কঙ্গোতে ১৫০ বন্দির গণধর্ষণ ও অগ্নিদাহ: মানবাধিকার সংকট

- আপডেট সময় ১২:৩৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 59
কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের গোমা অঞ্চলের একটি কারাগারে ১৫০ জনের বেশি নারী বন্দিকে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, পালিয়ে যাওয়া পুরুষ বন্দিরা ওই কারাগারে আগুন লাগিয়ে দেয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের মুখপাত্র সাইফ ম্যাঙ্গাঙ্গো সিএনএনকে জানান, ধর্ষণের শিকার ১৬৫ জন নারীর মধ্যে বেশিরভাগই আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। তিনি আরও জানান, আগুন থেকে বেঁচে যাওয়া ৯ থেকে ১৩ জন নারীও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
ম্যাঙ্গাঙ্গো বলেন, “আমরা স্বাধীনভাবে এই প্রতিবেদন যাচাই করতে পারিনি, তবে এটি নির্ভরযোগ্য বলে বিবেচনা করছি।”
জাতিসংঘের সহযোগী গণমাধ্যম রেডিও ওকাপি জানিয়েছে, ২৭ জানুয়ারি এম২৩ বিদ্রোহীরা কঙ্গোর সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করার সময় ৪,০০০-এর বেশি বন্দি মুজেঞ্জে কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার সময় কিছু পুরুষ বন্দিকে কারারক্ষীরা হত্যা করলেও অধিকাংশ বন্দি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বর্তমানে পুরো কারাগারটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
কঙ্গোর যোগাযোগমন্ত্রী প্যাট্রিক মুইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরকার এই বর্বর অপরাধের তীব্র নিন্দা জানায়। মধ্য আফ্রিকার এই দেশটিতে যুদ্ধ ও সংঘাতের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই যৌন সহিংসতা একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের আরেক মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স জানান, কঙ্গোর সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্র বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ৫২ জন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, যার মধ্যে গণধর্ষণের ঘটনাও রয়েছে। বর্তমানে গোমা অঞ্চল দখলের দাবি করা বিদ্রোহীগোষ্ঠী এম২৩ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। সেখানে গত এক সপ্তাহের সংঘর্ষে প্রায় ৩,০০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।