ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মিশরে চীনের জে-৩৫ ফাইটার জেট উপস্থাপন: পশ্চিমা নির্ভরতা কাটিয়ে বিকল্প খুঁজছে কায়রো ভৈরব ও কুলিয়ারচরে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু নতুন সংবিধানে সময় লাগবে ২-৩ বছর: আসিফ নজরুল সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশযাত্রা তদন্তে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি ক্রীড়াঙ্গন পুনর্জীবনের পথে, বাজেট বৃদ্ধির উদ্যোগ চলছে: উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া প্রধান উপদেষ্টার ৫ দিকনির্দেশনা: শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ জীবননগর সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৪ অনুপ্রবেশকারী আটক সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর অনুমোদন দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হলে পাল্টা জবাবের নির্দেশ, সীমান্তে তৎপর ভারতীয় সেনাবাহিনী বাঁশখালীতে তল্লাশিতে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ২ জন গ্রেপ্তার

আফগানিস্তানে হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত 

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 21

ছবি সংগৃহীত

 

আফগানিস্তানে আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে হিন্দুকুশ পর্বতাঞ্চল। বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোররাতের দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২১ কিলোমিটার গভীরে, যা একে গভীর ভূমিকম্প হিসেবে চিহ্নিত করে।

ভোররাতে ঘুম ভাঙা কম্পনের এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হলেও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে নেপালে এবং রাতে তিব্বতে মাঝারি মাত্রার দুইটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এসব ভূমিকম্পেও এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি, তবে স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিন্দুকুশ অঞ্চলটি একটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। এখানে নিয়মিতভাবে টেকটনিক প্লেটের সক্রিয় গতিবিধির কারণে মাঝারি থেকে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়ে থাকে। গভীরতায় উৎপন্ন হওয়ায় অনেক সময় এসব ভূমিকম্পের প্রভাব আশেপাশের দেশগুলোতেও অনুভূত হয়।

আফগানিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের সুনির্দিষ্ট তথ্য জানার জন্য পর্যালোচনা চলছে। স্থানীয়দের আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে তারা।

উল্লেখ্য, হিন্দুকুশ এলাকা ইতিপূর্বেও একাধিক মারাত্মক ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা বহন করেছে। ভূকম্পন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘন ঘন এমন কম্পন ভবিষ্যতে বড় বিপদের পূর্বাভাস হতে পারে। তাই জনসচেতনতা ও পূর্ব প্রস্তুতির ওপর জোর দিচ্ছেন তারা।

বর্তমানে ভূমিকম্পটির পরবর্তী প্রভাব ও সম্ভাব্য আফটারশক পর্যবেক্ষণে রয়েছে সিসমোলজিক্যাল কেন্দ্রগুলো। স্থানীয় প্রশাসন এবং জরুরি সেবাসংস্থাগুলো প্রস্তুত রয়েছে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আফগানিস্তানে হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত 

আপডেট সময় ০১:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

 

আফগানিস্তানে আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে হিন্দুকুশ পর্বতাঞ্চল। বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোররাতের দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২১ কিলোমিটার গভীরে, যা একে গভীর ভূমিকম্প হিসেবে চিহ্নিত করে।

ভোররাতে ঘুম ভাঙা কম্পনের এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হলেও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে নেপালে এবং রাতে তিব্বতে মাঝারি মাত্রার দুইটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এসব ভূমিকম্পেও এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি, তবে স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিন্দুকুশ অঞ্চলটি একটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। এখানে নিয়মিতভাবে টেকটনিক প্লেটের সক্রিয় গতিবিধির কারণে মাঝারি থেকে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়ে থাকে। গভীরতায় উৎপন্ন হওয়ায় অনেক সময় এসব ভূমিকম্পের প্রভাব আশেপাশের দেশগুলোতেও অনুভূত হয়।

আফগানিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের সুনির্দিষ্ট তথ্য জানার জন্য পর্যালোচনা চলছে। স্থানীয়দের আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে তারা।

উল্লেখ্য, হিন্দুকুশ এলাকা ইতিপূর্বেও একাধিক মারাত্মক ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা বহন করেছে। ভূকম্পন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘন ঘন এমন কম্পন ভবিষ্যতে বড় বিপদের পূর্বাভাস হতে পারে। তাই জনসচেতনতা ও পূর্ব প্রস্তুতির ওপর জোর দিচ্ছেন তারা।

বর্তমানে ভূমিকম্পটির পরবর্তী প্রভাব ও সম্ভাব্য আফটারশক পর্যবেক্ষণে রয়েছে সিসমোলজিক্যাল কেন্দ্রগুলো। স্থানীয় প্রশাসন এবং জরুরি সেবাসংস্থাগুলো প্রস্তুত রয়েছে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায়।