ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

৪০০ কোটি টাকার ‘পিয়ন’ জাহাঙ্গীরের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৪৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • / 38

ছবি সংগৃহীত

 

গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী মো. জাহাঙ্গীর আলম, যিনি ‘৪০০ কোটি টাকার পিয়ন’ নামে পরিচিত, তার নামে থাকা ২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও একটি সঞ্চয়পত্রের মোট ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩২৯ টাকা ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আজ বুধবার (২৫ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সহকারী পরিচালক পিয়াস পাল আদালতে এই আবেদন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ।

দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম নিজের নামে ১৮ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে, তার মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবগুলো ব্যবহার করে মোট ৬২৬ কোটি ৬৫ লাখ ১৮ হাজার ১০৭ টাকা উত্তোলন বা স্থানান্তর করেন।

তদন্তে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম তার এসব অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা বিচার প্রক্রিয়ার জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মনে করছে দুদক। তাই মামলা চলাকালীন সময়েই এসব সম্পদ ফ্রিজ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চার্জশিট দাখিলের পর আদালত অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের এই অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্তের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। মামলার তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে এবং আরও নতুন তথ্য অনুসন্ধানে রয়েছে দুদক।

জাহাঙ্গীর আলম মূলত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত একজন পিয়ন ছিলেন, পরে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে প্রভাবশালী অবস্থানে চলে যান। এই সময়ে তার বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং এবং দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠে আসে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ও সাধারণ জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি প্রমাণ করে, রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগে কীভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

৪০০ কোটি টাকার ‘পিয়ন’ জাহাঙ্গীরের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ

আপডেট সময় ০৮:৪৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

 

গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী মো. জাহাঙ্গীর আলম, যিনি ‘৪০০ কোটি টাকার পিয়ন’ নামে পরিচিত, তার নামে থাকা ২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও একটি সঞ্চয়পত্রের মোট ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩২৯ টাকা ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আজ বুধবার (২৫ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সহকারী পরিচালক পিয়াস পাল আদালতে এই আবেদন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ।

দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম নিজের নামে ১৮ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে, তার মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবগুলো ব্যবহার করে মোট ৬২৬ কোটি ৬৫ লাখ ১৮ হাজার ১০৭ টাকা উত্তোলন বা স্থানান্তর করেন।

তদন্তে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম তার এসব অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা বিচার প্রক্রিয়ার জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মনে করছে দুদক। তাই মামলা চলাকালীন সময়েই এসব সম্পদ ফ্রিজ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চার্জশিট দাখিলের পর আদালত অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের এই অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্তের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। মামলার তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে এবং আরও নতুন তথ্য অনুসন্ধানে রয়েছে দুদক।

জাহাঙ্গীর আলম মূলত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত একজন পিয়ন ছিলেন, পরে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে প্রভাবশালী অবস্থানে চলে যান। এই সময়ে তার বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং এবং দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠে আসে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ও সাধারণ জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি প্রমাণ করে, রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগে কীভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার হয়।