ঢাকা ০১:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পঞ্চগড়ে ভুট্টাক্ষেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেখ মুজিবসহ মুজিবনগর সরকারের সবাই মুক্তিযোদ্ধা: উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম ইসরায়েলের গোলান হাইটসে সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকে রকেট হামলার দাবি “লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক” ধ্বনিতে মুখরিত মিনা, শুরু হলো হজের আনুষ্ঠানিকতা টিউলিপ সিদ্দিকের আয়কর ও ফ্ল্যাট সংক্রান্ত নথি জব্দ নির্বাচনই সবচেয়ে বড় সংস্কার, পলিটিকস আর ইকোনমিকস এক নয়: আন্দালিব পার্থ যুক্তরাষ্ট্রে অভিনেতা জোনাথন জসকে গুলি করে হত্যা মহাসড়কে ২০০ সিলিন্ডারসহ উল্টে গেল ট্রাক, একের পর এক বিস্ফোরণ ঈদের দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল: ডিএমটিসিএল-এর ঘোষণা গাজার ত্রাণকেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২৭

দুধ বিক্রি থেকে আয় কম, লোকসানে খামারিরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 98

ছবি সংগৃহীত

 

পাবনা ও সিরাজগঞ্জের বিস্তীর্ণ চারণভূমি ও বাথানে উন্নত জাতের প্রায় লক্ষাধিক গরু বিচরণ করছে, যা প্রায় দুই লাখ পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস। বাথান থেকে প্রতিদিন সংগ্রহ করা হচ্ছে দেড় লাখ লিটারেরও বেশি খাঁটি তরল দুধ। তবে, খামারিরা উৎপাদন খরচের চাপে নুইয়ে পড়েছেন।

গোখাদ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় দুধের দাম বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন তারা। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বাজার দরের সঙ্গে সমন্বিত দাম না পাওয়ায় অনেকেই খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ, একসময় এই অঞ্চলে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লাখ লিটার দুধ উৎপাদিত হতো।

এদিকে, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্যে মিল্কভিটার আওতাধীন প্রায় ৫৫০ একর গোচারণ ভূমি বেহাত হয়েছে। এসব জমিতে এখন চারণভূমির পরিবর্তে বোরো ধানের চাষ হচ্ছে। খাস জমি ও বাথান এলাকা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী-নিমাইচরা বাঁধের একাংশ প্রতিবছর আগাম বন্যায় তলিয়ে যায়। মাত্র আধা কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করলে গবাদিপশুর জন্য দীর্ঘমেয়াদি চারণভূমি নিশ্চিত করা সম্ভব। এতে খামারিদের লাখ লাখ টাকা সাশ্রয় হতো। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও চারণভূমি রক্ষার পদক্ষেপ না নিলে এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী গোসম্পদ হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুধ বিক্রি থেকে আয় কম, লোকসানে খামারিরা

আপডেট সময় ১২:২১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

 

পাবনা ও সিরাজগঞ্জের বিস্তীর্ণ চারণভূমি ও বাথানে উন্নত জাতের প্রায় লক্ষাধিক গরু বিচরণ করছে, যা প্রায় দুই লাখ পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস। বাথান থেকে প্রতিদিন সংগ্রহ করা হচ্ছে দেড় লাখ লিটারেরও বেশি খাঁটি তরল দুধ। তবে, খামারিরা উৎপাদন খরচের চাপে নুইয়ে পড়েছেন।

গোখাদ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় দুধের দাম বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন তারা। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বাজার দরের সঙ্গে সমন্বিত দাম না পাওয়ায় অনেকেই খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ, একসময় এই অঞ্চলে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লাখ লিটার দুধ উৎপাদিত হতো।

এদিকে, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্যে মিল্কভিটার আওতাধীন প্রায় ৫৫০ একর গোচারণ ভূমি বেহাত হয়েছে। এসব জমিতে এখন চারণভূমির পরিবর্তে বোরো ধানের চাষ হচ্ছে। খাস জমি ও বাথান এলাকা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী-নিমাইচরা বাঁধের একাংশ প্রতিবছর আগাম বন্যায় তলিয়ে যায়। মাত্র আধা কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করলে গবাদিপশুর জন্য দীর্ঘমেয়াদি চারণভূমি নিশ্চিত করা সম্ভব। এতে খামারিদের লাখ লাখ টাকা সাশ্রয় হতো। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও চারণভূমি রক্ষার পদক্ষেপ না নিলে এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী গোসম্পদ হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।