ঢাকা ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

৩৭ শিক্ষার্থীকে শোকজ নোটিশে উত্তাল কুয়েট, ক্লাসে ফেরেননি শিক্ষকরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৪৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / 11

ছবি সংগৃহীত

 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ৩৭ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। পরে তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে দাবি তুলে ধরেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কুয়েট প্রশাসন ভিত্তিহীন অভিযোগে গত সোমবার ৩৭ শিক্ষার্থীকে শোকজ নোটিশ দিয়েছে। এতে বলা হয়, তাদেরকে ১৫ মে বিকেল ৫টার মধ্যে লিখিতভাবে কারণ দর্শাতে হবে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, শিক্ষকদের লাঞ্ছনার যে অভিযোগে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তা সত্যনির্ভর নয় এবং তদন্ত প্রক্রিয়াটি প্রহসনমূলক। এ বিষয়ে দ্রুত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন তারা।

এদিকে, একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার সাতদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ক্লাসে ফেরেননি কুয়েটের শিক্ষকরা। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম জানান, লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন চলবে। তিনি বলেন, “আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে যদি প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকেও বিরত থাকবো।”

এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। একদিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন শোকজ প্রত্যাহারের দাবিতে, অন্যদিকে শিক্ষকরা অবস্থান নিচ্ছেন শাস্তির দাবিতে। ফলে দুই পক্ষের অবস্থান সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয় পক্ষের অনড় অবস্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। দ্রুত সমঝোতায় না পৌঁছালে শিক্ষার পরিবেশ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

৩৭ শিক্ষার্থীকে শোকজ নোটিশে উত্তাল কুয়েট, ক্লাসে ফেরেননি শিক্ষকরা

আপডেট সময় ০৩:৪৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ৩৭ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। পরে তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে দাবি তুলে ধরেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কুয়েট প্রশাসন ভিত্তিহীন অভিযোগে গত সোমবার ৩৭ শিক্ষার্থীকে শোকজ নোটিশ দিয়েছে। এতে বলা হয়, তাদেরকে ১৫ মে বিকেল ৫টার মধ্যে লিখিতভাবে কারণ দর্শাতে হবে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, শিক্ষকদের লাঞ্ছনার যে অভিযোগে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তা সত্যনির্ভর নয় এবং তদন্ত প্রক্রিয়াটি প্রহসনমূলক। এ বিষয়ে দ্রুত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন তারা।

এদিকে, একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার সাতদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ক্লাসে ফেরেননি কুয়েটের শিক্ষকরা। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম জানান, লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন চলবে। তিনি বলেন, “আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে যদি প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকেও বিরত থাকবো।”

এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। একদিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন শোকজ প্রত্যাহারের দাবিতে, অন্যদিকে শিক্ষকরা অবস্থান নিচ্ছেন শাস্তির দাবিতে। ফলে দুই পক্ষের অবস্থান সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয় পক্ষের অনড় অবস্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। দ্রুত সমঝোতায় না পৌঁছালে শিক্ষার পরিবেশ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা।