শেয়ারবাজারে বড় ধাক্কা, একদিনেই সূচক হারাল ১৪৯ পয়েন্ট

- আপডেট সময় ০৬:১৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
- / 6
দেশের দুই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) বুধবার (৭ মে) বড় ধরনের দরপতনের মধ্য দিয়ে কার্যদিবস শেষ করেছে। সূচকের পাশাপাশি লেনদেনেও দেখা গেছে লক্ষণীয় পতন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)
দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪৯ দশমিক ৩০ পয়েন্ট কমে নেমে এসেছে ৪ হাজার ৮০২ দশমিক ৪১ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ৪০ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৯৩ দশমিক ৪২ পয়েন্টে। অন্যদিকে ডিএসইএস সূচক কমেছে ৪১ দশমিক ৯২ পয়েন্ট, যা বর্তমানে ১ হাজার ৪৭ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
লেনদেনেও দেখা গেছে বড় ধস। এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ৫১৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৩৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা কম। মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৫৪৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকার।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে মাত্র ৯টির শেয়ারদর বেড়েছে, বিপরীতে দর হারিয়েছে ৩৮৫টি কোম্পানি। দর অপরিবর্তিত ছিল ৫টির।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)
সিএসইতেও একই চিত্র। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭০ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৯০ দশমিক ১৮ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচক ১৫৭ দশমিক ২৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৩০৫ দশমিক ৭০ পয়েন্টে।
সিএসআই সূচক কমেছে ১৮ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট, দাঁড়িয়েছে ৮৭৬ দশমিক ২৬ পয়েন্টে। এ ছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ১৬ দশমিক ৫২ পয়েন্ট এবং সিএসই-৩০ সূচক ১৫৪ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৫৩ দশমিক ৬৮ ও ১১ হাজার ৫৬৯ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে।
লেনদেনের দিক থেকেও সিএসইতে ধস নেমেছে। মোট লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৫২ লাখ টাকার, যেখানে আগের দিন ছিল ১১ কোটি ৮৮ লাখ টাকার লেনদেন। অর্থাৎ কমেছে ৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
এদিন সিএসইতে মোট ২১৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০টির, কমেছে ১৮৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১০টি শেয়ারের দাম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা, বাজারে তারল্য সংকট এবং মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতার কারণে বাজারে এই ধস দেখা গেছে।