ঢাকা ০৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাকিস্তান-চীন উদ্যোগে নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের ইঙ্গিত, রয়েছে বাংলাদেশও শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার যথাসময়ে শেষ হবে: চিফ প্রসিকিউটর এখন সবাই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন, আন্দোলন যা হওয়ার হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা তুরস্কে ভয়াবহ দাবানলের তাণ্ডব, হুমকির মুখে ঘরবাড়ি-শিল্পাঞ্চল নতুন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় চীন: মির্জা ফখরুল ভূরুঙ্গামারীতে নিখোঁজের ৩ দিন পর কবর স্থান থেকে মহিলার লাশ উদ্ধার চট্টগ্রাম বন্দরে সচল আমদানি-রফতানি কার্যক্রম, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের পাশাপাশি জন্ম নেওয়া সন্তানদেরও বিতাড়িত করা উচিত: রিপাবলিকান সিনেটর আগামীকাল মঙ্গলবার ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে ভারতে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৫, আহত ১৫

আচরণবিধিতে আসছে কঠোরতা, লাগাম টানতে নির্বাচন কমিশনের নিচ্ছে নতুন উদ্যোগ: ইসি আনোয়ারুল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৫:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 58

ছবি সংগৃহীত

 

নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের লাগাম টানতে এবার আচরণবিধিতে আনা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করে একটি সুষ্ঠু, সমান সুযোগভিত্তিক নির্বাচনী পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (৭ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে কমিশনের এক বৈঠক শেষে কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, আচরণবিধি এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ সম্ভব হয় এবং কেউ যেনো তা লঙ্ঘন করে পার না পায়।

কমিশনার বলেন, “নিয়ম থাকা সত্ত্বেও বারবার দেখা গেছে, প্রার্থীরা প্রচারণায় আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন। কেউ কেউ জরিমানা দিয়েই বারবার একই কাজ করছেন। বিশেষ করে ক্ষমতাশালী প্রার্থীরা আইনের তোয়াক্কা না করেই প্রচার চালাচ্ছেন। এই অবস্থার অবসান ঘটাতেই নতুন করে ভাবা হচ্ছে আচরণবিধি নিয়ে।”

কমিশনের ওই সভায় সংসদ নির্বাচনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং স্থানীয় সরকারের নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, নতুন আচরণবিধিতে এমন ব্যবস্থা রাখা হবে, যাতে প্রতিটি প্রার্থী সমান সুযোগ পান। নির্বাচনী ব্যয় যাতে ন্যূনতম হয়, তাও নিশ্চিত করা হবে।

সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে যদি আইন সংশোধনের অনুমোদন না আসে, তবে বিদ্যমান সীমানা অনুযায়ীই নির্বাচন হবে।”

এছাড়া, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নিয়েও চলছে কাজ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কনজার্ভেটিভ পার্টি নামে একটি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে বলে জানান কমিশনার। তবে নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

নির্বাচনী অনিয়ম রোধ ও আইন মেনে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের এ উদ্যোগে নতুন আশার আলো দেখছেন সচেতন মহল। এবার হয়তো প্রার্থীদের জন্য থাকবে না নিয়ম ভাঙার অবাধ ছাড়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আচরণবিধিতে আসছে কঠোরতা, লাগাম টানতে নির্বাচন কমিশনের নিচ্ছে নতুন উদ্যোগ: ইসি আনোয়ারুল

আপডেট সময় ০৫:৪৫:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

 

নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের লাগাম টানতে এবার আচরণবিধিতে আনা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করে একটি সুষ্ঠু, সমান সুযোগভিত্তিক নির্বাচনী পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (৭ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে কমিশনের এক বৈঠক শেষে কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, আচরণবিধি এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ সম্ভব হয় এবং কেউ যেনো তা লঙ্ঘন করে পার না পায়।

কমিশনার বলেন, “নিয়ম থাকা সত্ত্বেও বারবার দেখা গেছে, প্রার্থীরা প্রচারণায় আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন। কেউ কেউ জরিমানা দিয়েই বারবার একই কাজ করছেন। বিশেষ করে ক্ষমতাশালী প্রার্থীরা আইনের তোয়াক্কা না করেই প্রচার চালাচ্ছেন। এই অবস্থার অবসান ঘটাতেই নতুন করে ভাবা হচ্ছে আচরণবিধি নিয়ে।”

কমিশনের ওই সভায় সংসদ নির্বাচনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং স্থানীয় সরকারের নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, নতুন আচরণবিধিতে এমন ব্যবস্থা রাখা হবে, যাতে প্রতিটি প্রার্থী সমান সুযোগ পান। নির্বাচনী ব্যয় যাতে ন্যূনতম হয়, তাও নিশ্চিত করা হবে।

সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে যদি আইন সংশোধনের অনুমোদন না আসে, তবে বিদ্যমান সীমানা অনুযায়ীই নির্বাচন হবে।”

এছাড়া, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নিয়েও চলছে কাজ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কনজার্ভেটিভ পার্টি নামে একটি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে বলে জানান কমিশনার। তবে নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

নির্বাচনী অনিয়ম রোধ ও আইন মেনে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের এ উদ্যোগে নতুন আশার আলো দেখছেন সচেতন মহল। এবার হয়তো প্রার্থীদের জন্য থাকবে না নিয়ম ভাঙার অবাধ ছাড়।