নারায়ণগঞ্জে নকশা না মেনে ভবন নির্মাণ, ১ লাখ টাকা জরিমানা

- আপডেট সময় ০৫:২৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
- / 13
নারায়ণগঞ্জ শহরের আলম খান লেন এলাকায় নকশাবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের দায়ে নির্মাণাধীন ভবনের কলামের রড গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে দিয়েছেন রাউজকের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের আলম খান লেন এলাকায় নকশাবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের দায়ে নির্মাণাধীন ভবনের কলামের রড গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে দিয়েছেন রাউজকের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নকশাবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের কারণে নারায়ণগঞ্জে নির্মাণাধীন একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি ভবনের নির্মাণকাজ স্থগিত রাখতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের আলম খান লেন এলাকায় স্টার ভিউ হাউজিং লিমিটেড নামের একটি আবাসনপ্রতিষ্ঠানকে এ জরিমানা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা পারভীনের নেতৃত্বে এই অভিযান হয়। এ সময় নকশাবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের দায়ে বেজমেন্টের কয়েকটি কলামের রড গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে দেওয়া হয়। এ সময় নকশাবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের দায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ওই ভবনের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং নির্মাণকাজ স্থগিত রাখতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তাহমিনা পারভীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী, নির্মাণাধীন ভবনের সামনে সব তথ্যসহ একটি সাইনবোর্ড থাকার কথা থাকলেও সেটি আমরা দেখতে পাইনি। ভবন নির্মাণে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যে নকশা দেখিয়েছে, তার সঙ্গে কাজের অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয়েছে। নকশার বাইরে যতটুকু কাজ করা হয়েছে, সেগুলোর কলামের রড গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে অপসারণ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ওই ভবনের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং নির্মাণকাজ স্থগিত রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রাজউক থেকে অনুমোদন নিয়ে আবাসনপ্রতিষ্ঠান স্টার হাউজিং ভবনের নির্মাণকাজ করছিল বলে দাবি করেন জমির মালিক কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জমির মালিকেরা নকশাবহির্ভূতভাবে ডেভেলপার কোম্পানিকে কোনো কাজ করতে দেব না। রাজউক নোটিশ দিলেও ডেভেলপার কোম্পানি লিখিতভাবে জবাব না দেওয়ায় এই অভিযান চালিয়েছে তারা।’
অভিযানের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজউকের কর্মকর্তা এফ আর আশিক আহমেদ ও ইমারত পরিদর্শক রাজিকুল ইসলাম।