ঢাকা ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার

দুধ বিক্রি থেকে আয় কম, লোকসানে খামারিরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 115

ছবি সংগৃহীত

 

পাবনা ও সিরাজগঞ্জের বিস্তীর্ণ চারণভূমি ও বাথানে উন্নত জাতের প্রায় লক্ষাধিক গরু বিচরণ করছে, যা প্রায় দুই লাখ পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস। বাথান থেকে প্রতিদিন সংগ্রহ করা হচ্ছে দেড় লাখ লিটারেরও বেশি খাঁটি তরল দুধ। তবে, খামারিরা উৎপাদন খরচের চাপে নুইয়ে পড়েছেন।

গোখাদ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় দুধের দাম বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন তারা। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বাজার দরের সঙ্গে সমন্বিত দাম না পাওয়ায় অনেকেই খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ, একসময় এই অঞ্চলে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লাখ লিটার দুধ উৎপাদিত হতো।

এদিকে, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্যে মিল্কভিটার আওতাধীন প্রায় ৫৫০ একর গোচারণ ভূমি বেহাত হয়েছে। এসব জমিতে এখন চারণভূমির পরিবর্তে বোরো ধানের চাষ হচ্ছে। খাস জমি ও বাথান এলাকা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী-নিমাইচরা বাঁধের একাংশ প্রতিবছর আগাম বন্যায় তলিয়ে যায়। মাত্র আধা কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করলে গবাদিপশুর জন্য দীর্ঘমেয়াদি চারণভূমি নিশ্চিত করা সম্ভব। এতে খামারিদের লাখ লাখ টাকা সাশ্রয় হতো। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও চারণভূমি রক্ষার পদক্ষেপ না নিলে এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী গোসম্পদ হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুধ বিক্রি থেকে আয় কম, লোকসানে খামারিরা

আপডেট সময় ১২:২১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

 

পাবনা ও সিরাজগঞ্জের বিস্তীর্ণ চারণভূমি ও বাথানে উন্নত জাতের প্রায় লক্ষাধিক গরু বিচরণ করছে, যা প্রায় দুই লাখ পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস। বাথান থেকে প্রতিদিন সংগ্রহ করা হচ্ছে দেড় লাখ লিটারেরও বেশি খাঁটি তরল দুধ। তবে, খামারিরা উৎপাদন খরচের চাপে নুইয়ে পড়েছেন।

গোখাদ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় দুধের দাম বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন তারা। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বাজার দরের সঙ্গে সমন্বিত দাম না পাওয়ায় অনেকেই খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ, একসময় এই অঞ্চলে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লাখ লিটার দুধ উৎপাদিত হতো।

এদিকে, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্যে মিল্কভিটার আওতাধীন প্রায় ৫৫০ একর গোচারণ ভূমি বেহাত হয়েছে। এসব জমিতে এখন চারণভূমির পরিবর্তে বোরো ধানের চাষ হচ্ছে। খাস জমি ও বাথান এলাকা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী-নিমাইচরা বাঁধের একাংশ প্রতিবছর আগাম বন্যায় তলিয়ে যায়। মাত্র আধা কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করলে গবাদিপশুর জন্য দীর্ঘমেয়াদি চারণভূমি নিশ্চিত করা সম্ভব। এতে খামারিদের লাখ লাখ টাকা সাশ্রয় হতো। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও চারণভূমি রক্ষার পদক্ষেপ না নিলে এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী গোসম্পদ হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।