ঢাকা ০৭:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহজালালে ২ যাত্রীর কাছ থেকে ৩১ মোবাইল জব্দ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানই আগ্রহ দেখায়নি খেলা সম্প্রচার করতে। যে কারণে সিরিজটি বিটিভিতে দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প চার বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে থানায় দেখা গুলশানে বন্ধ ব্যাটারি রিকশা, প্রতিবাদে চালকদের মিছিল বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য: জামায়াত আমীর সিরিয়ায় সেনা হ্রাস করছে যুক্তরাষ্ট্র, আইএস দমনে কৌশলগত পরিবর্তন বাংলাদেশ–তুরস্ক ঐতিহাসিক বৈঠক: বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখতে চায় তুরস্ক লবণাক্ত জমিতে বিনা চাষে সূর্যমুখীতে সফলতা, কৃষকদের মুখে হাসি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দুই দফা দাবি, ৫ মে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

মার্চে রেমিট্যান্সের গতি চাঙা, ২২ দিনেই এসেছে প্রায় ২৪৪ কোটি ডলার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৯:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / ৫১৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

 

চলতি মার্চ মাসের প্রথম ২২ দিনেই দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪৩ কোটি ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২৯ হাজার ৭৩৭ কোটি ৫০ লাখ (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১১ কোটি ৮ লাখ ডলার, যা অর্থনীতির জন্য আশাব্যঞ্জক এক বার্তা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রবাসীরা মার্চের ১ তারিখেই পাঠিয়েছেন ৩ কোটি ৮০ হাজার ডলার। এরপর ২ থেকে ৮ মার্চ সময়ে এসেছে ৭৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার, ৯ থেকে ১৫ মার্চ সময়ে এসেছে ৮৪ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং ১৬ থেকে ২২ মার্চ সময়ে এসেছে ৭৮ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

রেমিট্যান্সের এই প্রবাহে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। এ মাধ্যমেই এসেছে ১৭০ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫২ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের পূর্ববর্তী দুই মাসেও রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল উল্লেখযোগ্য। জানুয়ারিতে এসেছে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

২০২৪ সাল জুড়ে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা, বৈধ চ্যানেলের ব্যবহার এবং হুন্ডির বিরুদ্ধে কড়াকড়ি রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। চলতি ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে সামনের মাসগুলোতেও রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিদেশে কর্মরত শ্রমজীবী মানুষেরা দেশের অর্থনীতিতে যে অবদান রাখছেন, তা দিন দিন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। সময় এসেছে এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আরও বেশি মূল্যায়নের।

নিউজটি শেয়ার করুন

মার্চে রেমিট্যান্সের গতি চাঙা, ২২ দিনেই এসেছে প্রায় ২৪৪ কোটি ডলার

আপডেট সময় ১২:১৯:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

 

চলতি মার্চ মাসের প্রথম ২২ দিনেই দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪৩ কোটি ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২৯ হাজার ৭৩৭ কোটি ৫০ লাখ (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১১ কোটি ৮ লাখ ডলার, যা অর্থনীতির জন্য আশাব্যঞ্জক এক বার্তা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রবাসীরা মার্চের ১ তারিখেই পাঠিয়েছেন ৩ কোটি ৮০ হাজার ডলার। এরপর ২ থেকে ৮ মার্চ সময়ে এসেছে ৭৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার, ৯ থেকে ১৫ মার্চ সময়ে এসেছে ৮৪ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং ১৬ থেকে ২২ মার্চ সময়ে এসেছে ৭৮ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

রেমিট্যান্সের এই প্রবাহে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। এ মাধ্যমেই এসেছে ১৭০ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫২ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের পূর্ববর্তী দুই মাসেও রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল উল্লেখযোগ্য। জানুয়ারিতে এসেছে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

২০২৪ সাল জুড়ে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা, বৈধ চ্যানেলের ব্যবহার এবং হুন্ডির বিরুদ্ধে কড়াকড়ি রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। চলতি ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে সামনের মাসগুলোতেও রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিদেশে কর্মরত শ্রমজীবী মানুষেরা দেশের অর্থনীতিতে যে অবদান রাখছেন, তা দিন দিন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। সময় এসেছে এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আরও বেশি মূল্যায়নের।