ঢাকা ০১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ও অন্যান্য ৮ আসামির খালাস আমাদের শত্রু অনেক, মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ শক্তির প্রয়োজন: মাহফুজ আলম ইউক্রেনে সেনা পাঠালে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে যুক্তরাজ্য ঢাকা: বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর, বায়ুদূষণের চরম বিপর্যয় তুরস্ক হতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট সমাধানের আদর্শ মাধ্যম: এরদোয়ান দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১২টি আধুনিক জাহাজ কিনছে বাংলাদেশ নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় আজ: আদালতের দিকে সবার নজর যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পথে: রিয়াদে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির রোমাঞ্চ শুরু: উদ্বোধনী ম্যাচে আজ মুখোমুখি পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবি, না মানলে ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিতের হুঁশিয়ারি

পৃথিবীর পরিবেশ ও প্রতিবেশের সুরক্ষায় জলাভূমি রক্ষা করার সময় এখনই।

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালিত হয়। ১৯৯৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০০টিরও বেশি দেশের পরিবেশ সচেতন নাগরিকরা এই দিবসটি পালন করে আসছে। এই দিবসটি ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে ইরানের রামসার শহরে স্বাক্ষরিত রামসার কনভেনশন স্মরণে উদযাপিত হয়। রামসার কনভেনশন (Ramsar Convention) হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা জলাভূমির সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহারের জন্য গৃহীত হয়েছিলো। ইরানের রামসার শহরে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি ১৯৭৫ সালের ২১ ডিসেম্বর কার্যকর হয়। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে “Convention on Wetlands of International Importance, especially as Waterfowl Habitat” নামে পরিচিত। বাংলাদেশ ১৯৯২ সালে রামসার কনভেনশনে যোগ দেয়। এখন পর্যন্ত ১৭১ দেশ চুক্তিটি অনুমোদন করেছে।

পরিবেশগতভাবে জলাভূমি হলো পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত অঞ্চল। এটি বিভিন্নভাবে আমাদের পরিবেশ ও অর্থনীতিতে অবদান রাখে, যেমন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জলাভূমি কার্যকর ভূমিকা রাখে। কেননা জলাভূমি কার্বন শোষণ ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। জলাভূমি জীববৈচিত্র্যের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। অনেক বিরল ও বিপন্ন প্রাণীর আবাসস্থল এই জলাভূমি। প্রাকৃতিক জল পরিশোধক হিসেবে বিবেচনা হয় জলাভূমিকে। কেননা জলাভূমি দূষিত পানি পরিশোধ করে এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে জলাভূমি অনেক সহায়ক ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে বন্যা, খরা ও লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। বর্ণিত এইসব নানা বিষয়কে সামনে রেখে প্রতিবছর বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালন করা হয়। তবে দিবসটি পালনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো-

