ঢাকা ০৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ: একদিনে ৩২ জন আক্রান্ত ভিয়েতনামে পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু

গাজা গণহত্যার প্রতিবাদে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলায় সারাদেশে গ্রেফতার ৭২  

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৫:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 43

ছবি সংগৃহীত

 

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে দেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। বিক্ষোভ চলাকালে কিছু এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লক্ষ্য করে সংঘটিত হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন শহরে এসব ঘটনায় মোট ১০টি মামলা হয়েছে। খুলনায় সবচেয়ে বেশি ৩৩ জন, সিলেটে ১৯ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, গাজীপুর ও কক্সবাজারে ৪ জন করে, নারায়ণগঞ্জে ৪ জন এবং কুমিল্লায় ৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন।

পুলিশ বলছে, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং যারা এই নৈরাজ্যকর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও সক্রিয় করা হয়েছে হামলার পেছনে থাকা পরিকল্পনাকারীদের শনাক্তে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকেও বলা হয়েছে, ৭ এপ্রিলের বিক্ষোভ চলাকালে সংঘটিত হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তত ৭২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে জনপ্রিয় ফাস্টফুড চেইন কেএফসি এবং জুতার ব্র্যান্ড বাটা। এই ধরনের হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গাজা ইস্যুতে বাংলাদেশের জনগণের আবেগ ও সহানুভূতি স্বাভাবিক হলেও এর সুযোগ নিয়ে কিছু উগ্রবাদী গোষ্ঠী সহিংসতা উসকে দিচ্ছে, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সংঘটিত এমন নাশকতার ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

সরকার জানিয়েছে, বিক্ষোভ করা জনগণের অধিকার থাকলেও তা হতে হবে শান্তিপূর্ণ এবং আইনগত কাঠামোর মধ্যে। জনজীবন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হয়—এমন কোনও কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সারাদেশে ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে যেসব আন্তর্জাতিক ও বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও র‌্যাব টহল বাড়িয়েছে।

পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সংশ্লিষ্টদের সংযম ও সচেতনতার আহ্বান জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজা গণহত্যার প্রতিবাদে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলায় সারাদেশে গ্রেফতার ৭২  

আপডেট সময় ১১:৪৫:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

 

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে দেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। বিক্ষোভ চলাকালে কিছু এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লক্ষ্য করে সংঘটিত হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন শহরে এসব ঘটনায় মোট ১০টি মামলা হয়েছে। খুলনায় সবচেয়ে বেশি ৩৩ জন, সিলেটে ১৯ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, গাজীপুর ও কক্সবাজারে ৪ জন করে, নারায়ণগঞ্জে ৪ জন এবং কুমিল্লায় ৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন।

পুলিশ বলছে, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং যারা এই নৈরাজ্যকর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও সক্রিয় করা হয়েছে হামলার পেছনে থাকা পরিকল্পনাকারীদের শনাক্তে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকেও বলা হয়েছে, ৭ এপ্রিলের বিক্ষোভ চলাকালে সংঘটিত হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তত ৭২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে জনপ্রিয় ফাস্টফুড চেইন কেএফসি এবং জুতার ব্র্যান্ড বাটা। এই ধরনের হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গাজা ইস্যুতে বাংলাদেশের জনগণের আবেগ ও সহানুভূতি স্বাভাবিক হলেও এর সুযোগ নিয়ে কিছু উগ্রবাদী গোষ্ঠী সহিংসতা উসকে দিচ্ছে, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সংঘটিত এমন নাশকতার ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

সরকার জানিয়েছে, বিক্ষোভ করা জনগণের অধিকার থাকলেও তা হতে হবে শান্তিপূর্ণ এবং আইনগত কাঠামোর মধ্যে। জনজীবন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হয়—এমন কোনও কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সারাদেশে ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে যেসব আন্তর্জাতিক ও বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও র‌্যাব টহল বাড়িয়েছে।

পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সংশ্লিষ্টদের সংযম ও সচেতনতার আহ্বান জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।