০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামীমা দম্পতির তিন বছরের কারাদণ্ড

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 96

ছবি সংগৃহীত

 

প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ইভ্যালির চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মুজাহিদ হাসান ফাহিম নামে এক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে একটি ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ মডেলের মোটরসাইকেল অর্ডার করেন। নির্ধারিত মূল্যের পুরো অর্থও তিনি পরিশোধ করেন। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে বাইক সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় ইভ্যালি।

পরে ধানমন্ডির অফিসে যোগাযোগ করলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ফাহিমকে পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক দেওয়া হয়। তবে ব্যাংক হিসাবে প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায় তাকে তা জমা না দিতে অনুরোধ করা হয়। আসামিদের প্রতি বিশ্বাস রেখে তিনি চেকটি জমা দেননি। কিন্তু পরবর্তীতে টাকা ফেরত পেতে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ভুক্তভোগী ফাহিম ঢাকার আদালতে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মোহাম্মদ রাসেল ও শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত ও শুনানি শেষে আদালত রায় দেন।

ই-কমার্স খাতের অব্যবস্থাপনা ও গ্রাহক প্রতারণার আলোকে এ রায়কে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ভবিষ্যতে গ্রাহক অধিকার রক্ষায় বড় বার্তা বহন করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামীমা দম্পতির তিন বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৫:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

 

প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ইভ্যালির চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মুজাহিদ হাসান ফাহিম নামে এক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে একটি ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ মডেলের মোটরসাইকেল অর্ডার করেন। নির্ধারিত মূল্যের পুরো অর্থও তিনি পরিশোধ করেন। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে বাইক সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় ইভ্যালি।

পরে ধানমন্ডির অফিসে যোগাযোগ করলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ফাহিমকে পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক দেওয়া হয়। তবে ব্যাংক হিসাবে প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায় তাকে তা জমা না দিতে অনুরোধ করা হয়। আসামিদের প্রতি বিশ্বাস রেখে তিনি চেকটি জমা দেননি। কিন্তু পরবর্তীতে টাকা ফেরত পেতে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ভুক্তভোগী ফাহিম ঢাকার আদালতে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মোহাম্মদ রাসেল ও শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত ও শুনানি শেষে আদালত রায় দেন।

ই-কমার্স খাতের অব্যবস্থাপনা ও গ্রাহক প্রতারণার আলোকে এ রায়কে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ভবিষ্যতে গ্রাহক অধিকার রক্ষায় বড় বার্তা বহন করবে।