মেহেন্দীগঞ্জে জাটকা পাচারকারীদের হামলা, আনসার সদস্য আহত, পাঁচজন আটক
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে নিষিদ্ধ জাটকা পরিবহনের বিরুদ্ধে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে মেঘনার শাখা কালাবদর নদীর মোহনায় অভিযান চালানোর সময় দুর্বৃত্ত জেলেদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপে এক আনসার সদস্য আহত হন।
ঘটনাস্থল ছিল বাখরজা, লালবয়া ও মালদ্বীপ চরের মাঝামাঝি অঞ্চল। হামলায় আহত আনসার সদস্য সাইফুল ইসলামকে তাৎক্ষণিকভাবে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করছিল মৎস্য অধিদপ্তরের একটি টহল দল, যার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আনসার সদস্যরাও। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম জানিয়েছেন, অভিযান চলাকালে একটি ট্রলারকে থামার সংকেত দেওয়া হলে ট্রলারে থাকা অসাধু জেলেরা হঠাৎ হামলা চালায়। তারা ইট-পাটকেল ছুঁড়ে আক্রমণ করে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।
তবে দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তোলে অভিযানে অংশ নেওয়া সদস্যরা। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজন হামলাকারীকে আটক করা সম্ভব হয়। আটককৃতরা হলেন ফুলচড়ি গ্রামের আ. বারেক হাওলাদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম, চরলতা গ্রামের হাশেম বেপারীর ছেলে আবুল কালাম, দড়িরচর খাজুরিয়া গ্রামের মো. নাঈম ও আজিজুল ইসলাম এবং চরহোগলা গ্রামের শাহীন ফরাজী।
অভিযান চলাকালে ট্রলারসহ প্রায় ১৪ ড্রাম জাটকা (প্রায় ১৪ মন) জব্দ করা হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ জাটকা পাচারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মেহেন্দীগঞ্জের কাজিরহাট থানায় নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়টিকে জাটকা রক্ষা অভিযানকাল ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ে জাটকা নিধন ও পরিবহন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এমন অবস্থায় হামলার মতো ঘটনা শুধু দুঃখজনক নয়, বরং সরকারের চলমান অভিযানকে চ্যালেঞ্জ জানানোরও শামিল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাটকা রক্ষায় নিয়মিত অভিযান চলবে এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনার পর নদী এলাকায় নজরদারি আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।