ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার

বাংলাদেশে বছরে ৮ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য, নদীতে যাচ্ছে হাজার টন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 36

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে প্রায় ২৪ থেকে ২৬ হাজার টন বর্জ্য নদী, খাল-বিল ও নালায় জমা হয়ে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বন্যা ও জলাবদ্ধতারও কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। সভায় নিষিদ্ধ পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, বাজার মনিটরিং কমিটি, ব্যবসায়ী নেতা ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ।

মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ সরকার কুন্ডু সভায় ‘নিষিদ্ধ পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে করণীয়’ বিষয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতি বছর প্রায় ৫৪ টন প্লাস্টিক বর্জ্য সুরমা নদীতে ফেলা হচ্ছে, যা স্থানীয় পরিবেশের জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করছে।

সভায় জানানো হয়, ইতোমধ্যে দেশে ১১টি পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি, নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা এবং দ্রুত সব পলিথিন কারখানা বন্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

মতবিনিময় সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, পরিবেশবিদ, পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের ভয়াবহতা তুলে ধরে এর স্থায়ী সমাধানে সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে বছরে ৮ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য, নদীতে যাচ্ছে হাজার টন

আপডেট সময় ০৪:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে প্রায় ২৪ থেকে ২৬ হাজার টন বর্জ্য নদী, খাল-বিল ও নালায় জমা হয়ে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বন্যা ও জলাবদ্ধতারও কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। সভায় নিষিদ্ধ পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, বাজার মনিটরিং কমিটি, ব্যবসায়ী নেতা ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ।

মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ সরকার কুন্ডু সভায় ‘নিষিদ্ধ পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে করণীয়’ বিষয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতি বছর প্রায় ৫৪ টন প্লাস্টিক বর্জ্য সুরমা নদীতে ফেলা হচ্ছে, যা স্থানীয় পরিবেশের জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করছে।

সভায় জানানো হয়, ইতোমধ্যে দেশে ১১টি পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি, নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা এবং দ্রুত সব পলিথিন কারখানা বন্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

মতবিনিময় সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, পরিবেশবিদ, পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের ভয়াবহতা তুলে ধরে এর স্থায়ী সমাধানে সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান জানান।