১১:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

মার্চে রেমিট্যান্সের গতি চাঙা, ২২ দিনেই এসেছে প্রায় ২৪৪ কোটি ডলার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৯:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / 89

ছবি সংগৃহীত

 

 

চলতি মার্চ মাসের প্রথম ২২ দিনেই দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪৩ কোটি ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২৯ হাজার ৭৩৭ কোটি ৫০ লাখ (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১১ কোটি ৮ লাখ ডলার, যা অর্থনীতির জন্য আশাব্যঞ্জক এক বার্তা।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রবাসীরা মার্চের ১ তারিখেই পাঠিয়েছেন ৩ কোটি ৮০ হাজার ডলার। এরপর ২ থেকে ৮ মার্চ সময়ে এসেছে ৭৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার, ৯ থেকে ১৫ মার্চ সময়ে এসেছে ৮৪ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং ১৬ থেকে ২২ মার্চ সময়ে এসেছে ৭৮ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

রেমিট্যান্সের এই প্রবাহে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। এ মাধ্যমেই এসেছে ১৭০ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫২ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের পূর্ববর্তী দুই মাসেও রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল উল্লেখযোগ্য। জানুয়ারিতে এসেছে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

২০২৪ সাল জুড়ে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা, বৈধ চ্যানেলের ব্যবহার এবং হুন্ডির বিরুদ্ধে কড়াকড়ি রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। চলতি ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে সামনের মাসগুলোতেও রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিদেশে কর্মরত শ্রমজীবী মানুষেরা দেশের অর্থনীতিতে যে অবদান রাখছেন, তা দিন দিন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। সময় এসেছে এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আরও বেশি মূল্যায়নের।

নিউজটি শেয়ার করুন

মার্চে রেমিট্যান্সের গতি চাঙা, ২২ দিনেই এসেছে প্রায় ২৪৪ কোটি ডলার

আপডেট সময় ১২:১৯:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

 

চলতি মার্চ মাসের প্রথম ২২ দিনেই দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪৩ কোটি ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২৯ হাজার ৭৩৭ কোটি ৫০ লাখ (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১১ কোটি ৮ লাখ ডলার, যা অর্থনীতির জন্য আশাব্যঞ্জক এক বার্তা।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রবাসীরা মার্চের ১ তারিখেই পাঠিয়েছেন ৩ কোটি ৮০ হাজার ডলার। এরপর ২ থেকে ৮ মার্চ সময়ে এসেছে ৭৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার, ৯ থেকে ১৫ মার্চ সময়ে এসেছে ৮৪ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং ১৬ থেকে ২২ মার্চ সময়ে এসেছে ৭৮ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

রেমিট্যান্সের এই প্রবাহে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। এ মাধ্যমেই এসেছে ১৭০ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫২ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের পূর্ববর্তী দুই মাসেও রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল উল্লেখযোগ্য। জানুয়ারিতে এসেছে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

২০২৪ সাল জুড়ে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা, বৈধ চ্যানেলের ব্যবহার এবং হুন্ডির বিরুদ্ধে কড়াকড়ি রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। চলতি ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে সামনের মাসগুলোতেও রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিদেশে কর্মরত শ্রমজীবী মানুষেরা দেশের অর্থনীতিতে যে অবদান রাখছেন, তা দিন দিন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। সময় এসেছে এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আরও বেশি মূল্যায়নের।