তিস্তা সংকট: এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে সমাধানের পথে পদক্ষেপ
তিস্তার সংকট মোকাবিলায় জনগণের সরাসরি মতামত গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের সমস্যা শোনা এবং তা সমাধানে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের মধ্যে একটি বিশেষ তত্ত্ব রয়েছে, যা বাস্তবায়নের প্রতি স্পৃহা বৃদ্ধি করে। আজকের গণশুনানির উদ্দেশ্য ছিল তিস্তা নদী ও তার তীরবর্তী অঞ্চলের সমস্যাগুলি সরাসরি জনগণের কাছ থেকে শুনে, সেগুলির কার্যকর সমাধান প্রদান করা।
আজকের সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে:
১. তিস্তার তীরে বাঁধ নির্মাণ: পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বর্ষা মৌসুমের আগেই তিস্তার ভাঙনপ্রবণ ৪৫ কিলোমিটার তীরে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেবে, যা নদীভাঙন রোধে সহায়ক হবে।
২. পুনর্বাসন প্রকল্প: স্থানীয় সরকার বিভাগ ৪০ কোটি টাকার প্রকল্পের মাধ্যমে তিস্তার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
৩. শিক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ: স্থায়ী চরাঞ্চলগুলোতে আধুনিক স্কুল স্থাপন করা হবে, যাতে শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা যায়।
৪. কৃষকের উন্নয়ন: উত্তরবঙ্গের কৃষকরা যেন তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পায়, সেজন্য কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
৫. স্বাক্ষরতার উন্নয়ন: কম স্বাক্ষরতার হার সম্পন্ন উপজেলায় আধুনিক পাঠাগারের ব্যবস্থা করা হবে, যা শিক্ষার প্রসারে ভূমিকা রাখবে।
৬. ব্রীজ নির্মাণ: রংপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পীরগাছা-চিলমারী ১৪০০ মিটার ব্রীজ নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।
এছাড়া, আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করা হবে।