ঢাকা ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আওয়ামী লীগের বিচারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব সরকারের: চিফ প্রসিকিউটর ৫ ম্যাচের সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই কিউইদের কাছে রেকর্ড ব্যবধানে হারল পাকিস্তান ফিলিস্তিনের দূত ইউসুফ রামাদানের সাথে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ, গাজা সংকটে গভীর শোক প্রকাশ ধরলা তীরের পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলল, সোনার ফসলে কৃষকের হাসি যাকাতের সঠিক বণ্টন: শরিয়তের নির্দেশনা ও বাস্তব চর্চা ঐকমত্য কমিশনের কাছে বিএনপির প্রস্তাব: একাত্তরের সঙ্গে চব্বিশকে মিলিয়ে দেখা সঠিক নয় প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় মাইলফলক হয়ে থাকবে : চীনা রাষ্ট্রদূত গাজীপুরে লরি-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২, আহত আরো কয়েকজন আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল মহারণের আগে ইনজুরির হানায় দুর্বল দুই দল, দুই একাদশের মোট ১১ জন ইনজুরি অবৈধ সম্পদের মালিক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেই সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেকের ১৩ বছরের কারাদণ্ড

ছোট মিডিয়ায় কর্মীদের শেয়ার ও মালিকানা সীমায় কড়া সুপারিশ

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

ছোট আকারের গণমাধ্যমে কর্মীদের অংশীদারিত্ব বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। শনিবার (২২ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে তুলে দেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছোট মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মীদের মালিকানা নিশ্চিত করা যেতে পারে। আর মাঝারি ও বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনসাধারণের জন্য শেয়ার ছাড়ার পাশাপাশি স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির সময়সীমা বেঁধে দেওয়া উচিত।

কমিশন প্রস্তাব করেছে, উদ্যোক্তা, পরিবার বা কোম্পানি সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শেয়ার রাখতে পারবে। কর্মীদের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ শেয়ার বণ্টনের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক হলেও তা যেন প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে।

প্রতিবেদনে গণমাধ্যমের মালিকানার কেন্দ্রীকরণ ঠেকাতে ক্রস-ওনারশিপ নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। একই ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে টেলিভিশন ও পত্রিকা উভয়ের মালিক হতে না পারেন, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক উদাহরণ তুলে ধরা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ অনেক দেশেই এই নিয়ম আইনগতভাবে কার্যকর।

কমিশনের মতে, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে ‘এক উদ্যোক্তা, এক মাধ্যম’ নীতি বাস্তবায়ন জরুরি। একই ভাষায় একাধিক পত্রিকা বা টেলিভিশন চ্যানেল পরিচালনা করলে প্রতিযোগিতার পরিবেশ ধ্বংস হয় এবং গণমাধ্যমের প্রভাবক ক্ষমতা ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হাতে কেন্দ্রীভূত হয়।

গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে কালোটাকার প্রভাব রুখতে মালিকানা ও আর্থিক হিসাবের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর আর্থিক বিবরণী প্রকাশ বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব এসেছে।

এছাড়া সাংবাদিকদের সংগঠনের বিষয়ে বলা হয়েছে, ইউনিয়নের বাইরে গড়ে ওঠা সংগঠনগুলোকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বা সুযোগ-সুবিধা না দেওয়ার অধিকার সরকারের রয়েছে। এসব সংগঠন সাংবাদিকতার জন্য অন্তরায় বলেও মন্তব্য করে কমিশন।

সবশেষে, কলাম লেখক, অতিথি আলোচক বা প্রদায়ক শিল্পীদের ওপর অগ্রিম কর আরোপকে সৃজনশীলতার প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করে তা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:১৫:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
৫১২ বার পড়া হয়েছে

ছোট মিডিয়ায় কর্মীদের শেয়ার ও মালিকানা সীমায় কড়া সুপারিশ

আপডেট সময় ০৬:১৫:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

 

ছোট আকারের গণমাধ্যমে কর্মীদের অংশীদারিত্ব বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। শনিবার (২২ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে তুলে দেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছোট মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মীদের মালিকানা নিশ্চিত করা যেতে পারে। আর মাঝারি ও বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনসাধারণের জন্য শেয়ার ছাড়ার পাশাপাশি স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির সময়সীমা বেঁধে দেওয়া উচিত।

কমিশন প্রস্তাব করেছে, উদ্যোক্তা, পরিবার বা কোম্পানি সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শেয়ার রাখতে পারবে। কর্মীদের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ শেয়ার বণ্টনের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক হলেও তা যেন প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে।

প্রতিবেদনে গণমাধ্যমের মালিকানার কেন্দ্রীকরণ ঠেকাতে ক্রস-ওনারশিপ নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। একই ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে টেলিভিশন ও পত্রিকা উভয়ের মালিক হতে না পারেন, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক উদাহরণ তুলে ধরা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ অনেক দেশেই এই নিয়ম আইনগতভাবে কার্যকর।

কমিশনের মতে, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে ‘এক উদ্যোক্তা, এক মাধ্যম’ নীতি বাস্তবায়ন জরুরি। একই ভাষায় একাধিক পত্রিকা বা টেলিভিশন চ্যানেল পরিচালনা করলে প্রতিযোগিতার পরিবেশ ধ্বংস হয় এবং গণমাধ্যমের প্রভাবক ক্ষমতা ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হাতে কেন্দ্রীভূত হয়।

গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে কালোটাকার প্রভাব রুখতে মালিকানা ও আর্থিক হিসাবের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর আর্থিক বিবরণী প্রকাশ বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব এসেছে।

এছাড়া সাংবাদিকদের সংগঠনের বিষয়ে বলা হয়েছে, ইউনিয়নের বাইরে গড়ে ওঠা সংগঠনগুলোকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বা সুযোগ-সুবিধা না দেওয়ার অধিকার সরকারের রয়েছে। এসব সংগঠন সাংবাদিকতার জন্য অন্তরায় বলেও মন্তব্য করে কমিশন।

সবশেষে, কলাম লেখক, অতিথি আলোচক বা প্রদায়ক শিল্পীদের ওপর অগ্রিম কর আরোপকে সৃজনশীলতার প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করে তা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।