১২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার- রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত, অর্থনীতিতে স্বস্তি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • / 58

ছবিধ: সংগৃহীত

 

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ১৪০ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত দেশের মোট গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ২৬.৬০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী এই রিজার্ভের প্রকৃত পরিমাণ ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার। এর আগে, ফেব্রুয়ারির ২৭ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬.১৩ বিলিয়ন ডলার, যা বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে ছিল ২০.৯০ বিলিয়ন ডলার।

বিজ্ঞাপন

দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি রেমিট্যান্স প্রবাহও ইতিবাচক ধারা বজায় রেখেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২.৫৩ বিলিয়ন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৩০ হাজার ৮২৯ কোটি টাকার সমপরিমাণ।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং রিজার্ভ বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকলে সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিজার্ভের এই অগ্রগতি দেশের আমদানি ব্যয় মেটাতে সহায়ক হবে এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে স্থিতিশীলতা আনবে। উল্লেখ্য, রিজার্ভ বৃদ্ধির পেছনে রেমিট্যান্স প্রবাহের পাশাপাশি রফতানি আয়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশলও রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।

দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে এবং রিজার্ভের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করছে। বিশেষ করে রেমিট্যান্স আহরণের ক্ষেত্রে হুন্ডির পরিবর্তে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহারে উৎসাহিত করা এবং বৈধ পথে অর্থ পাঠানোর জন্য প্রণোদনা দেওয়ার মতো উদ্যোগগুলোর ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে রিজার্ভের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হলে রেমিট্যান্স এবং রফতানিকে আরও উৎসাহিত করতে হবে, পাশাপাশি আমদানি ব্যয়ও সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার- রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত, অর্থনীতিতে স্বস্তি

আপডেট সময় ০৫:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

 

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ১৪০ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত দেশের মোট গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ২৬.৬০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী এই রিজার্ভের প্রকৃত পরিমাণ ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার। এর আগে, ফেব্রুয়ারির ২৭ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬.১৩ বিলিয়ন ডলার, যা বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে ছিল ২০.৯০ বিলিয়ন ডলার।

বিজ্ঞাপন

দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি রেমিট্যান্স প্রবাহও ইতিবাচক ধারা বজায় রেখেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২.৫৩ বিলিয়ন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৩০ হাজার ৮২৯ কোটি টাকার সমপরিমাণ।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং রিজার্ভ বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকলে সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিজার্ভের এই অগ্রগতি দেশের আমদানি ব্যয় মেটাতে সহায়ক হবে এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে স্থিতিশীলতা আনবে। উল্লেখ্য, রিজার্ভ বৃদ্ধির পেছনে রেমিট্যান্স প্রবাহের পাশাপাশি রফতানি আয়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশলও রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।

দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে এবং রিজার্ভের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করছে। বিশেষ করে রেমিট্যান্স আহরণের ক্ষেত্রে হুন্ডির পরিবর্তে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহারে উৎসাহিত করা এবং বৈধ পথে অর্থ পাঠানোর জন্য প্রণোদনা দেওয়ার মতো উদ্যোগগুলোর ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে রিজার্ভের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হলে রেমিট্যান্স এবং রফতানিকে আরও উৎসাহিত করতে হবে, পাশাপাশি আমদানি ব্যয়ও সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হবে।