোগ নিয়ে পেদ্রো ভিতে গোল করে এগিয়ে দেন ভ্যানকুভারকে।

ম্যাচে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি ডেভিড বেকহ্যামের মালিকানাধীন দলটি। বরং ৭১ মিনিটে সেবাস্তিয়ান বারহেল্টারের গোলে ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে তারা। বাকি সময়জুড়ে ইন্টার মায়ামির একাধিক আক্রমণও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ও রক্ষণভাগের কাছে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে।

ম্যাচে দুই দলই সমান ১৬টি করে ফাউল করে, যার ফলে মোট ফাউলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২। ইন্টার মায়ামি নিয়েছিল ১৭টি শট, যার ছয়টি লক্ষ্যে ছিল এবং একটি গোল আসে। অন্যদিকে ভ্যানকুভার ১০টি শট নিয়ে ছয়টি লক্ষ্যে রাখে এবং তিনটি গোল আদায় করে নেয়।

এই পরাজয়ে মেসি, সুয়ারেজদের কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হলো। আর ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলো ভ্যানকুভার এফসি। বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম আলোচিত দল ইন্টার মায়ামিকে হারিয়ে এই জয় ভ্যানকুভারের জন্য নিঃসন্দেহে বড় অর্জন। এখন দেখার বিষয়, ফাইনালে তারা কতটা দাপট দেখাতে পারে।

এই ম্যাচ দিয়েই প্রমাণ হলো শুধু তারকার দল গড়লেই ট্রফি জেতা যায় না, দরকার টিমওয়ার্ক, কৌশল আর সাহসিকতা।

নিউজটি শেয়ার করুন

সেমিফাইনালে মেসিদের উড়িয়ে কনকাকাফের ফাইনালে ভ্যানকুভার এফসি

আপডেট সময় ১২:০১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

 

কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে কানাডার ক্লাব ভ্যানকুভার এফসি। লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামিকে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে তারা।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১ মে) ভোর ৬টায় চেইস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ২-০ গোলের জয় নিয়ে দ্বিতীয় লেগে স্বস্তিতে মাঠে নামে ভ্যানকুভার। তবে ইন্টার মায়ামির সামনে ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ ফাইনালে যেতে হলে অন্তত ৩-০ গোলে জিততে হতো তাদের।

ম্যাচের শুরুটা ছিল মেসিদের জন্য স্বপ্নময়। ৯ মিনিটেই মেসি ও সুয়ারেজের পাসে দুর্দান্ত গোল করেন জর্দি আলবা। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে স্বাগতিক ইন্টার মায়ামি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দৃশ্যপট পাল্টে দেয় ভ্যানকুভার এফসি। ৫১ মিনিটে ব্রেইন হোয়াইট গোল করে সমতায় ফেরান দলকে। এর দুই মিনিট পরই মায়ামির ডিফেন্সিভ ভুলের সুযোগ নিয়ে পেদ্রো ভিতে গোল করে এগিয়ে দেন ভ্যানকুভারকে।

ম্যাচে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি ডেভিড বেকহ্যামের মালিকানাধীন দলটি। বরং ৭১ মিনিটে সেবাস্তিয়ান বারহেল্টারের গোলে ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে তারা। বাকি সময়জুড়ে ইন্টার মায়ামির একাধিক আক্রমণও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ও রক্ষণভাগের কাছে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে।

ম্যাচে দুই দলই সমান ১৬টি করে ফাউল করে, যার ফলে মোট ফাউলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২। ইন্টার মায়ামি নিয়েছিল ১৭টি শট, যার ছয়টি লক্ষ্যে ছিল এবং একটি গোল আসে। অন্যদিকে ভ্যানকুভার ১০টি শট নিয়ে ছয়টি লক্ষ্যে রাখে এবং তিনটি গোল আদায় করে নেয়।

এই পরাজয়ে মেসি, সুয়ারেজদের কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হলো। আর ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলো ভ্যানকুভার এফসি। বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম আলোচিত দল ইন্টার মায়ামিকে হারিয়ে এই জয় ভ্যানকুভারের জন্য নিঃসন্দেহে বড় অর্জন। এখন দেখার বিষয়, ফাইনালে তারা কতটা দাপট দেখাতে পারে।

এই ম্যাচ দিয়েই প্রমাণ হলো শুধু তারকার দল গড়লেই ট্রফি জেতা যায় না, দরকার টিমওয়ার্ক, কৌশল আর সাহসিকতা।