১১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড: স্বস্তিতে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
  • / 79

ছবি সংগৃহীত

 

বছরের শুরুতেই প্রবাসী আয়ে চমকপ্রদ সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। মার্চ মাস এখনো শেষ না হলেও এর মধ্যেই একক মাসের রেমিট্যান্সে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। চলতি মাসের প্রথম ২৪ দিনে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে এসেছে ২৭৫ কোটি ডলার, যা আগের সর্বোচ্চ রেকর্ড ডিসেম্বরের ২৬৪ কোটি ডলারকে অতিক্রম করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার করে প্রবাসী আয় আসছে। বাকি সাত দিনও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে মার্চ মাস শেষে রেমিট্যান্স ৩৫০ কোটি ডলার ছুঁয়ে ফেলবে, যা হবে দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়।

বিজ্ঞাপন

এই প্রবৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘর পেরিয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে আকু পরিশোধের কারণে রিজার্ভ কিছুটা কমলেও এখন আবার স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরেছে।

রেমিট্যান্স প্রবাহে এ উল্লম্ফনের পেছনে রয়েছে সরকারের কঠোর নজরদারি ও হুন্ডি প্রতিরোধে নেওয়া কার্যকর পদক্ষেপ। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, বৈধ পথে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রণোদনা ও বৈধ রেট মিলিয়ে প্রবাসীরা আরও বেশি লাভবান হচ্ছেন, যা খোলাবাজারের চেয়ে উপকারী। ফলে হুন্ডির প্রতি নির্ভরতা কমেছে।

সরকার পতনের পর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত দেশে এসেছে ২ হাজার ১২৪ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৮ শতাংশ বেশি।

বেসরকারি ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অর্থ পাচার প্রতিরোধে সরকারের সক্রিয় ভূমিকা এবং ১১টি যৌথ টিমের তদন্ত কার্যক্রম ইতোমধ্যেই সুফল দিচ্ছে। বিশেষ করে কয়েকটি প্রভাবশালী পরিবার ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর অর্থ পাচার রোধে নেওয়া ব্যবস্থা বাজারে আস্থা ফিরিয়ে এনেছে।

সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক প্রবণতা ডলার বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়েছে। বর্তমানে ডলারের দর ১২২ টাকায় স্থির রয়েছে। দেশের অর্থনীতির জন্য এটি নিঃসন্দেহে এক আশার আলো।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড: স্বস্তিতে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার

আপডেট সময় ০৩:১০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

 

বছরের শুরুতেই প্রবাসী আয়ে চমকপ্রদ সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। মার্চ মাস এখনো শেষ না হলেও এর মধ্যেই একক মাসের রেমিট্যান্সে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। চলতি মাসের প্রথম ২৪ দিনে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে এসেছে ২৭৫ কোটি ডলার, যা আগের সর্বোচ্চ রেকর্ড ডিসেম্বরের ২৬৪ কোটি ডলারকে অতিক্রম করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার করে প্রবাসী আয় আসছে। বাকি সাত দিনও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে মার্চ মাস শেষে রেমিট্যান্স ৩৫০ কোটি ডলার ছুঁয়ে ফেলবে, যা হবে দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়।

বিজ্ঞাপন

এই প্রবৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘর পেরিয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে আকু পরিশোধের কারণে রিজার্ভ কিছুটা কমলেও এখন আবার স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরেছে।

রেমিট্যান্স প্রবাহে এ উল্লম্ফনের পেছনে রয়েছে সরকারের কঠোর নজরদারি ও হুন্ডি প্রতিরোধে নেওয়া কার্যকর পদক্ষেপ। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, বৈধ পথে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রণোদনা ও বৈধ রেট মিলিয়ে প্রবাসীরা আরও বেশি লাভবান হচ্ছেন, যা খোলাবাজারের চেয়ে উপকারী। ফলে হুন্ডির প্রতি নির্ভরতা কমেছে।

সরকার পতনের পর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত দেশে এসেছে ২ হাজার ১২৪ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৮ শতাংশ বেশি।

বেসরকারি ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অর্থ পাচার প্রতিরোধে সরকারের সক্রিয় ভূমিকা এবং ১১টি যৌথ টিমের তদন্ত কার্যক্রম ইতোমধ্যেই সুফল দিচ্ছে। বিশেষ করে কয়েকটি প্রভাবশালী পরিবার ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর অর্থ পাচার রোধে নেওয়া ব্যবস্থা বাজারে আস্থা ফিরিয়ে এনেছে।

সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক প্রবণতা ডলার বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়েছে। বর্তমানে ডলারের দর ১২২ টাকায় স্থির রয়েছে। দেশের অর্থনীতির জন্য এটি নিঃসন্দেহে এক আশার আলো।