১. জলাভূমির গুরুত্ব তুলে ধরা অর্থাৎ জীববৈচিত্র্য, জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ, ও খাদ্য নিরাপত্তায় জলাভূমির অবদান বোঝানো।
২. সচেতনতা বৃদ্ধি অর্থাৎ সাধারণ জনগণ, নীতিনির্ধারক ও সংস্থাগুলোর মধ্যে জলাভূমি সংরক্ষণের গুরুত্ব ছড়িয়ে দেওয়া।
৩. সংরক্ষণ প্রচেষ্টা বৃদ্ধি অর্থাৎ জলাভূমির টেকসই ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। নদীনালা, বিল, হাওর, বাঁওড়ের মতো বহু জলাভূমি এ দেশকে ঘিরে রেখেছে।বাংলাপিডিয়ার তথ্যমতে, এ দেশের ৭ থেকে ৮ লাখ হেক্টর ভূমি কোনো না কোনোভাবে জলাভূমির অন্তর্ভুক্ত। জালের মতো বিছিয়ে থাকা নদনদীর আশীর্বাদে প্রাকৃতিক জলাভূমির বৈচিত্র্যে ভরপুর বাংলাদেশ। এই দেশের মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জলাভূমির অবদান। জলাভূমিগুলো ভৌগোলিক স্থানভেদে এবং গঠন প্রকৃতির কারণে হাওর, বাঁওড়, খালবিলসহ নানা নামে পরিচিত। শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়ানোই নয়, বরং জলজ জীবন ও প্রাকৃতিক সম্পদের আধার হিসেবে জলাভূমি আগলে রেখেছে বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ। বড় বড় হাওর, বিলের নাম সুপরিচিত। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে সাড়ে তিনশরও বেশি হাওর রয়েছে। হাকালুকি, টাঙ্গুয়ার, খালিয়াজুরী, নিকলি, ইটনার হাওর, পচাশোল, সোমাইসহ বিভিন্ন নামে হাওর রয়েছে এ এলাকায়। এ ছাড়াও চলনবিল, ডাকাতিয়া বিল, আড়িয়ল বিল, গাজনার বিল, বাইক্কা বিল সারাদেশেই পরিচিত। বর্ণিত এইসব জলাভূমি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে সকল জলাভূমি আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, সেগুলোকে রামসার সাইট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রতিটি স্বাক্ষরকারী দেশ তাদের গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমিকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। উল্লেখ্য বর্তমানে দুটি রামসার সাইট রয়েছে যথা, সুন্দরবন যা, ১৯৯২ সালে তালিকাভুক্ত হয় এবং টাঙ্গুয়ার হাওর যা, ২০০০ সালে তালিকাভুক্ত হয়। রামসার কনভেনশনের মূল উদ্দেশ্য হলো-আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমিগুলোকে সংরক্ষণ করা; জলাভূমির সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এর টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং বিভিন্ন দেশ জলাভূমি সংরক্ষণে একে অপরকে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশের জলাভূমিগুলো রক্ষার জন্য সীমানা নির্ধারণ হতে পারে সর্বপ্রথম ধাপ। এই কাজে স্থানীয়, আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের সবার সদিচ্ছা এবং আন্তরিক কর্মপন্থা খুবই জরুরি। বাংলাদেশের জলাভূমির ধরন, প্রকৃতি ও বৈচিত্র্য অঞ্চলভেদে আলাদা। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জলাভূমি আর দক্ষিণ-পশ্চিমাংশের জলাভূমির ধরন বেশির ভাগ সময় এক রকম হবে না। বিশেষ করে জলাভূমি ও নদীর সংযোগস্থল উন্মুক্ত রাখার ব্যবস্থাটা জরুরি। নদীর গতিপথ ও পানিপ্রবাহ ব্যাহত হলে এর প্রভাব অন্যান্য প্রাকৃতিক জলাশয়ের ওপরও পড়ে। সারা পৃথিবীর জলাভূমি রক্ষার জন্যই রামসার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছরই গুরুত্বের ওপর ভিত্তি করে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। এবারের বিশ্ব জলাভূমি দিবসের প্রতিপাদ্য– Protecting wetlands for our common future অর্থাৎ আমাদের নিজেদের সুন্দর আগামীর জন্য পৃথিবীর পরিবেশ ও প্রতিবেশের সুরক্ষায় জলাভূমি রক্ষা করার সময় এখনই। প্রতি বছর হাওর অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ এবং বিভিন্ন সংস্থা বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে সেমিনার, র‍্যালি ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করে।

আমি পড়াশুনা করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগে। আমার অনার্স ও মাস্টার্সের বিভিন্ন কোর্স এ রামসার কনভেনশন, জলাভূমির মতো টপিকগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। এছাড়া বুয়েট থেকে পানি সম্পদ উন্নয়ন এ মাস্টার্স করতে গিয়ে এই টপিকগুলো পুনরায় পড়তে হয়েছে। জলাভূমি বা Wetlands এর ডেফিনেশনটা পুরোপুরি মনে নেই, নেট এর সহযোগিতায় পুনরায় মনে করার চেষ্টা করলাম…

