বাগেরহাটে লবণাক্ত জমিতে সবজির বিপ্লব: কৃষকদের মুখে হাসি
বাগেরহাটের সদর, শরণখোলা ও রামপাল তিনটি উপজেলায় চিংড়ি ঘেরের পাশেই এখন লবণাক্ত জমিতে ফলছে নানা রকম সবজি। একসময় যেখানে ফসল উৎপাদন ছিল কল্পনাতীত, এখন সেখানে উৎপাদিত হচ্ছে রেড বিট, ফুলকপি, টমেটোর মতো উচ্চমানের সবজি।
জেলা কৃষি বিভাগের উদ্যোগে কোস্টস প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের বিনামূল্যে লবণ সহিষ্ণু বীজ, ফেরমন ফাঁদসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা হয়। চলতি শীত মৌসুমে এ উদ্যোগের ফলে প্রায় ১ হাজার হেক্টর লবণাক্ত জমিতে চাষাবাদ করে কৃষকরা পেয়েছেন বাম্পার ফলন।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশ মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের জরিপ অনুযায়ী, উপকূলের ১৮ জেলার ২৩ হাজার হেক্টর জমি লবণাক্ত। এর মধ্যে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা সবচেয়ে বেশি লবণাক্ত। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সাগরের নোনা পানি কৃষিজমির লবণাক্ততা বাড়িয়ে তোলে, যা ফসল উৎপাদনের বড় চ্যালেঞ্জ।
আগামীতে মোংলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার উঁচু লবণাক্ত জমিগুলোতে সবজি চাষ সম্প্রসারণে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সরবরাহ করা হবে। কৃষি বিভাগের এ উদ্যোগ ভবিষ্যতে বাগেরহাটের কৃষি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।