মুর্শিদাবাদে উত্তেজনা অব্যাহত, সহিংসতায় নিহত ৩, গ্রেপ্তার ২০০ জন

- আপডেট সময় ০৯:০৬:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
- / 15
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় বিতর্কিত ওয়াক্ফ (সংশোধনী) আইন ঘিরে সহিংসতা ও অস্থিরতা এখনো প্রশমিত হয়নি। আইনটি ঘিরে সংঘটিত সহিংসতায় এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত এবং অন্তত ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ইতোমধ্যে রাজ্যের ধূলিয়ান, সুতি ও সামশেরগঞ্জ এলাকায় পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করতে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মুর্শিদাবাদে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১৫ কোম্পানি সদস্য।
রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) জাভেদ শামীম এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, “পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে। তবে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পর স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে সময় লাগে।”
গত তিনদিনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় গঙ্গা নদী পেরিয়ে অনেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগরে। পালিয়ে আসা মানুষদের জন্য আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কায় মুর্শিদাবাদ ও পাশ্ববর্তী মালদহ ও বীরভূম জেলার সীমান্ত এলাকায় সাময়িকভাবে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ পাঠানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। তাদের অভিযোগ, তিনি এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়াননি।
অপরদিকে, বিতর্কিত ওয়াক্ফ আইন এবং রাজ্যের ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছে বিজেপি। দলটির নেতারা কলকাতার ধর্মতলায় বিশাল বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।
বিজেপি নেতা জগন্নাথ সরকার রাজ্যের সাতটি জেলায় অবিলম্বে সেনা মোতায়েন ও আফস্পা বলবৎ করার দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে ‘যোগ্য শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী ঐক্য মঞ্চ’-এর প্রতিনিধিদল দিল্লির যন্তরমন্তরে প্রতিবাদে অংশ নিতে রওনা হয়েছেন।
তৃণমূলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই অস্থিরতা পরিকল্পিত বলে দাবি করে বলেন, “বাংলার শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে।”
আইজি রাজীব কুমার রাজ্যবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “কোনো গুজবে কান দেবেন না এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।