“Wetlands are lands transitional between terrestrial and aquatic systems where the water table is usually at or near the surface, or the land is covered by shallow water. Wetlands must have one or more of the following three attributes: 1) at least periodically, the land supports predominantly hydrophytes; 2) the substrate is predominantly undrained hydric soil; and 3) the substrate is saturated with water or covered by shallow water at some time during the growing season of each year.”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:০৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫৩৮ বার পড়া হয়েছে

পৃথিবীর পরিবেশ ও প্রতিবেশের সুরক্ষায় জলাভূমি রক্ষা করার সময় এখনই।

আপডেট সময় ১২:০৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালিত হয়। ১৯৯৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০০টিরও বেশি দেশের পরিবেশ সচেতন নাগরিকরা এই দিবসটি পালন করে আসছে। এই দিবসটি ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে ইরানের রামসার শহরে স্বাক্ষরিত রামসার কনভেনশন স্মরণে উদযাপিত হয়। রামসার কনভেনশন (Ramsar Convention) হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা জলাভূমির সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহারের জন্য গৃহীত হয়েছিলো। ইরানের রামসার শহরে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি ১৯৭৫ সালের ২১ ডিসেম্বর কার্যকর হয়। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে “Convention on Wetlands of International Importance, especially as Waterfowl Habitat” নামে পরিচিত। বাংলাদেশ ১৯৯২ সালে রামসার কনভেনশনে যোগ দেয়। এখন পর্যন্ত ১৭১ দেশ চুক্তিটি অনুমোদন করেছে।

পরিবেশগতভাবে জলাভূমি হলো পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত অঞ্চল। এটি বিভিন্নভাবে আমাদের পরিবেশ ও অর্থনীতিতে অবদান রাখে, যেমন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জলাভূমি কার্যকর ভূমিকা রাখে। কেননা জলাভূমি কার্বন শোষণ ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। জলাভূমি জীববৈচিত্র্যের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। অনেক বিরল ও বিপন্ন প্রাণীর আবাসস্থল এই জলাভূমি। প্রাকৃতিক জল পরিশোধক হিসেবে বিবেচনা হয় জলাভূমিকে। কেননা জলাভূমি দূষিত পানি পরিশোধ করে এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে জলাভূমি অনেক সহায়ক ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে বন্যা, খরা ও লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। বর্ণিত এইসব নানা বিষয়কে সামনে রেখে প্রতিবছর বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালন করা হয়। তবে দিবসটি পালনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো-

