০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ফেনীতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ২ “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: বাফার জোনে বাংলাদেশ ও সৌদি সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা” আজ দেখা যাবে বিরল ‘ব্লাড মুন’ ইসরায়েলি হামলার শিকার: গাজার ২৭০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে রাজধানীতে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার তুরাগ নদীর ১৭ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ে অর্থ দেবে বিশ্বব্যাংক যারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে, তারাই এখন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আসিফ মাহমুদ বিষাক্ত মদ্যপানে মুন্সিগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ৩ লেবাননে সব অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন

এপ্রিলের ২৬ দিনে দেশে রেমিট্যান্স আসলো ২২৭ কোটি ডলার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৫২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 37

ছবি সংগৃহীত

 

এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে ২২৭ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১২২ টাকা) অনুযায়ী, এ রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৭ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা।

প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৭৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, এই সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এছাড়া, বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

এদিকে, মার্চ মাসে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল আরও বেশি। পুরো মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৩২৯ কোটি মার্কিন ডলার। টাকায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে। সম্প্রতি প্রবাসী আয় বাড়াতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। হুন্ডি প্রতিরোধে কড়াকড়ি, ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রণোদনা এবং সহজ লেনদেন সুবিধা দেওয়ার ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবাসীদের আস্থা ধরে রাখতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। সেই সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত রাখতে ব্যাংকিং খাতকে আরও শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী আয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈদেশিক মুদ্রার যোগান এবং আমদানি ব্যয় মেটাতে এ আয় দেশের জন্য বড় সহায়ক। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে এ অর্থ ব্যয়ের সুযোগ তৈরি হলে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন অর্থনীতিবিদরা।

এপ্রিল মাস শেষ হলে পুরো মাসে রেমিট্যান্সের চূড়ান্ত পরিসংখ্যান আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এপ্রিলের ২৬ দিনে দেশে রেমিট্যান্স আসলো ২২৭ কোটি ডলার

আপডেট সময় ০৭:৫২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

 

এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে ২২৭ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১২২ টাকা) অনুযায়ী, এ রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৭ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা।

প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৭৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, এই সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এছাড়া, বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

এদিকে, মার্চ মাসে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল আরও বেশি। পুরো মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৩২৯ কোটি মার্কিন ডলার। টাকায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে। সম্প্রতি প্রবাসী আয় বাড়াতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। হুন্ডি প্রতিরোধে কড়াকড়ি, ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রণোদনা এবং সহজ লেনদেন সুবিধা দেওয়ার ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবাসীদের আস্থা ধরে রাখতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। সেই সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত রাখতে ব্যাংকিং খাতকে আরও শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী আয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈদেশিক মুদ্রার যোগান এবং আমদানি ব্যয় মেটাতে এ আয় দেশের জন্য বড় সহায়ক। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে এ অর্থ ব্যয়ের সুযোগ তৈরি হলে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন অর্থনীতিবিদরা।

এপ্রিল মাস শেষ হলে পুরো মাসে রেমিট্যান্সের চূড়ান্ত পরিসংখ্যান আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।