০২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে রাজধানীতে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার তুরাগ নদীর ১৭ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ে অর্থ দেবে বিশ্বব্যাংক যারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে, তারাই এখন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আসিফ মাহমুদ বিষাক্ত মদ্যপানে মুন্সিগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ৩ লেবাননে সব অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন বৈশ্বিক ড্রোন বিক্রি বাড়াতে ১৯৮৭ সালের ব্যাখ্যা পরিবর্তন করছে যুক্তরাষ্ট্র নথি ফাঁস: ২০১৯ সালে মার্কিন বাহিনী উত্তর কোরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে যুক্তরাজ্য–নরওয়ের মধ্যে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সিরিয়া থেকে বেআইনিভাবে তেল উত্তোলন করছে SDF/YPG, AANES

মাতুয়াইল ভাগাড়ে ময়লা পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ,কঠোর অবস্থানে সরকার: পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:১১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 75

ছবি সংগৃহীত

 

 

রাজধানীর মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল এলাকায় কোনোভাবেই ময়লা পোড়ানো যাবে না এই মর্মে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। একই সঙ্গে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, ভাগাড়ে ব্যাটারি পোড়ানো বা ব্যাটারির সিসা আলাদা করাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে মাতুয়াইল ভাগাড় এলাকা পরিদর্শনে এসে পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, এলাকাবাসীর জীবনযাত্রা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনায় রেখে শিগগিরই কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, “মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। এখানে নিয়ম না মেনে ময়লা পোড়ানো হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এ অনিয়ম আর চলবে না।”

উপদেষ্টা আরও জানান, “ভাগাড় পুরোপুরি স্থানান্তর সময়সাপেক্ষ হলেও, ততদিন পর্যন্ত এর পরিবেশগত ক্ষতি কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আশপাশের দুটি স্টিলমিল থেকেও বায়ু দূষণ হচ্ছে সেগুলো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকার বায়ুমান উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এই কমিটি দ্রুত বাস্তবমুখী সুপারিশ দেবে এবং তার আলোকে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন যে, মাতুয়াইল ভাগাড়ে ময়লা ও ব্যাটারি পোড়ানোয় বায়ু দুষণ বেড়েছে, শিশুরা অসুস্থ হচ্ছে, এবং বাসযোগ্য পরিবেশ ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। সরকারিভাবে এ বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ায় কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে ঢাকার বায়ুমান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে। পাশাপাশি রাজধানীবাসীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস পাবে।

সরকারের এই উদ্যোগ যেন কেবল ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং বাস্তবায়নেই যেন প্রতিফলিত হয় এটাই এখন নগরবাসীর প্রত্যাশা।

নিউজটি শেয়ার করুন

মাতুয়াইল ভাগাড়ে ময়লা পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ,কঠোর অবস্থানে সরকার: পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৫:১১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

 

 

রাজধানীর মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল এলাকায় কোনোভাবেই ময়লা পোড়ানো যাবে না এই মর্মে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। একই সঙ্গে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, ভাগাড়ে ব্যাটারি পোড়ানো বা ব্যাটারির সিসা আলাদা করাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে মাতুয়াইল ভাগাড় এলাকা পরিদর্শনে এসে পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, এলাকাবাসীর জীবনযাত্রা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনায় রেখে শিগগিরই কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, “মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। এখানে নিয়ম না মেনে ময়লা পোড়ানো হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এ অনিয়ম আর চলবে না।”

উপদেষ্টা আরও জানান, “ভাগাড় পুরোপুরি স্থানান্তর সময়সাপেক্ষ হলেও, ততদিন পর্যন্ত এর পরিবেশগত ক্ষতি কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আশপাশের দুটি স্টিলমিল থেকেও বায়ু দূষণ হচ্ছে সেগুলো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকার বায়ুমান উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এই কমিটি দ্রুত বাস্তবমুখী সুপারিশ দেবে এবং তার আলোকে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন যে, মাতুয়াইল ভাগাড়ে ময়লা ও ব্যাটারি পোড়ানোয় বায়ু দুষণ বেড়েছে, শিশুরা অসুস্থ হচ্ছে, এবং বাসযোগ্য পরিবেশ ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। সরকারিভাবে এ বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ায় কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে ঢাকার বায়ুমান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে। পাশাপাশি রাজধানীবাসীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস পাবে।

সরকারের এই উদ্যোগ যেন কেবল ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং বাস্তবায়নেই যেন প্রতিফলিত হয় এটাই এখন নগরবাসীর প্রত্যাশা।