আবহাওয়ার রদবদল: দুপুরে ঝড়ের পূর্বাভাস
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে মিশ্র চিত্র দেখা যাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দুপুর ১টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের তিনটি প্রধান অঞ্চলে অস্থায়ী ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সিরাজগঞ্জ, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এই কারণে, আবহাওয়া অধিদপ্তর এই তিনটি অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে।
সোমবার, ১৭ মার্চ, রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি, কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়ার এই মিশ্র পূর্বাভাসের কারণে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, যে অঞ্চলগুলোতে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে থাকার এবং অপ্রয়োজনীয় চলাচল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নদীবন্দরগুলোতে চলাচলকারী নৌযানগুলোকে সতর্কতার সাথে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, আগামী কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে, আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে গরমের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়াও, বজ্রঝড় এবং শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকদেরকে তাদের ফসলের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতেও ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মৎস্যজীবীদেরকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বসবাসকারী মানুষদেরকে ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই পূর্বাভাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। এই তথ্যগুলো অনুসরণ করে মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে পারে। এছাড়াও, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।