ঢাকা ১২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়া অর্থনীতির নতুন দিগন্ত সম্ভব নয়: ড. ইউনূস শাহরিয়ার সাম্য হত্যাকাণ্ড: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন ‘অপরাধের স্বর্গরাজ্য’: হাসনাত আব্দুল্লাহ সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা ট্রাম্প করেনি: ভারতের স্পষ্ট বার্তা টাইগারদের আরব আমিরাত সফর শুরু, পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে শঙ্কা চট্টগ্রাম বন্দর ঘুরে দেখলেন প্রধান উপদেষ্টা ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা, আলোচনার মাঝেই উত্তেজনা বৃদ্ধি গাজায় পূর্ণশক্তি নিয়ে অভিযান চালাতে যাচ্ছে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু পাঞ্জাবে বিষাক্ত মদ পান করে ২১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঐতিহাসিক নিষেধাজ্ঞার পরে সিসাঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি: সারজিস আলম

আচরণবিধিতে আসছে কঠোরতা, লাগাম টানতে নির্বাচন কমিশনের নিচ্ছে নতুন উদ্যোগ: ইসি আনোয়ারুল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৫:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 34

ছবি সংগৃহীত

 

নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের লাগাম টানতে এবার আচরণবিধিতে আনা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করে একটি সুষ্ঠু, সমান সুযোগভিত্তিক নির্বাচনী পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (৭ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে কমিশনের এক বৈঠক শেষে কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, আচরণবিধি এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ সম্ভব হয় এবং কেউ যেনো তা লঙ্ঘন করে পার না পায়।

কমিশনার বলেন, “নিয়ম থাকা সত্ত্বেও বারবার দেখা গেছে, প্রার্থীরা প্রচারণায় আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন। কেউ কেউ জরিমানা দিয়েই বারবার একই কাজ করছেন। বিশেষ করে ক্ষমতাশালী প্রার্থীরা আইনের তোয়াক্কা না করেই প্রচার চালাচ্ছেন। এই অবস্থার অবসান ঘটাতেই নতুন করে ভাবা হচ্ছে আচরণবিধি নিয়ে।”

কমিশনের ওই সভায় সংসদ নির্বাচনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং স্থানীয় সরকারের নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, নতুন আচরণবিধিতে এমন ব্যবস্থা রাখা হবে, যাতে প্রতিটি প্রার্থী সমান সুযোগ পান। নির্বাচনী ব্যয় যাতে ন্যূনতম হয়, তাও নিশ্চিত করা হবে।

সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে যদি আইন সংশোধনের অনুমোদন না আসে, তবে বিদ্যমান সীমানা অনুযায়ীই নির্বাচন হবে।”

এছাড়া, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নিয়েও চলছে কাজ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কনজার্ভেটিভ পার্টি নামে একটি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে বলে জানান কমিশনার। তবে নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

নির্বাচনী অনিয়ম রোধ ও আইন মেনে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের এ উদ্যোগে নতুন আশার আলো দেখছেন সচেতন মহল। এবার হয়তো প্রার্থীদের জন্য থাকবে না নিয়ম ভাঙার অবাধ ছাড়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আচরণবিধিতে আসছে কঠোরতা, লাগাম টানতে নির্বাচন কমিশনের নিচ্ছে নতুন উদ্যোগ: ইসি আনোয়ারুল

আপডেট সময় ০৫:৪৫:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

 

নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের লাগাম টানতে এবার আচরণবিধিতে আনা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করে একটি সুষ্ঠু, সমান সুযোগভিত্তিক নির্বাচনী পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (৭ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে কমিশনের এক বৈঠক শেষে কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, আচরণবিধি এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ সম্ভব হয় এবং কেউ যেনো তা লঙ্ঘন করে পার না পায়।

কমিশনার বলেন, “নিয়ম থাকা সত্ত্বেও বারবার দেখা গেছে, প্রার্থীরা প্রচারণায় আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন। কেউ কেউ জরিমানা দিয়েই বারবার একই কাজ করছেন। বিশেষ করে ক্ষমতাশালী প্রার্থীরা আইনের তোয়াক্কা না করেই প্রচার চালাচ্ছেন। এই অবস্থার অবসান ঘটাতেই নতুন করে ভাবা হচ্ছে আচরণবিধি নিয়ে।”

কমিশনের ওই সভায় সংসদ নির্বাচনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং স্থানীয় সরকারের নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, নতুন আচরণবিধিতে এমন ব্যবস্থা রাখা হবে, যাতে প্রতিটি প্রার্থী সমান সুযোগ পান। নির্বাচনী ব্যয় যাতে ন্যূনতম হয়, তাও নিশ্চিত করা হবে।

সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে যদি আইন সংশোধনের অনুমোদন না আসে, তবে বিদ্যমান সীমানা অনুযায়ীই নির্বাচন হবে।”

এছাড়া, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নিয়েও চলছে কাজ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কনজার্ভেটিভ পার্টি নামে একটি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে বলে জানান কমিশনার। তবে নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

নির্বাচনী অনিয়ম রোধ ও আইন মেনে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের এ উদ্যোগে নতুন আশার আলো দেখছেন সচেতন মহল। এবার হয়তো প্রার্থীদের জন্য থাকবে না নিয়ম ভাঙার অবাধ ছাড়।