১. জলাভূমির গুরুত্ব তুলে ধরা অর্থাৎ জীববৈচিত্র্য, জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ, ও খাদ্য নিরাপত্তায় জলাভূমির অবদান বোঝানো।
২. সচেতনতা বৃদ্ধি অর্থাৎ সাধারণ জনগণ, নীতিনির্ধারক ও সংস্থাগুলোর মধ্যে জলাভূমি সংরক্ষণের গুরুত্ব ছড়িয়ে দেওয়া।
৩. সংরক্ষণ প্রচেষ্টা বৃদ্ধি অর্থাৎ জলাভূমির টেকসই ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। নদীনালা, বিল, হাওর, বাঁওড়ের মতো বহু জলাভূমি এ দেশকে ঘিরে রেখেছে।বাংলাপিডিয়ার তথ্যমতে, এ দেশের ৭ থেকে ৮ লাখ হেক্টর ভূমি কোনো না কোনোভাবে জলাভূমির অন্তর্ভুক্ত। জালের মতো বিছিয়ে থাকা নদনদীর আশীর্বাদে প্রাকৃতিক জলাভূমির বৈচিত্র্যে ভরপুর বাংলাদেশ। এই দেশের মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জলাভূমির অবদান। জলাভূমিগুলো ভৌগোলিক স্থানভেদে এবং গঠন প্রকৃতির কারণে হাওর, বাঁওড়, খালবিলসহ নানা নামে পরিচিত। শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়ানোই নয়, বরং জলজ জীবন ও প্রাকৃতিক সম্পদের আধার হিসেবে জলাভূমি আগলে রেখেছে বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ। বড় বড় হাওর, বিলের নাম সুপরিচিত। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে সাড়ে তিনশরও বেশি হাওর রয়েছে। হাকালুকি, টাঙ্গুয়ার, খালিয়াজুরী, নিকলি, ইটনার হাওর, পচাশোল, সোমাইসহ বিভিন্ন নামে হাওর রয়েছে এ এলাকায়। এ ছাড়াও চলনবিল, ডাকাতিয়া বিল, আড়িয়ল বিল, গাজনার বিল, বাইক্কা বিল সারাদেশেই পরিচিত। বর্ণিত এইসব জলাভূমি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে সকল জলাভূমি আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, সেগুলোকে রামসার সাইট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রতিটি স্বাক্ষরকারী দেশ তাদের গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমিকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। উল্লেখ্য বর্তমানে দুটি রামসার সাইট রয়েছে যথা, সুন্দরবন যা, ১৯৯২ সালে তালিকাভুক্ত হয় এবং টাঙ্গুয়ার হাওর যা, ২০০০ সালে তালিকাভুক্ত হয়। রামসার কনভেনশনের মূল উদ্দেশ্য হলো-আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমিগুলোকে সংরক্ষণ করা; জলাভূমির সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এর টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং বিভিন্ন দেশ জলাভূমি সংরক্ষণে একে অপরকে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশের জলাভূমিগুলো রক্ষার জন্য সীমানা নির্ধারণ হতে পারে সর্বপ্রথম ধাপ। এই কাজে স্থানীয়, আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের সবার সদিচ্ছা এবং আন্তরিক কর্মপন্থা খুবই জরুরি। বাংলাদেশের জলাভূমির ধরন, প্রকৃতি ও বৈচিত্র্য অঞ্চলভেদে আলাদা। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জলাভূমি আর দক্ষিণ-পশ্চিমাংশের জলাভূমির ধরন বেশির ভাগ সময় এক রকম হবে না। বিশেষ করে জলাভূমি ও নদীর সংযোগস্থল উন্মুক্ত রাখার ব্যবস্থাটা জরুরি। নদীর গতিপথ ও পানিপ্রবাহ ব্যাহত হলে এর প্রভাব অন্যান্য প্রাকৃতিক জলাশয়ের ওপরও পড়ে। সারা পৃথিবীর জলাভূমি রক্ষার জন্যই রামসার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছরই গুরুত্বের ওপর ভিত্তি করে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। এবারের বিশ্ব জলাভূমি দিবসের প্রতিপাদ্য– Protecting wetlands for our common future অর্থাৎ আমাদের নিজেদের সুন্দর আগামীর জন্য পৃথিবীর পরিবেশ ও প্রতিবেশের সুরক্ষায় জলাভূমি রক্ষা করার সময় এখনই। প্রতি বছর হাওর অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ এবং বিভিন্ন সংস্থা বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে সেমিনার, র‍্যালি ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করে।

আমি পড়াশুনা করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগে। আমার অনার্স ও মাস্টার্সের বিভিন্ন কোর্স এ রামসার কনভেনশন, জলাভূমির মতো টপিকগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। এছাড়া বুয়েট থেকে পানি সম্পদ উন্নয়ন এ মাস্টার্স করতে গিয়ে এই টপিকগুলো পুনরায় পড়তে হয়েছে। জলাভূমি বা Wetlands এর ডেফিনেশনটা পুরোপুরি মনে নেই, নেট এর সহযোগিতায় পুনরায় মনে করার চেষ্টা করলাম…

“Wetlands are lands transitional between terrestrial and aquatic systems where the water table is usually at or near the surface, or the land is covered by shallow water. Wetlands must have one or more of the following three attributes: 1) at least periodically, the land supports predominantly hydrophytes; 2) the substrate is predominantly undrained hydric soil; and 3) the substrate is saturated with water or covered by shallow water at some time during the growing season of each year.”