বগুড়ায় বৃদ্ধা ও পুত্রবধূকে গলা কেটে হত্যা

- আপডেট সময় ১১:৫৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
- / 6
বগুড়া সদরের হরিগাড়ী এলাকায় রাতে ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে লাইলী খাতুন (৭০) ও তার পুত্রবধূ হাবিবা বেগমকে (২২) গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন লাইলীর মেয়ে বন্যা আক্তার (১৮)। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৯টার দিকে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত লাইলী খাতুন হরিখালী ইসলামপুর এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী এবং হাবিবা বেগম পারভেজ আলমের স্ত্রী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ছিলিমপুর মেডিক্যাল ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর হারুনুর রশিদ। তিনি জানান, বন্যা আক্তারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে। তার বুকের ডান পাশে, পেছনে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত অস্ত্রসহ লাইলীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। প্রথমেই তারা সামনে থাকা লাইলী খাতুনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে ও গলা কেটে হত্যা করে। এরপর পুত্রবধূ হাবিবা বেগমকেও একইভাবে গলা কেটে হত্যা করে। এ সময় প্রতিবাদ করতে গেলে লাইলীর মেয়ে বন্যা আক্তারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাসির বলেন, “ঘটনাটি পূর্ব কোনো বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) জেদান আল মুসা কালের কণ্ঠকে বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি পারিবারিক ও প্রেমঘটিত বিষয় হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। তবে যেই কারণেই হোক, দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। পুলিশ বলেছে, তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে শিগগিরই বিস্তারিত জানানো হবে।